স্বামী–স্ত্রীসহ ৮ সদস্যের পরিবারে ৬ জনই প্রতিবন্ধী, কোনোমতে চলে সংসার
Published: 14th, March 2025 GMT
নিম্নমানের ইটের প্রাচীরের ওপর টিনের চালার ঘর। টিনগুলোতে মরচে ধরেছে, কোথাও ফুটো হয়ে গেছে। চার সন্তানকে নিয়ে সেই ঘরের বারান্দায় বসে আছেন আরিকুল্লাহ। কেউই সুস্থ নন, শারীরিক প্রতিবন্ধী। তাঁদের পেছনে দাঁড়িয়ে থাকা আরিকুল্লার স্ত্রী রেজিয়া বেগমেরও পায়ে সমস্যা থাকায় হাঁটতে পারেন না।
আরিকুল্লাহ–রেজিয়া দম্পতির বাড়ি রাজশাহীর বাগমারার গণিপুর ইউনিয়নের মহব্বতপুর গ্রামে। তাঁরাসহ পরিবারের মোট সদস্য আটজন। তাঁদের মধ্যে ছয়জনই শারীরিক প্রতিবন্ধী। যদিও কেউই প্রতিবন্ধী হয়ে জন্মগ্রহণ করেননি। ১১-১২ বছর বয়সে এসে অসুস্থতা থেকে পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন তাঁরা। এখন বিনা চিকিৎসায় আর খাবারের সংকটে কোনোমতে দিনযাপন করছেন।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে মহব্বতপুর গ্রামে গিয়ে পরিবারটির দুর্দশা দেখা যায়। বারান্দায় বসে থালায় সামান্য কিছু ভাত নিয়ে বসে থাকতে দেখা যায় পক্ষাঘাতগ্রস্ত আরিকুল্লাহকে (৬৪)। পাশে থাকা প্রতিবন্ধী ময়েন (৪৫) বারবার বাবার থালার দিকে তাকাচ্ছিলেন। তবে খাবার থালা একটাই। কিছুক্ষণের মধ্যে ঘরের ভেতরে থাকা আরও তিনজনকে বারান্দায় আনা হয়। সবাই শারীরিক প্রতিবন্ধী। এই ছয়জনের মধ্যে কথা বলতে পারেন স্বামী-স্ত্রীসহ তিনজন। বাক্শক্তি নেই অপর তিনজনের।
আরিকুল্লাহ-রেজিয়া বেগম দম্পতির ছয় সন্তানের মধ্যে দুই ছেলে রেজাউল হক (৪৩) ও রাজু আহমেদ (৩৪) সুস্থ রয়েছেন। তাঁদের উপার্জনে চলে সংসার। প্রতিবন্ধী মা–বাবা এবং ভাইবোনদের চালাতে গিয়ে নিজের সংসার গড়ার কথা যেন ভুলে গেছেন রেজাউল হক। তিনি পরিবারের অন্য সদস্যদের গল্প শোনান।
১১-১২ বছর বয়সে এসে অসুস্থতা থেকে পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার সকালে রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার মহব্বতপুর গ্রামে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আর ক ল ল হ পর ব র
এছাড়াও পড়ুন:
নাটোরে ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল একজনের
নাটোরে ছুরিকাঘাতে খোরশেদ আলম (৫৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। বুধবার (৩০ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টায় সদর উপজেলার তেগাছি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত খোরশেদ ওই এলাকার ইউনুস আলীর ছেলে ও পেশায় রিকশাচালক ছিলেন। অভিযুক্ত সালমান (১৭) একই এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সালমানের বিরুদ্ধে মোবাইল চুরির অভিযোগ আনেন খোরশেদ আলম। এ ঘটনায় সালমান ক্ষিপ্ত হয়ে খোরশেদকে কুপিয়ে জখম করে। স্বজনেরা তাকে উদ্ধার করে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আরো পড়ুন:
নোয়াখালীর মাদরাসায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু, পরিবারের দাবি হত্যা
পুলিশ পরিদর্শক মাসুদুর রহমান আত্মগোপনে
নাটোর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহাবুর রহমান বলেন, ‘‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অভিযুক্ত সালমানকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে। এ বিষয়ে মামলাসহ পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।’’
ঢাকা/আরিফুল/রাজীব