ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে গতিসীমা বাড়ানো হলো
Published: 1st, March 2025 GMT
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে যানবাহন চলাচলের গতিসীমা ৬০ কিলোমিটার থেকে বাড়িয়ে ৮০ কিলোমিটার করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে এই গতিসীমা কার্যকর হয়েছে। এর চেয়ে বেশি গতিসীমায় যানবাহন চালালে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) মামলা করবে।
আজ শনিবার এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে গিয়ে দেখা গেছে, বৈদ্যুতিক বোর্ডে যানবাহন চলাচলের নতুন গতিসীমা জানানো হচ্ছে। রাস্তার পাশে ৮০ কিলোমিটার লেখা সংকেত বসানো হয়েছে। সড়ক বরাবর সামনে বৈদ্যুতিক বোর্ডে ৮০ কিলোমিটার গতিসীমা মেনে চলতে বলা হচ্ছে। তবে এখনো সড়কের পাশে ম্যানুয়াল সংকেতে ৬০ কিলোমিটার লেখা দেখানো হচ্ছে। সেটি সরানো হয়নি।
নতুন গতিসীমা কার্যকর হওয়ার বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন ফার্স্ট ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) কোম্পানি লিমিটেডের যান চলাচল, সুরক্ষা ও নিরাপত্তা বিভাগের পরিচালক ক্যাপ্টেন (অব.
২০২৩ সালের ২ সেপ্টেম্বর এক্সপ্রেসওয়ে চালুর পর থেকে গতিসীমা ৬০ কিলোমিটার নির্ধারণ করা হলেও কখনো তা মেনে চলতে দেখা যায়নি। যানবাহন দ্রুত চলার জন্য যে পথ তৈরি করা হয়েছে, সেখানে এত কম গতিসীমা নির্ধারণ করা নিয়ে সমালোচনা ছিল। কোনো যানবাহনকেই সেই গতিসীমা মেনে চলতে দেখা যায়নি। কর্তৃপক্ষও এ নিয়ে কোনো উচ্চবাচ্য করেনি। গত ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সেন্ট্রাল কন্ট্রোল বিল্ডিংয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে অতিরিক্ত গতিতে যানবাহন চালালে ভিডিও দেখে ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে মামলা দেবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। এর পর থেকে এক্সপ্রেসওয়ের কয়েকটি স্থানে গতিসীমা নজরদারির যন্ত্র স্পিডগান নিয়ে পুলিশের একাধিক দলকে অবস্থান করে অনেক যানবাহনকে মামলা করতে দেখা গেছে। যদিও ওই সময় ৮০ কিলোমিটার গতিসীমা কার্যকর হয়নি।
ফলে বৃহস্পতিবারের আগে যেসব মামলা হয়েছে সেটা কোন গতিসীমা লঙ্ঘন করলে হয়েছে, তা জানতে চাইলে হাসিব হাসান খান বলেন, ‘আমার জানামতে ওই সময় ৮০ কিলোমিটারের বেশি গাড়ি না চালালে কোনো মামলা দেওয়া হয়নি।’ তিনি বলেন, ‘ভিডিও ক্যামেরাগুলো আমাদের কেন্দ্রীয় কমান্ড সেন্টারে। কোনো যানবাহন গতিসীমা অতিক্রম করলে মামলা করার জন্য আমরা পুলিশকে বলব। মামলা করবে ডিএমপি। দিনে গড়ে ৪০০ গাড়ি ৮০ কিলোমিটারের বেশি গতিসীমা অতিক্রম করেছে।’
এর আগে সংবাদ সম্মেলনে হাসিব হাসান খান জানিয়েছিলেন, কেন্দ্রীয় কমান্ড সেন্টারে সার্বক্ষণিক পুলিশ কর্মকর্তাদের উপস্থিত থাকা সম্ভব নয়। সে জন্য তাঁরা একটা কেব্লের মাধ্যমে পুলিশের দপ্তরে সংযোগ দেবেন, যাতে পুলিশ সেখানে বসেই তদারক করতে পারেন। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের যাত্রা শুরুর পর থেকে তাঁরা মূলত পাঁচটি সমস্যা মোকাবিলা করছেন। এগুলো হলো ওভারহিট গাড়ি, চাকা পাংচার হওয়া, জ্বালানি শেষ হয়ে যাওয়া, বিমানবন্দরের যাত্রীসেবা, দুর্ঘটনা। চালুর পর থেকে জানুয়ারি মাস পর্যন্ত বড় আকারের ১০টি দুর্ঘটনা ঘটেছে।
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে দিনে গড়ে ৫৫ হাজার গাড়ি চলাচল করে। এর বেশির ভাগ ব্যক্তিগত। এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজ এখনো শেষ হয়নি। হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে কাওলা থেকে রেললাইন ধরে তেজগাঁও, মগবাজার, কমলাপুর হয়ে যাত্রাবাড়ীর কাছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালীতে গিয়ে শেষ হবে এই সড়ক। পুরো সড়কের দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ৮০ ক ল ম ট র ন গত স ম র পর থ ক র গত স ম ক র যকর ড এমপ
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকায় জামায়াতসহ ৭ দলের বিক্ষোভ আজ, কোথায়, কখন, কোন দল
ফেব্রুয়ারিতে জুলাই সনদের ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ কয়েক দফা দাবিতে রাজধানী ঢাকায় আজ বৃহস্পতিবার একযোগে বিক্ষোভ মিছিল করবে জামায়াতে ইসলামীসহ সাতটি দল।
বিক্ষোভের আগে বায়তুল মোকাররম, জাতীয় প্রেসক্লাবসহ আশপাশের এলাকায় দলগুলো সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করবে। বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এসব কর্মসূচি চলবে।
প্রায় অভিন্ন দাবিতে সাতটি দল তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। আজ প্রথম দিনে রাজধানী ঢাকায়, আগামীকাল শুক্রবার বিভাগীয় শহরে এবং ২৬ সেপ্টেম্বর সব জেলা ও উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি রয়েছে দলগুলোর।
জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, খেলাফত মজলিস, নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) এই কর্মসূচি পালন করবে। সাতটি দলের কেউ ৫ দফা, কেউ ৬ দফা, কেউ ৭ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করলেও সবার মূল দাবি প্রায় অভিন্ন। দাবিগুলো হচ্ছে
জুলাই সনদের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন এবং তার ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান, জাতীয় সংসদের উভয় কক্ষে (কেউ কেউ উচ্চকক্ষে) সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতি চালু করা
অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (সবার সমান সুযোগ) নিশ্চিত করা
বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সব জুলুম, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা এবং জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।
সাড়ে চারটায় জামায়াতআজ বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে চারটায় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ ফটকের সামনে সমাবেশের পর বিক্ষোভ মিছিল করবে জামায়াত। সমাবেশে দলের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের ও সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগর কমিটির নেতারা বক্তব্য দেবেন। জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখার উদ্যোগে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে।
জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম মাসুদ প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ ফটক থেকে মিছিল বের হয়ে পুরানা পল্টন মোড়, জাতীয় প্রেসক্লাব ও মৎস্য ভবনের পাশ দিয়ে শাহবাগ পর্যন্ত যেতে পারে।
বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ ফটক থেকে মিছিল বের হয়ে পুরানা পল্টন মোড়, জাতীয় প্রেসক্লাব ও মৎস্য ভবনের পাশ দিয়ে শাহবাগ পর্যন্ত যেতে পারে।জোহরের পর ইসলামী আন্দোলনজোহর নামাজের পর বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তরে প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ মিছিল করবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। মিছিলে নেতৃত্ব দেবেন দলের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম। ইসলামী আন্দোলনের ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখা যৌথভাবে এ কর্মসূচির আয়োজন করেছে।
জোহর নামাজের পর বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তরে প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ মিছিল করবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।আসরের পর বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসআসর নামাজের পর বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর ফটকের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করবে মাওলানা মামুনুল হকের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস। গতকাল এক বিবৃতিতে দলের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ কর্মসূচিতে সবাইকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
এ ছাড়া খেলাফত মজলিস বেলা তিনটায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে বিক্ষোভ সমাবেশ করবে। এতে দলের মহাসচিব আহমদ আবদুল কাদের প্রধান অতিথির বক্তব্য দেবেন।
একই সময়ে, একই জায়গায় মিছিল করবে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনও। বিকেল চারটায় একই জায়গায় বিক্ষোভ করবে বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি।
আসর নামাজের পর বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর ফটকের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করবে মাওলানা মামুনুল হকের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস।জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) বিকেল সাড়ে চারটায় বিজয়নগর পানির ট্যাংকের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করবে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, রাজধানীর মধ্য এলাকায় একযোগে সাতটি দলের বিক্ষোভের কর্মসূচি ঘিরে নেতা-কর্মীদের সমাগমে সড়কে যানজটের সৃষ্টি হতে পারে। এ জন্য নগরবাসী দুর্ভোগের সম্মুখীন হতে পারেন। যদিও আজ ও আগামীকাল সকালে বিসিএস পরীক্ষা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের জন্য এই সাত দল কর্মসূচি বিকেলে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) বিকেল সাড়ে চারটায় বিজয়নগর পানির ট্যাংকের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করবে।