কিশোরগঞ্জের পৌনে তিনশ’ বছরের প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী শোলাকিয়া ঈদগাহের ইমাম মাওলানা ফরিদ উদ্দীন মাসউদকে সরিয়ে আবারও মাওলানা একেএম সাইফুল্লাহকে নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়েছে। ঈদগা কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খানের সভাপতিত্বে আজ রোববার জেলা কালেক্টরেট সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ঈদ জামাত প্রস্তুতি সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঈদগা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.

এরশাদ মিয়া। 

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর মাওলানা সাইফুল্লাহকে পরিবর্তন করে ইসলাহুল মুসলিমীন বাংলাদশের চেয়ারম্যান মাওলানা ফরিদ উদ্দীন মাসউদকে ইমাম নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। ইমাম সাইফুল্লাহ জেলা বিএনপির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক ওয়ালিউল্লাহ রাব্বানীর ছোট ভাই। এ কারণেই তাঁকে বাদ দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ ছিল। তবে ইমাম সাইফুল্লাহ কোনো রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নন। তাঁর পুনর্বহালের দাবি সব সময়ই ছিল।

মাওলানা সাইফুল্লাহ জানান, তিনি ২০০৪ সাল থেকে শোলাকিয়ায় ইমামতির দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। তাঁকে ২০০৯ সালের ২ সেপ্টেম্বর ইমামতি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।  

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক শ রগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

বিসিবি পরিচালক হলেন রুবাবা দৌলা

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালনা পরিষদের পরিচালক হয়েছেন করপোরেট ব্যক্তিত্ব ও নারী ক্রীড়া সংগঠক রুবাবা দৌলা। তাঁকে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) কাউন্সিলর মনোনীত করে আজ আনুষ্ঠানিকভাবে বিসিবিকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। রুবাবা দৌলার অন্তর্ভুক্তিতে ২৫ সদস্যের বিসিবি পরিচালনা পর্ষদ পূর্ণতা পেয়েছে।

দেশীয় ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থায় এনএসসি মনোনীত কাউন্সিলর থাকেন দুজন। গত ৬ অক্টোবর বিসিবি পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচনের পর এনএসসি যে দুজনকে মনোনয়ন দেয়, তাদের একজন ইসফাক আহসানকে নিয়ে সেদিনই বিতর্ক দেখা দেয়। আজ এনএসসির চিঠিতে ইসফাক আহসান ‘পদত্যাগ করেছেন’ বলে উল্লেখ করা হয়।

ব্যবসায়ী ইসফাকের আওয়ামী লীগের পদে থাকা এবং ২০২৪ সালের বিতর্কিত নির্বাচনে প্রার্থিতার বিষয়টি আলোচনায় এলে এনএসসি তাঁর জায়গায় রুবাবাকে মনোনয়নের সিদ্ধান্ত নেয়। তবে তিনি যে প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন, সেখানে কিছু আনুষ্ঠানিকতা থাকায় রুবাবা তাৎক্ষণিকভাবে দায়িত্ব নেননি।

রুবাবা বর্তমানে বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান ওরাকলের বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের কান্ট্রি ডিরেক্টরের দায়িত্বে আছেন। এর আগে তিনি টেলিকম সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোন ও এয়ারটেলের শীর্ষ পর্যায়ে কাজ করেছেন।

রুবাবা দৌলা দীর্ঘদিন ক্রীড়াঙ্গনের সঙ্গে যুক্ত। ২০০৯ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন এবং একই সময়ে বাংলাদেশ স্পেশাল অলিম্পিকসের বোর্ড সদস্য হিসেবেও যুক্ত ছিলেন।

গ্রামীণফোনে ১৯৯৮ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত প্রধান যোগাযোগ কর্মকর্তা ও প্রধান বিপণন কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তিনি ছিলেন দেশের ক্রীড়াঙ্গনে পরিচিত মুখ। সেই সময় গ্রামীণফোন ছিল বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান স্পনসর (২০০৩-২০১১), আর ২০০৭ সালে বিসিবির সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে মিরপুরে জাতীয় ক্রিকেট একাডেমি স্থাপনেও ভূমিকা ছিল রুবাবার।

আজ বিসিবি পরিচালনা পর্ষদের একটি সভা রয়েছে। রুবাবা দৌলা সভায় যোগ দিতে পারেন। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ থেকে তিনি ছাড়া মনোনীত অন্য কাউন্সিল ইয়াসির মোহাম্মদ ফয়সাল আশিক।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিসিবি পরিচালক হলেন রুবাবা দৌলা