বাংলাদেশের ছবিতে রাহুল দেব, শুটিংয়ে আসছেন ঢাকায়
Published: 18th, March 2025 GMT
‘ফোর্স’ নামে একটি সিনেমা নির্মাণ করছেন আসিফ ইকবাল জুয়েল। ক’দিন আগে এই সিনেমা চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন পাকিস্তানি মডেল ও অভিনেত্রী জারা আহমেদ । এবার পরিচালিক জানালেন সিনেমাটিতে অভিনয় করবেন বলিউড অভিনেতা রাহুল দেব। সিনেমাটির শুটিং করতে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে আসছেন তিনি।
ফোর্স ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হওয়া ও শুটিং করতে বাংলাদেশে আসার বিষয়ে রাহুল দেবের ম্যানেজার রাম হোয়াটসঅ্যাপে সমকালকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বাংলাদেশের ফোর্স ছবিতে রাহুল দা চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। আগামী এপ্রিল মাসে বাংলাদেশে শুটিং করতে তিনি যাবেন।
আসিফ জানান, বর্তমানে সিনেমাটির প্রি–প্রোডাকশনের কাজ চলছে। আগামী ১০ এপ্রিল এফডিসিতে শুটিং শুরু করবেন। এফডিসি ছাড়াও কেরানীগঞ্জ, গাজীপুরে শুটিং করবেন এই তরুণ নায়িকা। প্রায় দুই সপ্তাহ
পরিচালক আসিফ এর আগে ‘চোখ’ সিনেমা নির্মাণ করেছিলেন। এদিকে পাকিস্তানি এই মডেল ‘ছু লে আসমান’ নামে একটি সিনেমায় নাম লিখিয়েছেন। মডেলিংয়ে বেশি দেখা গেলেও এর আগে ‘হাম কাহা কে সোচে থে’, ‘খুদসার’সহ একাধিক টিভি সিরিজে তিনি পরিচিতি পেয়েছেন। ‘ফোর্স’ সিনেমায় জারার নায়ক হিসেবে থাকছেন বাংলাদেশের ম্যাক দিদার।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
চাকরিতে না ফেরালে রাজপথ ছাড়বেন না ইআরপিপি স্বাস্থ্যকর্মীরা
পাঁচ মাস ধরে বেতন নেই। পরিবার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন কেউ, কেউ আবার চাকরির বয়সসীমা পার করে এখন আর নতুন কোথাও আবেদন করার সুযোগ পাচ্ছেন না। এর মধ্যেই প্রকল্প শেষের অজুহাতে চাকরিচ্যুত হয়েছেন তারা—যারা ২০২০ সালের করোনা মহামারির সময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাংলাদেশের ফ্রন্টলাইন স্বাস্থ্যসেবায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। এই অবস্থায় নিজেদের চাকরি স্থায়ীকরণ এবং অবিলম্বে বকেয়া বেতনের দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রধান ফটকে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন কোভিড-১৯ ইমার্জেন্সি রেসপন্স অ্যান্ড প্যানডেমিক প্রিপেয়ারডনেস (ইআরপিপি) প্রকল্পের আউটসোর্সিং স্বাস্থ্যকর্মীরা।
আজ সোমবার বেলা ১১টা থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রধান ফটকে অবস্থান কর্মসূচি পালন শুরু করেন।
আন্দোলনকারীরা বলছেন, তাদের প্রধান দাবি হলো স্থায়ীকরণের মাধ্যমে চাকরি বহাল রাখতে হবে এবং রাজস্ব খাতে অন্তর্ভুক্তির লিখিত নিশ্চয়তা দিতে হবে। সেইসঙ্গে গত চার মাসের বকেয়া ভাতা অবিলম্বে পরিশোধ করতে হবে। তা না হলে অবস্থান কর্মসূচি চলবে, প্রয়োজনে আরও কঠোর কর্মসূচিতে যাবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
বিক্ষোভরত কর্মীদের একজন বলেন, সরকারের ডাকেই তো আমরা এসেছিলাম। ভয়ঙ্কর সময় ছিল সেটা। তখন যদি পেছনে না ফিরে মানুষকে সেবা দিতে পারি, আজ যখন একটু স্থিতি এসেছে—তখন কেন আমরা উপেক্ষিত হবো? ৫ মাস ধরে একটা টাকাও পাইনি, পরিবার চালানো দুঃস্বপ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
নিপসমে কর্মরত ইআরপিপির মেডিকেল টেকনোলজিস্ট আবু সুফিয়ান বলেন, প্রায় পাঁচ বছর এই প্রকল্পে কাজ করেছি। এখন বয়স ৩৫ ছাড়িয়েছে। সরকারি চাকরির আবেদনের শেষ সীমা পেরিয়ে গেছি। এখন আমাদের বাদ দিয়ে নতুন অদক্ষ জনবল নেয়ার চেষ্টা চলছে। এটা শুধু অবিচার না, আমাদের মর্যাদায় আঘাত।
ন্যাশনাল ল্যাবরেটরি সেন্টারের ডাটা অপারেটর আব্দুর রহমান বলেন, ঘরে ছোট বাচ্চা, স্কুলের বেতন দিতে পারিনি। স্ত্রী-সংসার নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়ে গেছি। করোনার সময় এই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডাকেই আমি কাজে গিয়েছিলাম, এখন সেই অধিদপ্তরের সিঁড়িতেই বসে থাকতে হচ্ছে দাবি আদায়ের জন্য।
ইআরপিপি প্রকল্পের আওতায় কর্মরত এসব স্বাস্থ্যকর্মীদের অভিযোগ, করোনার সময় গড়ে তোলা আরটি-পিসিআর ল্যাব, ডেডিকেটেড আইসিইউ বা আইসোলেশন ইউনিটে তারাই প্রথম দিন থেকে দায়িত্ব পালন করেছেন। অথচ আজ তাদের বাদ দিয়ে সেই পদে নতুন লোক নিয়োগের পাঁয়তারা চলছে।
তারা বলছেন, আমরা চাকরি ভিক্ষা চাই না। আমরা যেটুকু প্রাপ্য, সেটুকু চাই। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত প্রকল্প চলবে, তবে আমাদের চাকরি কেড়ে নেয়া হলো কেন? আমাদের রাজস্ব খাতে অন্তর্ভুক্ত না করে অন্যদের সুযোগ দেওয়া মানে অবিচারকে পুরস্কৃত করা।