নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব সাহেদ আহমেদ সাবেক এমপি ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে দলীয় নেতাকর্মীদের কাছে ক্ষমা চাইতে বললেন।

সাহেদ বলেন, বিএনপির সাবেক এক এমপি বলেছেন বিএনপিতে নাকি ‘গণতন্ত্র’ নাই, আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল হল বিএনপি। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শে গড়া দল। তিনি ছিলেন এদেশের বহু দলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা। 

আমাদের আদর্শের জননী হল দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। উনি এদেশের গণতন্ত্রকে পূর্ণ উদ্ধার করার জন্য ৮০ বছর বয়সেও কিন্তু জেল খাটতে হয়েছে। আমরা কিন্তু তার মুক্তির জন্য কাঁধে কাঁধ রেখে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। 

আপনাকে যখন জেলা বিএনপির দায়িত্ব দেওয়া হল তখন কিন্তু আপনি এই কথা বলেননি আপনাকে যখন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি করা হয়েছিল তখনও আপনি কিছু বলেননি। কি উদ্দেশ্য নিয়ে আপনি এই কথা বলেছেন আপনাকে অবশ্যই দলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে দলীয় সাধারণ নেতাকর্মীদের কাছে ২৪ঘণ্টার মধ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। দলকে নিয়ে খেলা করার কারো অধিকার নাই। আমি হই কিংবা যেই হোক। 

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল নারায়ণগঞ্জ মহানগর শাঁখার আওতাধীন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ৮নং ওয়ার্ড  যুবদলের কর্মীসভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথাগুলো বলেন। 

শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল দশটায় সিদ্ধিরগঞ্জ পূর্ব এনায়েতনগরে মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোফাজ্জল হোসেন আনোয়ার, সদস্য বাদশা খান, আশিকুর রহমান অনি ও যুবদল নেতা রহমত উল্লাহর সার্বিক তত্ত্বাবধানে এই কর্মীসভার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল।

তিনি বলেন, আপনাকে তো হঠাৎ করে আওয়ামী লীগ থেকে নিয়ে এসে জনপ্রতিনিধি বানানো হয়েছিল। ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে সিদ্ধিরগঞ্জ ও ফতুল্লায় যারা প্রকৃত বিএনপি তারা আপনার দ্বারা বীর মুক্তিযোদ্ধা কামাল হোসেনের পরিবার গাজী ইসমাইল হোসেনের পরিবার বিএনপি নামক দল করে তারা কোন ব্যবসায়ী সুবিধা করতে পারে নাই।

বিগত ১৭টি বছরের বিএনপির আন্দোলন সংগ্রামে ১৫টি বছর কিন্তু আপনাকে চোখেও দেখা যায়নি। লাস্ট দুই বছরে আপনাকে টেনে এনে দলের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। সবাই মনে করেছিল আপনি পুরনো যে যৌবনের ভুল ত্রুটি ভুলে গিয়ে নেতাকর্মী সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ থাকবেন কিন্তু আপনি ৫ তারিখ পর্যন্ত ঠিকই করেছেন এরপরে আপনি আবার পুরনো চিত্তে ফিরে গেছেন। 

এরপরে দল তদন্ত সাপেক্ষে আপনার কমিটি ভেঙ্গে দেয়। আবারো পরের কমিটিতে আপনাকে সম্মানিত পদ সদস্য রাখা হয়েছে। সুতরাং আপনার মতন একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি তার থেকে আমরা এ ধরনের বক্তব্যে আশা করি নাই। আপনার এধরনের বক্তব্যে আমাদের বুকে কষ্ট এবং আঘাতও লেগেছে। কারণ বিগত ১৭টি বছর আমরা এই দলের জন্য রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করি। 

তখন কিন্তু আপনাকে পাইনি কিন্তু আমরা ঠিকই কিন্তু এই দলকে টিকিয়ে রাখতে রাজপথে ছিলাম। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শকে বুকে ধারণ করে আমরা কিন্তু বিএনপির ডাকা প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রাম পালন করেছি। 

তিনি আরও বলেন, আমি নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব। অথচ ৫তারিখের পরে আমার রানিং ব্যবসা নিয়ে কি হয়েছে তা আপনারা জানেন। তারপরও কিন্তু আমি আমার দায়িত্বশীল জায়গা থেকে আক্রমণ করে কোন তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে কোনো কিছু বলি নাই। কিন্তু তিনি যেটি বলেছেন এটার প্রতিবাদ না করে পারলাম না কারণ এটা কিন্তু কোন ব্যক্তি না এটা সামগ্রিক।

যারা শহীদ জিয়ার আদর্শ বুকে লালন করে বিএনপি রাজনীতি করে তারা অবশ্যই এটার প্রতিবাদ করবে। কারণ তাদের শরীরে এটা লাগে। সুতরাং যারা এই সকল মানুষের পিছনে ঘুরে তারা নির্লজ্জ।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ য বদল ব এনপ ন র য়ণগঞ জ র আদর শ ব এনপ র আপন র আপন ক সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার

আড়াইহাজার উপজেলার শীর্ষ মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল ও তার সহযোগী ফজলুল হক ওরফে ফজুকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১১। 

শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার দাউদকান্দি ব্রিজের টোল-প্লাজা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল (৩৮) আড়াইহাজারের বালিয়াপাড়া এলাকার মোঃ মকবুল হোসেনের পুত্র। অপরদিকে ফজলুল হক ওরফে ফজু (৩০) একই এলাকার আউয়ালের পুত্র।  

গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সূকৌশলে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ক্রয়-বিক্রয়সহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ছিল মর্মে স্বীকার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর বিরুদ্ধে নারয়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী ও মাদক, অপহরণ, চুরি, হত্যা চেষ্টাসহ ১৪-১৫টি মামলা রয়েছে।

এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত আসামি ফজলুল হক ফজু এর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী, অপহরণ, ছিনতাইসহ ৪-৫টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদ্বয়কে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

শুক্রবার বিকেলে র‌্যাব-১১ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বালিয়াপাড়ার মকবুল হোসেনের ছেলে সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল বিগত ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সে আরও বেপোরোয়া হয়ে উঠে। 

পরবর্তীতে সে অবৈধ মাদক সেবন ও ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িয়ে পরে। পরবর্তিতে এক সময় সে এলাকায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি পায়। তখন থেকে সবাই ফেন্সি সোহেল হিসাবে ডাকে। দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রির সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছে। তার পুরো পরিবার মাদকের সঙ্গে জড়িত। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

ফজলুল হক ফজু এই শীর্ষ সন্ত্রাসী-মাদক ব্যবসায়ী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর একান্ত সহযোগী। তাদের ভয়ে এলাকাবাসী ভীত-সন্ত্রস্ত। যারাই তাদের এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদক ব্যবসার বিরোধিতা করে তাদেরকেই সোহেল ও তার সহযোগীরা নির্মমভাবে নির্যাতন করে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আড়াইহাজারে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কমিটি গঠন
  • মুক্তিপণ না পেয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশিকে হত্যা
  • ইসলামী আন্দোলনের বাবুরাইল ইউনিট কমিটি গঠন
  • পরিবার নিয়ে চীন ভ্রমণে নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের সদস্যরা
  • নারায়ণগঞ্জে ফ্যাসিবাদদের পুনর্বাসনের চেষ্টা চালানো হচ্ছে : আবদুল্লাহ
  • আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার
  • নারায়ণগঞ্জে করোনা মোকাবিলায় স্বাস্থ্য বিভাগের প্রস্তুতি গ্রহন
  • রূপগঞ্জে সাংবাদিকতায় বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত