ময়লার ভাগাড়ে পড়ে ছিল হাত-পা বাঁধা পোড়া মরদেহ
Published: 9th, March 2025 GMT
রশিতে বাঁধা হাত-পা। দেহের একটা অংশ পোড়া। দেখে বোঝার উপায় নেই যে, ময়লার ভাগাড়ে পড়ে থাকা মরদেহটি পুরুষ নাকি নারীর। গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভার গড়গড়িয়া মাস্টার বাড়ি এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশের ময়লার ভাগাড় থেকে গলিত এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ রোববার সন্ধ্যায় শ্রীপুর থানা পুলিশ পরিচয়হীন মরদেহটি উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, এক পথচারী ময়লার ভাগাড়ে কলা গাছের গোঁড়ায় কিছু একটা পড়ে আছে দেখতে পান। এগিয়ে গিয়ে দেখেন পচে যাওয়া ও আংশিক পোড়া মরদেহ পড়ে আছে। তাৎক্ষণিক তিনি বিষয়টি স্থানীয়দের জানান। পরে খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।
তারা আরও জানান, বেশ কয়েকটি কলাগাছের গোঁড়ায় পড়ে ছিল পোড়া মরদেহটি। হাত-পা রশি দিয়ে বাঁধা। বিবস্ত্র অবস্থায় পড়ে থাকা লাশটি পচেও গেছে।
শ্রীপুর থানার এসআই সুজন কুমার পণ্ডিত বলেন, লাশটির পরিচয় পাওয়া যায়নি। লাশটি কোনো নারী নাকি পুরুষের তা বোঝা যাচ্ছে না। তবে মাথার চুল দেখে ধারণা করা হচ্ছে, সেটি পুরুষের।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ময়ল র ভ গ ড় মরদ হ
এছাড়াও পড়ুন:
প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিকের লাশ উদ্ধার, হত্যার অভিযোগ পরিবারের
নড়াইলের লোহাগড়ায় প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিক সৈয়দ মাসুম বিল্লাহর (২০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মাসুমের বাম হাতের একটি আঙুলের নখ উপড়ে ফেলার আলামত থাকায় তার পরিবার অভিযোগ করছে, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।
শুক্রবার (১ আগস্ট) দুপুরে কালনা মধুমতি সেতুর পশ্চিম পাশে রাস্তার ওপর মাসুমকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে ইজিবাইকের চালক সুজন শেখ তাকে উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। বিকেলে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
মাসুম বিল্লাহ লোহাগড়া উপজেলার শালনগর ইউনিয়নের মাকড়াইল গ্রামের মৃত সৈয়দ রকিবুল ইসলামের ছেলে।
আরো পড়ুন:
জুলাই হত্যাকাণ্ডের মামলায় চট্টগ্রামে প্রথম অভিযোগপত্র দাখিল
সিলেটে স্কুলছাত্র সুমেল হত্যা: ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৭ জনের যাবজ্জীবন
মাসুমের স্বজনরা জানিয়েছেন, শালনগর ইউনিয়নের এক কিশোরীর সঙ্গে মাসুমের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মেয়েটির বিয়ের খবর পেয়ে শুক্রবার (১ আগস্ট) সকালে তিনি ঢাকা থেকে লোহাগড়ায় আসেন। সকালে পরিবারের সঙ্গে তার শেষবার কথা হয়, এরপর থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল।
মাসুম বিল্লাহর চাচা শরিফুল ইসলাম বলেছেন, “আমরা শুনেছি, সকালে লোহাগড়া বাজারের একটি পার্লারে মেয়েটির সঙ্গে মাসুমের কথা হয়। এর পর মেয়েটির বাবার কাছ থেকে হুমকি পায় সে। পরে হাসপাতাল থেকে ফোন পেয়ে মাসুমের মৃত্যুর খবর জানি। তার বাম হাতের নখ উপড়ানো ছিল। সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।”
মাসুমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া ইজিবাইক চালক সুজন বলেছেন, “ঘটনাস্থলে কোনো দুর্ঘটনার চিহ্ন ছিল না। তবে মনে হয়েছে, কেউ মাসুমকে গাড়ি থেকে ফেলে দিয়েছে।”
লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম শনিবার (২ আগস্ট) সকালে সাংবাদিকদের বলেছেন, “আমরা মাসুম বিল্লাহকে মৃত অবস্থায় লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে থানায় নিয়ে আসি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।”
ঢাকা/শরিফুল/রফিক