অভিনয়ের প্রশিক্ষণ নিতে বিদেশ যাচ্ছেন পারসা
Published: 11th, March 2025 GMT
অভিনেত্রী ও মডেল পারসা ইভানা অভিনয় দিয়ে দর্শক প্রশংসা কুড়িয়েছেন। এবার হাতেকলমে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্রিম্যান স্টুডিওতে অভিনয় শেখার প্রশিক্ষণ নেবেন তিনি।
দীর্ঘদিন ধরে ‘দ্য ফ্রিম্যান স্টুডিও’র প্রতিষ্ঠাতা স্কট অভিনয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছেন। তিনিই কিছুদিন আগে পারসার ইভানার অনলাইনে অডিশন নিয়ে পরবর্তীতে গত ৮ মার্চ তাকে স্কটের স্টুডিওতে অভিনয় শেখার ব্যাপারে চূড়ান্ত করেছেন।
এ প্রসঙ্গে পারসা বলেন, ‘কিছুদিন আগে জুমে অডিশন দিয়েছি। স্কট নিজে ইন্টারভিউ নিয়েছেন। তিনি আমাকে বললেন, তুমি তো তোমার দেশে অভিনয়ে এই প্রজন্মের একজন স্টার। কেন তুমি অভিনয়ে আরও প্রশিক্ষণ নিতে চাও। উত্তরে আমি বললাম, আমি কখনও অভিনয় শিখিনি। তাই অভিনয়ের বিষদ জানতে চাই। এরপর অভিনয় করে দেখালাম, তিনি আমার অভিনয়ে ভীষণ মুগ্ধ হলেন এবং বললেন, তুমি অভিনয় প্রশিক্ষণ গ্রহণ করার জন্য চূড়ান্ত হয়েছে। যেন ভালোভাবে প্রশিক্ষণ নিতে পারি এ জন্য সবার কাছে দোয়া চাই।’
আগামী এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের উদ্দেশে দেশ ছাড়বেন পারসা।
প্রসঙ্গত, আগামী ঈদে ইশতিয়াক আহমেদ রুমেলের পরিচালনায় নির্মিত ‘হোসেইন’ নাটকে পারসা ইভানাকে দেখা যাবে। এতে তার সহশিল্পী পলাশ ও পাভেল।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ন টক
এছাড়াও পড়ুন:
২০ বছর পর সাংবাদিক মানিক সাহা হত্যা মামলার আসামির আত্মসমর্পণ
দীর্ঘ ২০ বছর পলাতক থাকার পর খুলনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক মানিক চন্দ্র সাহা হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি আব্দুস সাত্তার ওরফে ডিসকো সাত্তার আত্মসমর্পণ করেছেন। সোমবার খুলনা বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন তিনি। ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মঞ্জুরুল ইমাম জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠান।
ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) জিল্লুর রহমান খান সমকালকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সাত্তার ওরফে ডিসকো সাত্তার বাগেরহাট জেলার মোরেলগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা নুর মোহাম্মাদ ওরফে নুরুর ছেলে। হত্যাকাণ্ডের পর দীর্ঘ ২০ বছর ধরে তিনি পলাতক ছিলেন।
জানা যায়, ২০০৪ সালের ১৫ জানুয়ারি খুলনা প্রেসক্লাব অদূরে সন্ত্রাসীদের বোমার আঘাতে খুন হন সাংবাদিক মানিক চন্দ্র সাহা।
ট্রাইব্যুনালের উচ্চমান বেঞ্চ সহকারী মাজাহারুল ইসলাম জানান, সোমবার দুপুরের পর আদালতে উপস্থিত হন ডিসকো সাত্তার। ওকালত নামায় তিনি উল্লেখ করেন, জীবন এবং জীবিকার তাগিদে খুলনার বাইরে থাকায় মামলার রায় প্রচারের সময়ে আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি। তিনি রায়ের বিষয়টি অবগত ছিলেন না।
ট্রাইব্যুনাল থেকে জানা গেছে, সাংবাদিক মানিক চন্দ্র সাহা হত্যার দু’দিন পর ২০০৪ সালের ১৭ জানুয়ারি খুলনা সদর থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) রণজিৎ কুমার দাস বাদী হয়ে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খুলনা সদর থানার তৎকালীন ওসি মোশাররফ হোসেন ২০০৪ সালের ২০ জুন হত্যা মামলার চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিট দাখিলের পর থেকে ডিসকো সাত্তার পলাতক ছিলেন।
দীর্ঘ এক যুগ পর বিচারিক প্রক্রিয়া শেষ করে ২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর আদালত মানিক চন্দ্র সাহা হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন। মামলায় ৯ জন আসামিকে দোষী সাবস্ত করে যাবজ্জীবন কারদণ্ড প্রদান করেন।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- সুমন ওরফে নুরুজ্জামান, বুলবুল ওরফে বুলু, আকরাম হোসেন ওরফে আকরাম ওরফে বোমরু আকরাম ওরফে বোমা আকরাম ওরফে ফাটা, আলী আকবর সিকদার ওরফে শাওন, ছাত্তার ওরফে ডিসকো সাত্তার, বেল্লাল, মিঠুন ওরফে মিটুল, সাকা ওরফে শওকাত হোসেন, সরো ওরফে সরোয়ার হোসেন।
মামলায় দু’জন খালাস পেয়েছিলেন। তারা হলেন হাই ইসলাম ও কচি ওরফে ওমর ফারুক।