Samakal:
2025-09-18@08:25:13 GMT

কী কারণে বিতর্কে অ্যাপল...

Published: 2nd, March 2025 GMT

কী কারণে বিতর্কে অ্যাপল...

অ্যাপল ব্র্যান্ডের নতুন আসা ১৬-ই মডেল নিয়ে আইফোন ভক্তদের আগ্রহ এখন তুঙ্গে। বিশেষ আগ্রহের অন্যতম কারণ নতুন মডেল দামে সাশ্রয়ী।
ইতিহাস বলছে, প্রথমবার বছরের শুরুতে নতুন কোনো আইফোন উন্মোচন করেছে অ্যাপল। অন্যদিকে আইফোন সিরিজের পুরোনো তিনটি মডেল উঠিয়ে নিয়েছে অ্যাপল। 
জানা গেছে, আইফোন সিরিজের ওই তিনটি মডেল আর কিনতে পারবেন না কেউ।
আইফোন ১৬-ই মডেলে রয়েছে নতুন চিপসেট এ-১৮, ফিউশন ক্যামেরা ৪৮ মেগাপিক্সেল ও অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স কম্প্যাটিবিলিটি। হিসাব বলছে, আইফোন ১৫ মডেলের দাম আইফোন ১৬-ই মডেলের তুলনায় বেশি।
অ্যাপল আইফোন এসই, আইফোন ১৪ আর আইফোন-১৪ প্লাস উঠিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। ইতোমধ্যে থার্ড জেনারেশন আইফোন এসই মডেল তুলনামূলক সাশ্রয়ী দামে পাওয়া সম্ভব। সে অর্থে পুরোনো তিনটি মডেল আর যাবে না গ্রাহকের কাছে।
অ্যাপল কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে আইফোন সিরিজের তিনটি মডেল নিজস্ব সাইট থেকে সরিয়ে নিয়েছে। অ্যাপল ওয়েবসাইটে এখন আইফোন ১৫ ও ১৬ সিরিজের সব মডেল প্রদর্শিত হচ্ছে। উল্লেখ্য, আইফোন ১৬-ই মডেলের প্রি-বুকিং গত ফেব্রুয়ারি থেকেই সচল রয়েছে।
আইফোনে সর্বশেষ মডেলের ‘ই’ সিরিজ নিয়ে কিছুটা যেন বিপাকেই রয়েছে অ্যাপল। বিশ্লেষকরা বলছেন, এখন থেকে প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি বা মার্চে নিয়মিত সরাসরি প্রতিযোগী হিসেবে আইফোনকে চ্যালেঞ্জ করে আরেক জায়ান্ট সিরিজ স্যামসাং গ্যালাক্সি। প্রিমিয়াম মডেলের স্মার্টফোন নির্মাণে আইফোনের পেছনে কাজ করে চলেছে গ্যালাক্সি সিরিজ। সারাবিশ্বে প্রতিযোগিতার আবহ তৈরি না করে আইফোন সব সময় নিজস্ব গতিতে এগিয়ে চলেছে। হয়তো বাজার প্রতিযোগিতায় ভিন্ন আবহ আনতেই তিনটি মডেলের বিপণন থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অ্যাপল কর্তৃপক্ষ। সঠিক কারণ বিশ্লেষণে বাজার গবেষকরা এখনই দ্রুত কোনো মন্তব্য করতে নারাজ। যথাযথ কারণ জানতে কিছুটা সময় অপেক্ষায় থাকতেই হবে। অ্যাপল উদ্ভাবন মানেই ফিউশন আর মিথের মিশেল। ভক্তরা তাই বছর না ঘুরতেই নতুন আইফোন কিনতে যেন মুখিয়ে অপেক্ষা করেন। অপেক্ষা থাকে শুধু ঘোষণার। অ্যাপল কেন তিনটি মডেল আর বিপণন করবে না, তা নিয়ে রহস্য আর হরেক রকম প্রশ্নজাল থেকেই যায়। 
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অ য পল আইফ ন স

এছাড়াও পড়ুন:

প্রাক্তন স্ত্রী দেবশ্রীর সঙ্গে প্রেমের সিনেমা করতে চান প্রসেনজিৎ

ভারতীয় বাংলা সিনেমার তারকা জুটি প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জি ও দেবশ্রী রায়। পর্দায় এ জুটির রোমান্স দেখে মুগ্ধ হয়েছেন অসংখ্য ভক্ত। রুপালি পর্দার রোমান্স ব্যক্তিগত জীবনেও গড়ায়। ভালোবেসে দেবশ্রী রায়কে বিয়ে করেন প্রসেনজিৎ। কিন্তু কয়েক বছর পরই এ বিয়ে ভেঙে যায়। তারপর দুজনের পথ আলাদা হয়ে যায়। 

সংসার ভাঙার পাশাপাশি দর্শক হারান রুপালি পর্দার জনপ্রিয় এই জুটিকে। এরপর আর কোনো সিনেমায় একসঙ্গে দেখা যায়নি তাদের। অবশেষে দূরত্ব কমিয়ে দেবশ্রীর সঙ্গে সিনেমা করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করলেন প্রসেনজিৎ।  

আরো পড়ুন:

নিজেকে তৈরি করে খোলামেলা দৃশ্যে অভিনয় করব: স্বস্তিকা

ছেলের বন্ধুরা ‘দিদি’ বলে ডাকে: শ্রাবন্তী

কিছুদিন আগে ‘আমি যখন হেমা মালিনী’ সিনেমার প্রচারে চিরঞ্জিত চক্রবর্তী বলেছিলেন—“দেব-শুভশ্রী জুটির পর আমি চাই আবার প্রসেনজিৎ-দেবশ্রী জুটি ফিরুক, এই জুটিটা ফেরার অত্যন্ত প্রয়োজন।” ‘দেবী চৌধুরানী’ সিনেমার প্রচারে চিরঞ্জিতের এই বক্তব্য প্রসেনজিৎকে জানানো হয়। 

এ বিষয়ে প্রসেনজিৎ বলেন, “আমি তো চাই দীপকদা একটা স্ক্রিপ্ট লিখুক আমাদের জন্য, আমার বহুদিনের ইচ্ছা ছিল এবং আমি অনেকবার দীপকদাকে বলেছি যে, আমি তোমার পরিচালনায় একটা কাজ করতে চাই। দীপকদা, আমাদের জন্য যদি পরিচালনা করেন তাহলে অবশ্যই আমি সিনেমা করতে চাই। আর আমি নিজেও ব্যক্তিগতভাবে দেবশ্রীর সঙ্গে আবারো একটা পরিণত প্রেমের সিনেমা করতে চাই।” 

তাহলে কী পুরোনো তিক্ততা ভুলে গেছেন প্রসেনজিৎ? জবাবে এই নায়ক বলেন, “আমার কারো সঙ্গে কোনো তিক্ততা নেই। যে আমার সঙ্গে হাসিমুখে কথা বলবে, আমি সব সময় তাদের জন্য আছি। আর কোনো তিক্ততা নিয়ে বাঁচতে চাই না, যে কটা দিন আছি সবার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক নিয়েই থাকতে চাই।” 

এক সময় দেবশ্রীকে নিয়ে কথা বলতে খুব একটা স্বাচ্ছন্দ বোধ করতেন না প্রসেনজিৎ। তবে অভিমান ভুলে কাজের ক্ষেত্রে আবার এক হওয়ার কথা বললেন তিনি। বর্তমানকে ভালোবেসে যেমন এগিয়ে যান, ঠিক তেমনই কি অতীতকেও আঁকড়ে বাঁচেন?  

এ প্রশ্নের জবাবে প্রসেনজিৎ বলেন, “নিজের অতীতকে কখনো উপেক্ষা করা যায় না। মাঝেমাঝেই আমি আমার অতীতে ফিরে যাই; সেই সময়গুলোর জন্যই আজকের আমি। অতীত আমাকে অনেক ভালোবাসা, রাগ-দুঃখ-ক্ষোভ দিয়েছে। আমার ক্ষেত্রে যেটা অল্প কিন্তু তবু আছে সেটা হলো—ঘৃণা। সেটাও পেয়েছি, তবে অতীত যেমনই হোক না কেন, তাকে কখনো ফেলে দেওয়া যায় না। আমরা সবাই মাঝে মাঝে অতীতে ফিরে যাই।” 

সময়ের সঙ্গে অনেক কিছু বদলে গেছে। বর্তমান প্রজন্মের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতেও দ্বিধাবোধ করেন না প্রসেনজিৎ।তার ভাষায়—“এই বদলগুলোকে মেনে না নিলে আমাকে পিছিয়ে পড়তে হবে। আমি প্রচুর বদল দেখেছি, তবে যেই সময় যেটা এসেছে, তার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিয়েছি, এটাই তো করা উচিত। না হলে বর্তমান প্রজন্ম থেকে দূরে সরে যেতে হবে।”

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ