কাঁথা–কম্বল উঠে গেছে আলমারিতে। সূর্যের উত্তাপও বার্তা দিচ্ছে, সামনেই গ্রীষ্মকাল। গরম থেকে স্বস্তি পেতে তাই ফ্যানের চাহিদা বাড়তে শুরু করেছে। আধুনিক সিলিং ফ্যানের পাশাপাশি রিচার্জেবল ফ্যানের চাহিদাও বেড়েছে বাজারে। ইলেকট্রনিক ব্র্যান্ডগুলোও ক্রেতার চাহিদা ও রুচিকে প্রাধান্য দিয়ে আনছে বিভিন্ন মডেলের ফ্যান। ফ্যাশনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে গ্যারান্টিসহ বিদ্যুৎসাশ্রয়ী ফ্যান কিনতে চান ক্রেতারা।
একসময় পাকিস্তান ও ভারত থেকে আমদানি করা ফ্যানেই মানুষ ভরসা করত। সময় পাল্টেছে। ফ্যানের বাজারের একটা বড় অংশই এখন দেশীয় ব্র্যান্ডের দখলে। এর মধ্যে ওয়ালটন, যমুনা, আরএফএল, কনকা, বিআরবি, এনার্জিপ্যাকের মতো ব্র্যান্ড উল্লেখযোগ্য।
বাজারের প্রচলিত ফ্যানগুলো সাধারণত ৮০ থেকে ১০০ ওয়াটের হয়ে থাকে। কিন্তু ওয়ালটনের ব্রাশলেস ডিরেক্ট কারেন্ট মোটর বা বিএলডিসি প্রযুক্তির ফ্যান ৩৫ ওয়াটের। এসব সুপার সেভার মডেল প্রায় ৬৫ শতাংশ পর্যন্ত বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে পারে। এ ছাড়া তাদের রিচার্জেবল সিলিং ফ্যান সর্বোচ্চ ১২ ঘণ্টা ও অন্যান্য রিচার্জেবল ফ্যান কমপক্ষে ৪-৫ ঘণ্টা পর্যন্ত বাতাস দিতে সক্ষম। ব্র্যান্ডটির সিলিং ফ্যান তিন পাখার হলেও কিছু টেবিল ফ্যান ও স্ট্যান্ড ফ্যান পাঁচ পাখার হয়ে থাকে। ২ হাজার ৫০০ থেকে ৭ হাজার টাকায় এসব ফ্যান বিক্রি করছে ওয়ালটন। পাঁচ বছরের বিক্রয়োত্তর সেবায় মিলবে মোটর রিপ্লেসমেন্টের সুবিধা।
আরও পড়ুনসিলিং ফ্যান পরিষ্কার করার এই বুদ্ধি কি জানতেন০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ওয়ালটন ইলেকট্রিক্যাল অ্যাপ্লায়েন্সের চিফ বিজনেস অফিসার সোহেল রানা প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রযুক্তি ও ফ্যাশনের সমন্বয়ে আমরা পণ্য তৈরি করি। যেমন বিএলডিসি প্রযুক্তিতে আমরা লাইটকিট ফ্যান এনেছি। বিদ্যুৎসাশ্রয়ী এ ফ্যানে লাইটও জ্বলবে। রিমোট দিয়ে লাইটের তিনটি রং পরিবর্তন করা যাবে৷ এ ছাড়া আমাদের ফ্যানে সেফটি ওয়্যার থাকে। তাই ফ্যান ছিঁড়ে পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই।’
থার্মাল প্রোটেক্টর ব্যবহার করায় ভোল্টেজ কম–বেশি হলেও ওয়ালটন ফ্যানের মোটর নিরাপদ থাকে। ১২টি সিলিং ফ্যানের মডেলসহ টেবিল ফ্যান, স্ট্যান্ডিং ফ্যান, রিচার্জেবল ফ্যান ইত্যাদি মিলিয়ে ওয়ালটনের প্রায় ৭০টি মডেলের ফ্যান বাজারে আছে।
যমুনা ব্র্যান্ডের সুপার ডিলাক্স ও লাক্সারি মডেলের বেশ কিছু রং ও আকারের ফ্যান বাজারে আছে। ছিমছাম ডিজাইনের এসব ফ্যানের চাহিদাও ভালো। বিশেষ করে তুলনামূলক কম দামে যাঁরা পণ্যটি কিনতে চান, যমুনা তাঁদের পছন্দের তালিকায় অন্যতম। ১২ বছরের রিপ্লেসমেন্ট ওয়ারেন্টি পাওয়া যাবে যমুনা ফ্যানে।
মিরপুরের শেওড়াপাড়ার যমুনা প্লাজার ব্র্যাঞ্চ ম্যানেজার জিহাদুল ইসলাম বলেন, যমুনা ফ্যানের
শব্দ নেই, ওয়ারেন্টিও ভালো । ৩১০ আরপিএমের কারণে বাতাস দেয় বেশি। অনেক বছর ধরেই মানুষ তাই এই ফ্যান পছন্দ করছে। রিচার্জেবল ফ্যানও উৎপাদন করে যমুনা। এটি কিনতে খরচ হবে সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা।
দেশে কনকা ব্র্যান্ডের সিলিং ফ্যান উৎপাদন করছে ইলেকট্রো মার্ট। বর্তমানে কনকার ৪টি মডেলের ফ্যান বাজারে আছে৷ তাদের উৎপাদিত ৪৮ থেকে ৫৬ ইঞ্চি ফ্যানে ব্যবহার করা হয়েছে শতভাগ কপারের তার ও অ্যালুমিনিয়ামের পাখা। প্রায় ৬৫ ভাগ বিদ্যুৎসাশ্রয়ী এই পণ্যে মিলবে ১০ বছরের রিপ্লেসমেন্ট ওয়ারেন্টি।
আরও পড়ুনফ্যানের যেসব বিষয় জানা থাকা ভালো ২২ মে ২০২৪ইলেকট্রো মার্ট লিমিটেডের কলাবাগান শোরুমের সহকারী ম্যানেজার মো.
প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের ফ্যানের দুটি ব্র্যান্ড ভিশন ও ক্লিক। তারাও বিএলডিসি প্রযুক্তির ফ্যান উৎপাদন করে। প্রচলিত ও বিএলডিসি প্রযুক্তিসম্পন্ন এসব ফ্যান ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার ৫০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাবে।
ইলেকট্রনিকস ব্র্যান্ড এনার্জিপ্যাকের অ্যারোডায়নামিক পাখার ফ্যানগুলোয় শতভাগ কপারের তার ব্যবহার করা হয়েছে। এসব ফ্যান বিদ্যুৎসাশ্রয়ী ও শব্দবিহীন। রয়েছে সাত বছরের গ্যারান্টিও। সাড়ে তিন হাজার থেকে সাত হাজারের মধ্যেই এনার্জিপ্যাকের ফ্যান কেনা যাবে।
আরেক বহুল পরিচিত ফ্যানের ব্র্যান্ড বিআরবি। বিআরবি লাভলি ফ্যানগুলো ২ হাজার ৮০০ থেকে ৪ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। সাত বছরের ওয়ারেন্টি সুবিধাসহ সুপারস্টার সিলিং ফ্যানের বাজারমূল্য ২ হাজার ৪০০ থেকে ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত। তবে কোম্পানিটির পেডেস্টাল, রিচার্জেবল ও এক্সজস্ট ফ্যানও বাজারে আছে। পাওয়া যাবে বাজেটের মধ্যেই।
এ ছাড়া বিভিন্ন দামে ও মডেলে নন-ব্র্যান্ডের রিচার্জেবল ফ্যান পাওয়া যায়। বিশেষ করে, পোর্টেবল ছোট আকারের ফ্যান ব্যাগে রেখে তৎক্ষণাৎ রাস্তাঘাটে ব্যবহার করতে চান অনেকে। রাজধানীর গরম ও ট্রাফিক জ্যামের কথা মাথায় রেখে এ ধরনের ফ্যান অনেকে সংগ্রহে রাখছেন।
আরও পড়ুনফ্যানের বাতাস কি স্বাস্থ্যকর১৩ মার্চ ২০২৫উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র চ র জ বল ফ য ন ব যবহ র কর এসব ফ য ন ব এলড স উৎপ দ বছর র
এছাড়াও পড়ুন:
নাটোরে ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল একজনের
নাটোরে ছুরিকাঘাতে খোরশেদ আলম (৫৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। বুধবার (৩০ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টায় সদর উপজেলার তেগাছি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত খোরশেদ ওই এলাকার ইউনুস আলীর ছেলে ও পেশায় রিকশাচালক ছিলেন। অভিযুক্ত সালমান (১৭) একই এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সালমানের বিরুদ্ধে মোবাইল চুরির অভিযোগ আনেন খোরশেদ আলম। এ ঘটনায় সালমান ক্ষিপ্ত হয়ে খোরশেদকে কুপিয়ে জখম করে। স্বজনেরা তাকে উদ্ধার করে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আরো পড়ুন:
নোয়াখালীর মাদরাসায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু, পরিবারের দাবি হত্যা
পুলিশ পরিদর্শক মাসুদুর রহমান আত্মগোপনে
নাটোর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহাবুর রহমান বলেন, ‘‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অভিযুক্ত সালমানকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে। এ বিষয়ে মামলাসহ পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।’’
ঢাকা/আরিফুল/রাজীব