সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক উপদেষ্টা প্রয়াত এইচ টি ইমামের ছেলে তানভীর ইমামের সাবেক স্ত্রীর গুলশানের বাসায় তল্লাশির নামে তছনছ, ভাঙচুর ও লুটপাটের মামলায় গ্রেপ্তার তিন আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বুধবার (৫ মার্চ) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো.জিয়াদুর রহমান শুনানি শেষে রিমান্ড ও জামিন আবেদন নামঞ্জুর এ আদেশ দেন। 

কারাগারে যাওয়া আসামিরা হলেন- শাকিল খন্দকার, জুয়েল খন্দকার ও শাকিল আহম্মেদ। এর মধ্যে জুয়েল খন্দকার ও শাকিল খন্দকার সম্পর্কে পিতা-পুত্র।

আরো পড়ুন:

কয়েদিদের সঙ্গে হাতাহাতি, আ.

লীগ নেতাদের অন্য কারাগারে স্থানান্তর  

কারাগারের ভেতর সাবেক চেয়ারম্যানের কাছে মিলল ইয়াবা 

এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক মো. ফরিদ হোসেন তাদের আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। আসাম পক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধীতা করে।

শুনানি শেষে আদালত এ আদেশ দেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ মার্চ রাত ১১ টা ৫০ মিনিটে গুলশানে ২ নাম্বার রোডের বাসায় ১৪ থেকে ১৫ জন আকস্মিকভাবে বে-আইনি জনতাবদ্ধভাবে উপস্থিত হয়ে বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাংচুর ও তছনছ করে। বাসার ২ জন লোককে মারধর করে কী কী আছে সে বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। আসামি শাকিল খন্দকার আলমারি ভেঙে একটি স্বর্ণের চেইন, আসামি জুয়েল খন্দকার একটি স্বর্ণের চেইন, শাকিল আহমেদ একটি স্বর্ণের পায়েল, একটি হাতের আংটিসহ মোট ২ ভরি আট আনা স্বর্ণ নেন। যার মূল্য ৩ লাখ টাকা। অন্যান্য আসামিরা  আলমারি থেকে জিনিসপত্র ভাংচুর করে মেঝেতে ফেলে দেয়।

এ ঘটনায় ওই বাসার কেয়ারটেকার আব্দুল মান্নান বাদী হয়ে গুলশান থানায় মামলা দায়ের করেন।

ঢাকা/মামুন/রাসেল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স বর ণ

এছাড়াও পড়ুন:

ডাকাত দেখে অসুস্থ গৃহকর্তা, পানি পান করিয়ে সুস্থ করার পর টাকা-স্বর্ণালংকার লুট

প্রতিদিনের মতো রাতের খাবার সেরে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন ওষুধ ব্যবসায়ী সোবাহান হাওলাদার (৬০)। রাত দুইটার দিকে দরজা ভেঙে একদল ডাকাত ঘরে প্রবেশ করলে তিনি আতঙ্কে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ সময় ডাকাতেরা তাঁকে পানি পান করতে দিয়ে তাঁর সেবাযত্ন করে। পরে তারা স্বর্ণালংকার, টাকা ও মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে পালিয়ে যায়।

গতকাল সোমবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ আমড়াগাছিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া একই বাড়ির সোবাহান হাওলাদারের ভাতিজা আধা পাকা ঘরের দরজা ভেঙে ডাকাত দল টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করেছে।

ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন, ডাক–চিৎকার না দেওয়ায় ডাকাতেরা তাঁদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেনি। তাঁদের দাবি দুই ঘর থেকে সাড়ে তিন ভরি স্বর্ণালংকার, ৩৮ হাজার টাকা ও অন্যান্য মালামাল লুট করা হয়েছে।

ভুক্তভোগীরা হলেন সুবিদখালী বাজারের ওষুধের ব্যবসায়ী সোবাহান হাওলাদার ও তাঁর ভাতিজা ঝাটিবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জহিরুল ইসলাম।

জহিরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, রাত দুইটার দিকে বৈরী আবহাওয়া ছিল। বৃষ্টির মধ্যে মুখোশ পরা একদল ডাকাত তাঁর ঘরের দরজা ভেঙে প্রবেশ করে কাপড় দিয়ে সবার চোখ-মুখ বেঁধে ফেলে। তারা নিজেদের ডাকাত পরিচয় দেয় এবং ঘরের সব আসবাব তছনছ করে ১৮ হাজার টাকা ও আড়াই ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার এবং অন্যান্য মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায়।

ডাকাতেরা দুটি ঘরের সব আসবাব তছনছ করে সাড়ে তিন ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ ৩৮ হাজার টাকা ও অন্যান্য মালামাল নিয়ে গেছে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ডাকাত দেখে অসুস্থ গৃহকর্তা, পানি পান করিয়ে সুস্থ করার পর টাকা-স্বর্ণালংকার লুট
  • রেকর্ড তছনছ করে ১৪ বছরের বৈভবের সেঞ্চুরি