তাহিরপুরের টাঙ্গুয়ার হাওরে তিন শতাধিক হাঁসের মৃত্যু হয়েছে। সাম্প্রতিক এ ঘটনায় টাঙ্গুয়ার হাওর গ্রাম উন্নয়ন কমিটির কোষাধ্যক্ষ আবুল কালামের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে থানায়।
গত ৮ মার্চ হাওরের চটান্নিয়া বিলে বিষক্রিয়ায় তিন শতাধিক হাঁসের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় সোমবার তাহিরপুর থানায় অভিযোগ দেন উপজেলার রামসিংহপুরের খামারি কাজল মিয়া। এতে আবুল কালামসহ ১১ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। কাজলের দাবি, বিষ ছিটিয়ে হাওরে মাছ শিকার করা হয়েছে। পরে সেখানে গেলে বিষক্রিয়ায় হাঁসগুলোর মৃত্যু হয়।
এদিকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, ওই ঘটনার সঙ্গে আবুল কালামের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তাঁর কাঁধে এই দায় চাপানো হয়েছে অন্য ঘটনার জের ধরে, প্রতিহিংসার বশে।
পূর্ববর্তী ঘটনার অনুসন্ধানে জানা যায়, চটান্নিয়া বিল সেচে মাছ ধরার অভিযোগ রয়েছে খামারি কাজল মিয়ার বিরুদ্ধে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছে উপজেলা নির্বাহী অফিস। এ নিয়ে কোষাধ্যক্ষ আবুল কালামের অভিযোগের পর ৪ মার্চ ইউএনও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় কাজল মিয়ার সেচ পাম্পটি জব্দ করে গোলাবাড়ি ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়।
এর তিন দিন পর বিলে মরা হাঁসের খবর পেয়ে সেখানে যান ইউএনও। এ সময় তিনি ক্ষতিগ্রস্তকে অভিযোগ দায়ের করার পরামর্শ দেন। এ ঘটনায় কাজল 
মিয়া গ্রাম উন্নয়ন কমিটির কোষাধ্যক্ষ আবুল কালামসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় লিখিত অভিযোগ দেন।
কালামের বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে ক্ষোভ জানিয়েছেন গ্রাম উন্নয়ন কমিটির নেতারা। তারা বলছেন, পাম্প জব্দের জের ধরেই হাঁস মরার ঘটনায় আবুল কালামকে ফাঁসানো হচ্ছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ইউএনও আবুল হাসেম বলেন, টাঙ্গুয়ার হাওরে কাজল মিয়ার একটি সেচ পাম্প জব্দ করা হয়েছিল। এ ব্যাপারে অভিযোগ করেছিলেন কোষাধ্যক্ষ আবুল কালাম। প্রতিহিংসার জেরে কালামকে হাঁস মারার ঘটনায় অভিযুক্ত করেছেন কাজল মিয়া। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ঘটন য়

এছাড়াও পড়ুন:

শেরপুরে বেশি দামে সার বিক্রি: ২ ব্যবসায়ীকে সোয়া লাখ টাকা জরিমানা

শেরপুরে সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে সার বিক্রি করায় দুই সার ব্যবসায়ীকে প্রায় সোয়া লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। 

মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শেরপুর পৌর শহরের আখের মাহমুদ বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় এক বিএডিসি সার ডিলারকে ১ লাখ টাকা ও লাইসেন্সবিহীন সার বিক্রি করায় আরেক ব্যবসায়ীকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

আরো পড়ুন:

সোনারগাঁয়ে মহাসড়কে ১০০০ স্থাপনা উচ্ছেদ

ঝিনাইদহে ২৫০টি অবৈধ জাল জব্দ, বাঁধ উচ্ছেদ

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ভুইয়া আদালত পরিচালনা করেন। তিনি জরিমানার তথ্য জানান।  

ইউএনও আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ভুইয়া বলেন, ‘‘সার বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দুই অসাধু ব্যাবসায়ীকে জরিমানা করা হয়েছে। কৃষকের উপর জুলুম মেনে নেওয়া হবে না।’’ 

তিনি আরো বলেন, ‘‘আমাদের বিভিন্ন সোর্স এ সব অসাধু ব্যবসায়ীদের খোঁজখবর রাখছেন। যার বিরুদ্ধে প্রমাণ পাওয়া যাবে, তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।’’ জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে বলেও জানান তিনি।

অভিযানকালে সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুসলিমা খানম নীলু, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেনসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি রোপা আমন মৌসুমে কৃত্রিম সার সংকট দেখিয়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে কৃষকদের কাছে সার বিক্রি করছেন। বেশি দাম নেওয়ার অভিযোগ পেয়ে মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শহরের আখের মাহমুদ বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে বেশি দামে সার বিক্রির প্রমাণ পেয়ে বিএডিসি সার ডিলার মেসার্স মীম এন্টারপ্রাইজকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেন। একইসঙ্গে লাইসেন্সবিহীন সার বিক্রয় করায় একই বাজারের কীটনাশক বিক্রেতা শিশির এন্টারপ্রাইজকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

শেরপুর সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুসলিমা খানম নীলু বলেন, ‘‘আমন মৌসুসে সারের দাম ও চাহিদার ভারসাম্য রক্ষায় আমরা নিয়মিত অভিযান করছি। আমরা যেখানে অভিযোগ পাচ্ছি, সেখানে অভিযান পরিচালনা করছি। সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে সার বিক্রির সুযোগ নেই।’’

ঢাকা/তারিকুল/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পাবনায় পুলিশ দেখে পালালেন শিকারিরা, উদ্ধার ৪৫টি ঘুঘু অবমুক্ত
  • শেরপুরে বেশি দামে সার বিক্রি: ২ ব্যবসায়ীকে সোয়া লাখ টাকা জরিমানা