মিরসরাইয়ে কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় শিক্ষিকা নিহত, আহত ২
Published: 18th, March 2025 GMT
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে গাড়ির জন্য সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা পথচারীদের ওপর উঠে পড়ে চলন্ত কাভার্ডভ্যান। এতে মীরা রানী ভৌমিক (৫৫) নামে এক স্কুল শিক্ষিকা ঘটনাস্থলেই নিহত হন, আহত হয়েছেন আরও দুজন।
মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বড়তাকিয়া বাজারের মাজার গেট এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মীরা রানী ভৌমিক উপজেলার ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের গাছবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা ও খইয়াছড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা ছিলেন। তিনি শিক্ষক অজিত কুমার নাথের স্ত্রী। আহতরা হলেন নিজামপুর সরকারি কলেজের ছাত্র অরূপ দেবনাথ (১৮) ও স্বপন দেবনাথ (৭০)। তাদের বাড়ি জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামে। আহতদের মধ্যে স্বপন দেবনাথের অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরের দিকে বড়তাকিয়া মাজার গেট বাসস্ট্যান্ডে শিক্ষিকা মীরা রানী ভৌমিকসহ কয়েকজন যাত্রী গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এসময় চট্টগ্রামমুখী একটি ছোট কাভার্ডভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা পথচারীদের ধাক্কা দেয়। এতে তিনজন গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মীরা রানী ভৌমিককে মৃত ঘোষণা করেন।
বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক ডা.
জোরারগঞ্জ হাইওয়ে থানার সার্জেন্ট শাহেদুর কবির মিনার জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয়। দুর্ঘটনাকবলিত কাভার্ডভ্যানটি উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সিদ্ধিরগঞ্জে জমি দখলকে কেন্দ্র করে হামলা, আহত ৪
সিদ্ধিরগঞ্জে নাসিক ৪ নং ওয়ার্ড সিদ্ধিরগঞ্জ হাউজিং এলাকায় জমি দখলকে কেন্দ্র করে হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলায় অন্তত চারজন আহত হয়েছে। আহতদের এলাকাবাসী উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ খানপুর হসপিটালে নিয়ে যায়। আহতরা হলেন, আব্দুল সোবহান (৬২), আব্দুল আজিজ (৪৫),রবিন (৩৮) ও মুক্তার হোসেন।
সোমবার সন্ধ্যায় সিদ্ধিরগঞ্জ হাউজিং এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। উক্ত মারামারির ঘটনায় মুক্তার হোসেন বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, সিদ্ধিরগঞ্জ আজিবপুর এলাকার বাসিন্দা বিবাদী আহমাদুল্লাহ (৫০), মোহাম্মাদ হোসেন (৪৫), সফর আলী (৪৫), জাফর হোসেন (৫০) সর্ব পিতা মৃত মমির আলী, সাইফুল ইসলাম (২৬), ফয়সাল হোসেন (২৪) উভয় পিতা মোহাম্মাদ উল্যাহ, রব কাজির ছেলে শরিফুল ইসলাম (২৮), কামাল হোসেন সহ অজ্ঞাত আরো ২০ থেকে ৩০ জন নুর বানু বেগম (৬৫) এর সিদ্ধিরগঞ্জ হাউজিং ছাপাখানা মোড়ে ক্রয়কৃত ৫ শতাংশ জমি দখল করতে যায়।
মানুষের মুখে দখলের কথা শুনে নুর বানু বেগমের ছেলে মুক্তার হোসেন উক্ত জমির সামনে গেলে উক্ত বিবাদীরা মুক্তার কে দেখে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। মুক্তার হোসেন গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে উক্ত বিবাদীরা দেশীয় অস্ত্র এসএসের পাইপ দিয়ে মুক্তারকে এলোপাথাড়ি মারধর শুরু করে।
মুক্তার কে মারধর করছে এমন খবর পেয়ে মুক্তারের চাচাতো ভাইরা ঘটনাস্থলে আসলে তাদেরকেও মারধর করে গুরুতর আহত করে উক্ত বিবাদী গং। তাদের ডাক চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে বিবাদীগণ পালিয়ে যান। যাওয়ার সময় বাদীদেরকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যান।
এলাকাবাসী আহতদের উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ খানপুর হসপিটালে নিয়ে যান। চিকিৎসা শেষে মুক্তার হোসেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় এসে বিবাদীদের নাম উল্লেখ করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
বাদী মুক্তার হোসেন জানান, আমার মা নুর বানু বেগম সিদ্ধিরগঞ্জ ছাপাখানা মোড়ে ৫ শতাংশ জমি ক্রয় করেন।আমার মায়ের নামে নামজারি খাজনা সহ যাবতীয় কাগজপত্র রয়েছে। উক্ত বিবাদী গং দীর্ঘদিন যাবত এই জায়গাটি দখল করার পায়তারা করছে।
বিবাদীরা সোমবারে বিকালে আমার মায়ের জমি দখল করতে আসলে আমরা বাধা প্রদান করি। এক পর্যায়ে বিবাদীরা দেশী অস্ত্র নিয়ে আমাদের উপরে হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করেছে।
এ ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ করেছি। আমি উক্ত বিবাদীগণের কঠিন শাস্তি কামনা করছি প্রশাসনের কাছে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার (উপ- পরিদর্শক) এসআই সালেকুজ্জামান বলেন, মারামারির ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।