এলডিসি উত্তরণের পর রপ্তানি সক্ষমতা পর্যালোচনায় কমিটি
Published: 9th, March 2025 GMT
২০২৬ সালে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উত্তরণের পর রপ্তানির বিপরীতে নগদ প্রণোদনা দেওয়া যাবে না। এর প্রভাবে চামড়া ও চামড়াজত পণ্য, পাটজাত পণ্য, কৃষি ও প্রক্রিয়াজাত কৃষি পণ্য এবং ওষুধ খাতের রপ্তানি সক্ষমতা ধরে রাখতে কি ধরনের বিকল্প সুবিধা দেওয়া যায় তা পর্যালোচনায় সম্প্রতি আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি গঠন করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিবকে (প্রশাসন ও সমন্বয়) ১১ সদস্যের এ কমিটির সভাপতি । একই বিভাগের মনিটরিং সেলের প্রথম অতিরিক্ত মহাপরিচালক এর সদস্য সচিব। সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে মনিটরিং সেলের মহাপরিচালকসহ বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের একজন করে প্রতিনিধি। এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, ট্যারিফ কমিশন, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো এবং এফবিসিসিআইয়ের একজন করে প্রতিনিধি রয়েছেন।
কমিটির কার্যপরিধিতে উল্লেখ করা হয়, ২০২৬ সালের পর রপ্তানি প্রণোদনা বন্ধ হয়ে গেলে এসব খাতের রপ্তানি সক্ষমতাবাড়াতে কি কি বাধা দেখা দিতে পারে তা নির্ধারণের পাশাপাশি কি উপায়ে তাদের প্রতিযোগিতা ধরে রাখা যায়, তার উপায় বের করতে হবে। এক্ষেত্রে রপ্তানি প্রণোদনা ব্যতীত অন্যান্য কি ধরনের আর্থিক ও অ–আর্থিক সহায়তা দেওয়া যেতে পারে তারও সুপারিশ করবে কমটি।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: এলড স
এছাড়াও পড়ুন:
হামজাদের কোচিং স্টাফ বাড়ছে
পাঁচজন ডাটা অ্যানালিস্টের সঙ্গে সহকারী ফিজিও আছেন চারজন। প্রধান কোচ, সহকারী কোচসহ সিঙ্গাপুর দলের কোচিং স্টাফের সংখ্যা ১৯। তাদের বিপরীতে প্রধান কোচসহ বাংলাদেশের কোচিং স্টাফ মাত্র পাঁচজন। এর মধ্যে ফিজিও আছেন একজন। অনেক সময় একসঙ্গে কয়েকজন ফুটবলার ইনজুরিতে পড়লে বেকায়দায় পড়তে হয় একমাত্র ফিজিওকে। সিঙ্গাপুর দলের কোচিং স্টাফের সংখ্যা দেখে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনও এই দিকে মনোযাগ দিতে যাচ্ছে। বাংলাদেশ দলে কোচিং স্টাফ বাড়ানোর কথা শনিবার মিট দ্য প্রেসে বলেছেন বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল।
বাংলাদেশের কোচিং স্টাফের তালিকা খুবই ছোট। প্রধান কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরার সঙ্গে সহকারী হিসেবে আছেন জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলার হাসান আল মামুন এবং স্পেনের ডেভিড গোমেজ। গোলরক্ষক কোচ মিগুয়েল অ্যাংগেল এবং ফিটনেস কোচ হিসেবে আছেন পেলো। তারা দু’জনই স্পেনের। ফিজিও আবু সুফিয়ান সরকারকেই ফুটবলারদের চোট এবং খেলার সময় আঘাত পেলে দৌড়ে মাঠে যেতে হয়।
একটা দেশের জাতীয় দলে এত কম সংখ্যক কোচিং স্টাফ থাকতে পারে না বলে মনে করেন তাবিথ, ‘যখন আমরা কোনো অফিসিয়ালদের তালিকা তৈরি করি, তখন নানা রকমের অভিযোগ এবং কথা শুনতে হয় যে এত মানুষ কেন যাচ্ছে। তারা ঘুরতে যাচ্ছে কিনা, তাদের কাজটা কী? এসব প্রশ্নও শুনতে হয়। আসলে আপনারা বিশ্লেষণ করে জানবেন যে ২৩ জন প্লেয়ারের পেছনে কিন্তু আরও অনেক অফিসিয়াল দরকার হয়। একটা প্লেয়ার ইনজুরিতে পড়লে কিংবা খেলার পরে তাঁর ম্যাসাজ দরকার হয়। একজন ফিজিও দিয়ে কী আমরা ১৮ ফুটবলারকে সহযোগিতা করব? তাই আমাদের কোচিং স্টাফ, টেকনিক্যাল স্টাফ এবং অ্যাসিসট্যান্স স্টাফ বাড়াব। টিমকে আমরা জোরালোভাবে সাপোর্ট দিয়ে যাব যেন আমরা কোনোভাবেই অন্য ইন্টারন্যাশনাল দলের তুলনায় পিছিয়ে না থাকি। এতে আমাদের কোয়ালিটিও বাড়বে আর র্যাঙ্কিংও বাড়বে।’
শুধু কোচিং স্টাফ বাড়ানোই নয় নতুন নতুন প্রযুক্তি যুক্ত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের ফুটবলে। বিশেষ করে, ফুটবলারদের তথ্য পেতে গেলে সমস্যা পড়তে হয় সংবাদ মাধ্যম থেকে শুরু করে ফুটবলপ্রেমীদের। তাই এবার বাফুফে চালু করতে যাচ্ছে মোবাইল অ্যাপ। এই অ্যাপ ছাড়াও আগামী ছয় মাসের মধ্যে খেলোয়াড়দের তথ্য সমৃদ্ধি করতে চায় দেশের ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। আর নতুন একটা সফটওয়্যার নিয়ে ইতোমধ্যেই কাজ শুরু করে দিয়েছে বাফুফে টেকনিক্যাল কমিটি। যে সফটওয়্যারের মাধ্যমে ১০ জুন সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বে বাংলাদেশের দুর্বলতাগুলো চিহ্নিত করার কাজ করছে বাফুফে। কয়েকদিনের মধ্যেই তা জানাবে ফেডারেশন।