হবিগঞ্জে অপহৃত শিশু উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৩
Published: 16th, March 2025 GMT
হবিগঞ্জে নাহিদুল ইসলাম (৮) নামে অপহৃত এক শিশুকে উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী। এসময় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরা
শিশুটির অপহরণকারী বলে হবিগঞ্জ সেনাবাহিনী ক্যাম্পের মিডিয়া সেল থেকে জানানো হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, বানিয়াচং সদরের মোহাম্মদ লাদেন, মোহাম্মদ শাহ আলম ও মোহাম্মদ শাহ নূর। অপহৃত শিশুটি হবিগঞ্জ শহরের নাতিরাবাদ এলাকার মোহাম্মদ লিটনের ছেলে।
শনিবার (১৫ মার্চ) রাতে বানিয়াচং উপজেলার সদর থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।
হবিগঞ্জ সেনাবাহিনী ক্যাম্পের মিডিয়া সেল জানায়, শনিবার দুপুরে শিশু নাহিদুল ইসলামকে অপহরণ করে কতিপয় দুর্বৃত্ত। তারা মুক্তিপণ বাবদ শিশুটির বাবার কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। বিকেলে এ ঘটনায় তার মা-বাবা সেনাক্যাম্পে অভিযোগ করেন। পরে সেনাবাহিনী গোয়েন্দা তৎপরতা চালিয়ে শিশুটির অবস্থান নিশ্চিত হয়। রাত পৌনে ৯টায় সেনাবাহিনীর একটি দল অভিযান চালিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে। এসময় অপহরণকারী ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। শিশুটিকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ৩ অপহরণকারীকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
রবিবার (১৫ মার্চ) দুপুরে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর কবির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ঢাকা/মামুন/টিপু
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
উপদেষ্টা আসিফের সমর্থকদের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
কুমিল্লার মুরাদনগর স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সমর্থকদের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এসময় আসিফ মাহমুদের পক্ষের ১০ থেকে ১৫ জন সমর্থক আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন ইউপি সদস্য রয়েছেন।
বুধবার (৩০ জুলাই) বিকেলে উপজেলা সদরের আল্লাহ চত্বরে ঘটনাটি ঘটে।
এলাকাবাসী জানান, বুধবার বিকেলে পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী সদরের আল্লাহ চত্বরে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের সমর্থকরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে জড়ো হন। সমাবেশ লক্ষ্য করে পার্শ্ববর্তী জেলা পরিষদের মার্কেট থেকে কয়েকটি ইট, পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এরপর দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এসময় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের ১০ থেকে ১৫ জন সমর্থক আহত হন, তাদের মধ্যে একজন ইউপি সদস্যও রয়েছেন।
আরো পড়ুন:
কুষ্টিয়া প্রেস ক্লাবে বিএনপির অভিযোগ বক্স, যা পাওয়া গেল
সরকারের একটি অংশ অপকৌশলের আশ্রয় নিচ্ছে: তারেক রহমান
মিছিল নিয়ে আসা নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক মিনাজুল হক বলেন, “উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিএনপির লোকজন আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। মিছিল নিয়ে আসার পর শত শত ইটপাটকেল ছুড়ে আমাদের ধাওয়া দিতে থাকে। আমাদের অনেক সমর্থক আহত হন।”
হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। বিএনপির মুরাদনগর উপজেলার আহ্বায়ক মহিউদ্দিন অঞ্জন বলেন, “তারা হামলা করার পর আমাদের ছেলেরা প্রতিরোধ করেছে।”
কুমিল্লার মুরাদনগর থানার তদন্ত কর্মকর্তা আমিন কাদের খান জানান, আজ মুরাদনগর সদরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ চলছিল। এ সময় পাশে অবস্থান করা কিছু লোক বিনা উসকানিতে তাদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এরপরে দুইপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাজ করে।
ঢাকা/রুবেল/মাসুদ