পবিত্র মাহে রমজানে অন্যতম একটি অনুষঙ্গ হলো ইফতার। রমজান মাসজুড়েই নানা স্বাদের বাহারি রেসিপি লক্ষ করা যায়। সেগুলোর মধ্যে ডেজার্ট অন্যতম। কর্মব্যস্ত দিনের শেষে ইফতারের সময় ‘খুশি’র মাত্রা বাড়িয়ে দিতে আগামীকাল থেকে প্রচার শুরু হচ্ছে ‘ফ্রেশ মিল্ক অবাক খুশির রেসিপি’।
অনুষ্ঠানটির প্রতি পর্বেই ফ্রেশ ইন্সট্যান্ট ফুল ক্রিম মিল্ক পাউডার দিয়ে তৈরি একটি অবাক করা রেসিপি দেখানো হবে। দ্বিতীয়বারের মতো এ আয়োজনের সহযোগিতায় রয়েছে প্রথম আলো ডটকম।
৩০ পর্বে নির্মিত ‘ফ্রেশ মিল্ক অবাক খুশির রেসিপি’ অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনায় রয়েছেন অভিনেত্রী ও মডেল মাসুমা রহমান নাবিলা। রেসিপিগুলো তৈরি করছেন হোটেল ওয়েস্টিন ও শেরাটনের ক্লাস্টার এক্সিকিউটিভ প্যাস্ট্রি শেফ মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান নূর। বিভিন্ন পর্বে অতিথি হিসেবে থাকবেন অভিনয়শিল্পী তানজিম সাইয়ারা তটিনী, পারসা ইভানা, সারিকা সাবাহ; সংগীতশিল্পী ইমরান মাহমুদুল এবং ‘মাহিম মেক’খ্যাত ফুড–ভ্লগার মাহিম আহমেদ।

আয়োজনে ভিন্নমাত্রা যোগ করতে অনুষ্ঠানে রাখা হয়েছে দর্শকের অংশগ্রহণ। প্রতি পর্ব শেষে থাকবে একটি কুইজ, পর্বটি প্রকাশের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উত্তর দিতে হবে কমেন্ট বক্সে। সঠিক উত্তরদাতাদের মধ্য থেকে প্রতি দশ পর্ব শেষে ভাগ্যবান পাঁচজন বিজয়ী পাবেন ফ্রেশের পক্ষ থেকে আকর্ষণীয় পুরস্কার। মেগা বিজয়ী পাবেন ‘আইফোন–১৬’।

আইফোন জিততে হলে অনুষ্ঠানের প্রতিটি পর্বের সঠিক উত্তর দিতে হবে কমেন্টে এবং পর্বগুলো নিজ ফেসবুক প্রোফাইলে ‘পাবলিক’ করে শেয়ার করতে হবে। শেয়ারকারী এবং সঠিক উত্তরদাতাদের মধ্য থেকে মেগা বিজয়ী নির্ধারণ করা হবে। বিজয়ীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে মেসেঞ্জারে। বিজয়ী নির্বাচন এবং ক্যাম্পেইন বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।
‘ফ্রেশ মিল্ক অবাক খুশির রেসিপি’ অনুষ্ঠানটি রমজান মাসের প্রথম দিন থেকে প্রতিদিন বেলা ৩টা ৫৫ মিনিট থেকে দেশের প্রথম সারির আটটি টেলিভিশন চ্যানেলে এবং বিকেল চারটায় প্রচারিত হবে প্রথম আলো ডটকম, প্রথম আলো ও ফ্রেশ মিল্ক পাউডারের ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেলে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ ন প রথম

এছাড়াও পড়ুন:

হামজার সিলেটে হংকং ম্যাচ!

সিঙ্গাপুর ম্যাচ ঘিরে ফুটবল জ্বরে বুঁদ হয়েছিল পুরো দেশ। জাতীয় স্টেডিয়ামে হামজা দেওয়ান চৌধুরী-শমিত সোমদের খেলা দেখতে টিকিটের জন্য অনলাইনে সে কি যুদ্ধ ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে। ফুটবল উন্মাদনার এই রেশটা এবার ঢাকার বাইরে ছড়িয়ে দিতে চায় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। 

৯ অক্টোবর হংকংয়ের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচটি চট্টগ্রাম কিংবা সিলেটে আয়োজনের পরিকল্পনা বাফুফের। তবে স্টেডিয়ামের বর্তমান অবস্থা বিচারে চট্টগ্রামের চেয়ে সিলেটের পরিস্থিতি ভালো। তার ওপর হামজার বিভাগ সিলেট হওয়ায় সেখানেই হতে পারে বাংলাদেশ-হংকং ফুটবল লড়াই। 

বৃহস্পতিবার সমকালের কাছে তেমন ইঙ্গিত দিয়েছেন বাফুফে সহসভাপতি ফাহাদ করিম, ‘আমার খুব ইচ্ছে হংকংয়ের বিপক্ষে ম্যাচটি ঢাকার বাইরে করা। সবকিছু নির্ভর করছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের ওপর।’

সম্প্রতি চট্টগ্রামের এম এ আজিজ স্টেডিয়াম বাফুফেকে বরাদ্দ দিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকবার স্টেডিয়াম পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের কর্তারা। চট্টগ্রাম স্টেডিয়ামে ফ্লাডলাইট নেই। গ্যালারির চেয়ারও ভালো না। এই অবস্থায় চট্টগ্রামে হংকং ম্যাচ আয়োজন করা কঠিন। তবে তিন মাসের মধ্যে ফ্লাডলাইট লাগানো সম্ভব বলে মনে করেন ফাহাদ করিম। 

শেষ পর্যন্ত চট্টগ্রামে না হলে বিকল্প ভেন্যু সিলেটকে চান বাফুফের অন্যতম এ সহসভাপতি, ‘সিলেটে হলেও ভালো। সেখানে ফ্লাডলাইট আছে। গ্যালারিতে ধারণক্ষমতা ১৫ হাজারের মতো। হামজা খেলবেন বলে টিকিটের জন্য যুদ্ধ শুরু হবে সিলেটে।’ 

সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচে টিকিট বিক্রির স্বত্ব পাওয়া টিকিফাইয়ের ওপর অসন্তুষ্ট বাফুফে। এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের সামনের ম্যাচগুলোতেও অনলাইনে টিকিট বিক্রি করা হবে। টেন্ডারে যারা পাবে, তাদেরকে দেবে ফেডারেশন। সেক্ষেত্রে সহজ ডটকম কিংবা বিডি টিকিট ডটকমের যে কোনো একটি প্রতিষ্ঠানকে ম্যাচটির টিকিট বিক্রির স্বত্ব দেওয়া হতে পারে।

১৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে নতুনত্বের ছোঁয়া লাগলেও জাতীয় স্টেডিয়ামের মাঠের ঘাস নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিভিন্ন জাতের ঘাস লাগানোয় খারাপ অবস্থা দেখা যায় মাঠে। তাই তো সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচের পর এ স্টেডিয়ামে নতুন ঘাস বসানোর উদ্যোগ নিয়েছে বাফুফে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অনলাইন মার্কেটপ্লেস এখন হোয়াটসঅ্যাপে
  • হামজার সিলেটে হংকং ম্যাচ!