Samakal:
2025-11-03@13:55:23 GMT

কী কারণে বিতর্কে অ্যাপল...

Published: 2nd, March 2025 GMT

কী কারণে বিতর্কে অ্যাপল...

অ্যাপল ব্র্যান্ডের নতুন আসা ১৬-ই মডেল নিয়ে আইফোন ভক্তদের আগ্রহ এখন তুঙ্গে। বিশেষ আগ্রহের অন্যতম কারণ নতুন মডেল দামে সাশ্রয়ী।
ইতিহাস বলছে, প্রথমবার বছরের শুরুতে নতুন কোনো আইফোন উন্মোচন করেছে অ্যাপল। অন্যদিকে আইফোন সিরিজের পুরোনো তিনটি মডেল উঠিয়ে নিয়েছে অ্যাপল। 
জানা গেছে, আইফোন সিরিজের ওই তিনটি মডেল আর কিনতে পারবেন না কেউ।
আইফোন ১৬-ই মডেলে রয়েছে নতুন চিপসেট এ-১৮, ফিউশন ক্যামেরা ৪৮ মেগাপিক্সেল ও অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স কম্প্যাটিবিলিটি। হিসাব বলছে, আইফোন ১৫ মডেলের দাম আইফোন ১৬-ই মডেলের তুলনায় বেশি।
অ্যাপল আইফোন এসই, আইফোন ১৪ আর আইফোন-১৪ প্লাস উঠিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। ইতোমধ্যে থার্ড জেনারেশন আইফোন এসই মডেল তুলনামূলক সাশ্রয়ী দামে পাওয়া সম্ভব। সে অর্থে পুরোনো তিনটি মডেল আর যাবে না গ্রাহকের কাছে।
অ্যাপল কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে আইফোন সিরিজের তিনটি মডেল নিজস্ব সাইট থেকে সরিয়ে নিয়েছে। অ্যাপল ওয়েবসাইটে এখন আইফোন ১৫ ও ১৬ সিরিজের সব মডেল প্রদর্শিত হচ্ছে। উল্লেখ্য, আইফোন ১৬-ই মডেলের প্রি-বুকিং গত ফেব্রুয়ারি থেকেই সচল রয়েছে।
আইফোনে সর্বশেষ মডেলের ‘ই’ সিরিজ নিয়ে কিছুটা যেন বিপাকেই রয়েছে অ্যাপল। বিশ্লেষকরা বলছেন, এখন থেকে প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি বা মার্চে নিয়মিত সরাসরি প্রতিযোগী হিসেবে আইফোনকে চ্যালেঞ্জ করে আরেক জায়ান্ট সিরিজ স্যামসাং গ্যালাক্সি। প্রিমিয়াম মডেলের স্মার্টফোন নির্মাণে আইফোনের পেছনে কাজ করে চলেছে গ্যালাক্সি সিরিজ। সারাবিশ্বে প্রতিযোগিতার আবহ তৈরি না করে আইফোন সব সময় নিজস্ব গতিতে এগিয়ে চলেছে। হয়তো বাজার প্রতিযোগিতায় ভিন্ন আবহ আনতেই তিনটি মডেলের বিপণন থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অ্যাপল কর্তৃপক্ষ। সঠিক কারণ বিশ্লেষণে বাজার গবেষকরা এখনই দ্রুত কোনো মন্তব্য করতে নারাজ। যথাযথ কারণ জানতে কিছুটা সময় অপেক্ষায় থাকতেই হবে। অ্যাপল উদ্ভাবন মানেই ফিউশন আর মিথের মিশেল। ভক্তরা তাই বছর না ঘুরতেই নতুন আইফোন কিনতে যেন মুখিয়ে অপেক্ষা করেন। অপেক্ষা থাকে শুধু ঘোষণার। অ্যাপল কেন তিনটি মডেল আর বিপণন করবে না, তা নিয়ে রহস্য আর হরেক রকম প্রশ্নজাল থেকেই যায়। 
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অ য পল আইফ ন স

এছাড়াও পড়ুন:

নারায়ণগঞ্জে ৪টি আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেলেন যারা

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনের মধ্যে চারটি আসনে বিএনপির দলীয় মনোনীত প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করেছে বিএনপির হাইকমান্ড। শুধু নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি।  

সোমবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায়  গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এসময় বিএনপির জাতীয় স্থানীয় কমিটির একাধিক সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপির ঘোষিত প্রার্থী তালিকায়, নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে মোস্তাফিজুর রহমান দিপু ভূঁইয়া, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনে নজরুল ইসলাম আজাদ, নারায়ণগঞ্জ-৩ আজহরুল ইসলাম মান্নান এবং নারায়ণগঞ্জ-৫ মাসুদুজ্জামান মাসুদ ধানের শীষ প্রতীকের সম্ভাব্য প্রার্থী।

এদিকে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে (সদর-বন্দর) মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে ছিলেন তিনবারের সংসদ সদস্য আবুল কালাম, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান, সাবেক সহসভাপতি আতাউর রহমান মুকুল, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আব্দুস সবুর খান সেন্টু, বর্তমান সদস্যসচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু এবং বিএনপিপন্থী ব্যবসায়ী আবু জাফর আহমেদ বাবুল।

নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা) আসনটি এখনো ফাঁকা রেখেছে দলটি। ধারণা করা হচ্ছে এ আসনটিতে গতবারের মতো জোটের প্রার্থী ছাড় পাবেন। তবে এ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছে সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন, ফতুল্লা থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও ব্যবসায়ী শাহ্ আলম, জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মাশুকুল ইসলাম রাজিব, ফতুল্লা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারী ভূঁইয়া, সদ্য সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরীও রয়েছেন। 

নারায়ণগঞ্জ-৩ (সিদ্ধিরগঞ্জ-সোনারগাঁ) আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ, সদস্য মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন, সাবেক প্রতিমন্ত্রী রেজাউল করিম ও যুব উন্নয়নের সাবেক মহাপরিচালক এসএম ওলিউর রহমান আপেল।

নারায়ণগঞ্জ-২ (আড়াইহাজার) আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য আতাউর রহমান খাঁন আঙ্গুর ও তার ভাতিজা বিএনপির সহঅর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন।

নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জে) আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে ছিলেন দলটির নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী মনিরুজ্জামান মনির, মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দিপু ও জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন।

এদিকে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, “দীর্ঘ ১৬ বছর পর ২৩৮ আসনে আমাদের সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করছি। আমাদের সঙ্গে যারা আন্দোলন করেছেন, তারা যে সমস্ত আসনে আগ্রহী সে সমস্ত আসনে প্রার্থী দেই। আমরা আলোচনার মাধ্যমে প্রার্থী ঘোষণা করবো। এটা আমাদের সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা, এর মধ্যেই পরিবর্তন হতে পারে।

বিশেষ করে, আমাদের শরিক দলগুলোর সাথে আলোচনা এবং স্থায়ী কমিটি যদি মনে করে কোনো আসনে পরিবর্তন আনবে, সেক্ষেত্রে নিয়ম মেনে পরিবর্তন আনবেন।”

সম্পর্কিত নিবন্ধ