জামাল ভূঁইয়া, তারিক কাজীর মতো প্রবাসী ফুটবলাররা লাল-সবুজের জার্সি গায়ে জড়িয়েছেন। তাদের সঙ্গী হওয়ার অপেক্ষায় হামজা দেওয়ান চৌধুরী। ২৫ মার্চ শিলংয়ে ভারতের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বের ম্যাচ দিয়েই বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেক হতে যাচ্ছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা এ ডিফেন্ডারের। বর্তমানে শেফিল্ড ইউনাইটেডে খেলা এ ফুটবলারকে বরণের সব প্রস্তুতি চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। 

সময় কম থাকায় হামজার জন্য কোনো সংবর্ধনার আয়োজন করছে না বাফুফে। তবে হামজার সিলেট নামা থেকে শুরু করে ঢাকায় আসা, তার পর ভারতে যাওয়া পর্যন্ত তাঁর জন্য বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে দেশের ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। হামজার চলাচলের জন্য বাফুফের একটি বিশেষ গাড়ি এবং সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার জন্য একজন অফিসিয়ালকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে গতকাল সমকালকে নিশ্চিত করেছেন বাফুফের অন্যতম সহসভাপতি ফাহাদ করিম, ‘তিনি (হামজা) ১৭ তারিখে সিলেট বিমানবন্দরে নামবেন। সেই সময় তাঁকে বরণ করে নেবেন বাফুফের তিন-চারজন নির্বাহী সদস্য। এর পর তিনি চলে যাবেন হবিগঞ্জ। সেখানে যাওয়ার ট্রান্সপোর্ট বাফুফে ব্যবস্থা করেছে। তাঁর জন্য বিশেষ একটি গাড়ি ও নিরাপত্তার জন্য একজন অফিস বয় থাকবে সারাক্ষণ। প্রশাসনকেও জানানো হয়েছে।’

বাংলাদেশের ফুটবলে অতীতে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা কাউকে দেখা যায়নি। আর বর্তমানে দেশের ক্রীড়াঙ্গনে এতবড় তারকাও নেই। বর্তমানে হামজাকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে শুরু করে সব জায়গায় উন্মাদনা বইছে। বাফুফে চাইছে সেই উন্মাদনা কাজে লাগাতে। প্রথমে হামজাকে লালগালিচা সংবর্ধনা দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল। 

সময় স্বল্পতার কারণে তা সম্ভব নয় বলে জানান ফাহাদ, ‘সংবর্ধনা দেওয়ার সুযোগ নেই। সরাসরি এসে ক্যাম্পে যোগ দেবেন। যদি ১৭ তারিখ সরাসরি কিংবা ১৮ তারিখেও ঢাকায় আসতেন, তাহলে সংবর্ধনা বা অন্য কিছু দেওয়া যেত।’ 

তবে ২০ মার্চ ভারত যাওয়ার আগে হামজাকে মিডিয়ার সামনে আনার পরিকল্পনা ফেডারেশনের। হবিগঞ্জ থেকে ১৮ তারিখ রাতে কিংবা ১৯ তারিখ সকালে ঢাকায় ফেরার সম্ভাবনা হামজার। এর পর ঢাকার একটি পাঁচতারকা হোটেলে দলীয় ফটোশুট হবে। দলের সঙ্গে ক্যাম্পে যোগ দেওয়া হামজা ঢাকায় অনুশীলন করবেন কিনা, তা নির্ভর করছে কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরার ওপর।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র জন য ফ টবল

এছাড়াও পড়ুন:

সিদ্দিককে মারধর ও শিল্পীদের বিরুদ্ধে মামলা, যা বললেন অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি

শোবিজের একঝাঁক একঝাঁক অভিনয়শিল্পীকে হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি করা হয়েছে। প্রথমে ইরেশ যাকের, তারপর সুবর্ণা মুস্তাফা, অপু বিশ্বাস, নুসরাত ফারিয়া, নিপুণসহ ১৭ অভিনয়শিল্পীর নাম প্রকাশ্যে এসেছে। এরই মধ্যে গতকাল অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর ও লাঞ্ছিত করে রাজধানীর রমনা থানায় সোপর্দ করা হয়। এসব বিষয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চর্চা চলছে। এ নিয়ে অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি আজাদ আবুল কালাম নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন।

সিদ্দিকের ওপর হামলা ও লাঞ্ছনা ঘটনা নিয়ে আজাদ আবুল কালাম গণমাধ্যমে বলেন, “সিদ্দিকের সঙ্গে যা ঘটেছে, এটা তো মব। এই মব ভায়োলেন্সকে তো ঠেকাচ্ছে না। কেন যেন মনে হচ্ছে, মব ভায়োলেন্সকে নীরবে বলা হচ্ছে, করে যাও। আমাদের কিছুই করার নেই। একজনের রাজনৈতিক চিন্তাচেতনা থাকতে পারে। অভিনেতা হিসেবে সিদ্দিক সবার কাছে পরিচিত। কিছু লোক তাকে এভাবে রাস্তায় ধরে মেরে দেবে!”

প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে আজাদ আবুল কালাম বলেন, “দলবদ্ধভাবে সিদ্দিককে শারীরিকভাবে আঘাত করেছে, আক্রমণ করেছে, গায়ে থেকে জামাকাপড় খুলে ফেলেছে, এরপর থানায় সোপর্দ করেছে। থানায় যদি সোপর্দ করতেই হয়, তাহলে প্রথমে কেন আইন হাতে তুলে নিল? তাকে হেনস্তা করে আইনের হাতে তুলে দেবে— এই মব জাস্টিস, মব ভায়োলেন্স সমাজে বিশৃঙ্খলা তৈরি করছে। এটা তো একটা সময় নানা স্তরে হবে। এসব কর্মকাণ্ড সরকারকেও প্রশ্নবিদ্ধ করছে। সরকারকে পদক্ষেপ নিতে হবে, যেখানে মব ভায়োলেন্স, সেখানে কঠোর হস্তে দমন করবে।”

ঢালাওভাবে অভিনয়শিল্পীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের বিষয়ে বিস্মিত আবুল কালাম আজাদ। তিনি বলেন, “ঢালাওভাবে হত্যা মামলা হচ্ছে! দেখে মনে হচ্ছে, সবাইকে মামলার মধ্যে ফেলতে হবে। ৩০০-৪০০ জন মামলার আসামি, এটা অবাস্তব একটা অবস্থা। একজন সুবর্ণা মুস্তাফার মতো শিল্পী রাস্তায় গিয়ে মানুষকে গুলি করবে? যে মানুষটি মামলা করেছেন, তিনি আন্দোলনের সময় আহত হয়েছেন, গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন; তিনি মামলা করেছিলেন অনেক লোকের নামে। মামলার নথিতে শিল্পীদের অনেকের নাম দেখলাম, তারা রাস্তায় নেমে মানুষকে গুলি করবে!”

সরকারিভাবে এ ধরনের মামলাকে প্রতিরোধ করা উচিত বলে মনে করেন আজাদ আবুল কালাম। তিনি বলেন, “সরকারিভাবে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারেরও উচিত হবে এ ধরনের মামলাকে প্রতিরোধ করা। নিরুৎসাহিত করা। যে ব্যক্তি মামলা করছেন, যদি প্রমাণিত হয়, শিল্পীরা কেউই গুলি করেনি, তখন তো এটা মিথ্যা মামলা হবে। এ রকম মিথ্যা মামলার ক্ষেত্রে, যে ব্যক্তি শিল্পীদের নামে মামলা করেছেন, তার কী শাস্তি হবে, তারও বিধান থাকতে হবে।”

“কারো বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে, তা জানানোর একটা প্রক্রিয়া আছে। শুধু শিল্পী না, একজন খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধেও যদি কোনো অভিযোগ থাকে, তাহলে আপনি তার অপরাধ প্রমাণিত হওয়ার আগপর্যন্ত তাকে অপরাধী বলতে পারেন না। তাকে সামাজিকভাবে হেয় করতে পারেন না। মামলা করে তাকে সামাজিকভাবে হেয় করা শুরু করলেন, এই প্রক্রিয়া যদি চলতে থাকে, এটাই যদি আমাদের মনস্তত্ত্ব হয়, তাহলে বিভক্তি আরো বাড়বে।” বলেন আবুল কালাম আজাদ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নাটোরে ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল একজনের
  • ফরিদপুর জেলা এনসিপি’র কমিটি গঠনের দায়িত্বে মহিলা আ’লীগ সভাপতির মেয়ে
  • ফরিদপুর জেলা এনসিপি’র কমিটি গঠনের দায়িত্বে মহিলা আ’লীগ সভাপতি মেয়ে
  • ৫০ পেরোনো নারীর খাদ্যাভ্যাস যেমন হতে হবে
  • যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ করতে কাজ করছে চীন
  • সেলফি’র ধাক্কায় গণস্বাস্থ্যের কর্মীর মৃত্যু, ৬ বাস আটক
  • পেহেলগামে হামলার পর প্রতিশোধের আশঙ্কায় দিন কাটছে ভারতীয় মুসলিমদের
  • প্রথম আলোর সাংবাদিককে বৈষম্যবিরোধী নেতার হুমকি, থানায় জিডি
  • গাজীপুরে জমি নিয়ে বিরোধে সংঘর্ষ, হাতুড়িপেটায় একজন নিহত
  • সিদ্দিককে মারধর ও শিল্পীদের বিরুদ্ধে মামলা, যা বললেন অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি