ইউএনওর কক্ষে জামায়াত নেতাদের মারধর: পাবনায় বিএনপির চার নেতাকে নোটিশ
Published: 5th, March 2025 GMT
পাবনার সুজানগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কক্ষে জামায়াতের নেতাদের মারধরের ঘটনায় বিএনপির চার নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে কেন্দ্রীয় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
ওই নোটিশ পেয়েছেন সুজানগর উপজেলা বিএনপির সাবেক যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মজিবর রহমান, পৌর যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক বাবু খা, বিএনপির নেতা মোহাম্মদ মানিক খা ও সুজানগর এন এ কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি শাকিল খান।
নোটিশে চার নেতার নাম উল্লেখ করে বলা হয়েছে, ‘পাবনা জেলাধীন সুজানগর উপজেলা ইউএনওর কার্যালয়ে প্রবেশ করে হাঙ্গামা, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিসহ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সাথে অশোভন ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের অভিযোগে চারজনকে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হলো।’
এ বিষয়ে সুজানগর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এ বি এম তৌফিক হাসান বলেন, সরকারি অফিসে এ ধরনের ঘটনা দুঃখজনক। নোটিশ প্রাপ্তির পর দলের ওই চার নেতাকে দ্রুত জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে ইউএনও মীর রাশেদুজ্জামান বলেন, ঘটনাটি খুবই কষ্টদায়ক। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। নির্দেশনা পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুনইউএনওর কক্ষে জামায়াতের ৪ নেতাকে পেটানোর অভিযোগ বিএনপির বিরুদ্ধে২১ ঘণ্টা আগেগত সোমবার বিকেল উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর ফারুকী আজমসহ দলের চার নেতা ইউএনও মীর রাশেদুজ্জামানের কার্যালয়ে যান। ইউএনও ব্যস্ত থাকায় তাঁরা অপেক্ষা করছিলেন। এ সময় উপজেলা বিএনপির সাবেক যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মজিবর রহমানের নেতৃত্বে কয়েকজন বিএনপির নেতা–কর্মী ওই কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। তাঁরা কার্যালয়ে জামায়াত নেতাদের বসে থাকতে দেখে উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। বিষয়টি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। এরপর বিএনপির নেতা মজিবর রহমান কক্ষ থেকে বেরিয়ে দলের অন্য নেতা-কর্মীদের ডাকেন। এরপর আবার কক্ষে ঢুকে ইউএনওর সামনেই জামায়াতের নেতাদের মারধর করেন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। পরে ইউএনও কার্যালয়ের কর্মীরা আহত চারজনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
হামলার ঘটনায় আজ বুধবার দুপুর পর্যন্ত কোনো আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ইউএনও মীর রাশেদুজ্জামান বলেন, ঘটনাটি খুবই কষ্টদায়ক। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। নির্দেশনা পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স জ নগর উপজ ল ব এনপ র
এছাড়াও পড়ুন:
শ্রীবরদীতে ভারতীয় জিরা নিয়ে তুলকালাম
শেরপুরের শ্রীবরদী সীমান্তে ১৬ বস্তা ভারতীয় চোরাই জিরা ও কাপড় আটক করেছেন স্থানীয়রা। পরে স্থানীয় স্বার্থান্বেষী একটি মহল আত্মসাতের উদ্দেশ্যে সেসব জিরা সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। পরে অন্য একটি পক্ষ আবার সেই জিরা আটক করে। এ নিয়ে তুলকালাম কাণ্ড ঘটে।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে উপজেলার ভায়াডাঙ্গা বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
পরবর্তীতে হাসধরা এলাকায় দ্বিতীয়বার আটক হয়। এসময় স্থানীয়রা বেশকিছু বস্তা জিরা লুট করে নিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা পুলিশ ও বিজিবিকে খবর দিলে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে মালামাল উদ্ধার করে তাওয়াকুচা বিজিবি ক্যাম্পে নিয়ে যায়।
স্থানীয়রা জানান, রাত ৯টার দিকে ভারতীয় চোরাই জিরা ও কাপড় বোঝাই একটি ট্রলি ঝিনাইগাতী থেকে ভায়াডাঙ্গা বাজার দিয়ে শ্রীবরদী হয়ে শেরপুরের দিকে যাচ্ছিলো। স্থানীয়রা বিষয়টি টের পেয়ে ট্রলিটি আটক করে। এসময় ট্রলি চালক কৌশলে পালিয়ে যায়।
সেসময় স্থানীয় অপর একটি পক্ষ সুকৌশলে আরেক চালককে দিয়ে ট্রলিটি সরিয়ে নিয়ে যায়। ঘটনা জানাজানি হওয়ার সাথে সাথে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে হাসধরা এলাকায় ট্রলিটি আবার আটক হয়। এসময় প্রায় অর্ধেক মালামাল লুট করে এক পক্ষ।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. ইমন আকন্দ বলেন, “আমরা ভায়াডাঙ্গা বাজারে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। পরবর্তীতে স্থানীয় কয়েকজন নেতা নতুন করে অন্য ড্রাইভার দিয়ে ট্রলি সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। আমরা অবৈধ পাচার হওয়া মালামাল জব্দ হোক এটাই চাই। এছাড়াও যারা মালামাল লুট করেছে এবং এই পাচারের সাথে যারা জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনার দাবি করছি।”
এ ব্যাপারে শ্রীবরদী তাওয়াকুচা বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার নায়েব সুবেদার আতিয়ার রহমান বলেন, “আমরা স্থানীয়দের তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে গিয়ে ১৬ বস্তা অবৈধ মালামাল জব্দ করেছি। এই ব্যাপারে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা চলমান আছে।”
শ্রীবরদী থানার উপ-পরিদর্শক সুলতান আহমেদ বলেন, “আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছার পূর্বেই বিজিবি মালামাল জব্দ করেছে। এই ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।”
ঢাকা/তারিকুল/এস