রাজধানীতে ২৪ ঘণ্টায় সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৬৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত রোববার দিবাগত রাত ১২টা থেকে সোমবার দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত এই অভিযান চালানো হয়।

এ নিয়ে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাত থেকে গতকাল মধ্যরাত পর্যন্ত অভিযানে ৪ হাজার ১৬৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো। আজ মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সবশেষ গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে ডাকাত, পেশাদার সক্রিয় ছিনতাইকারী, চাঁদাবাজ, চোর, মাদক কারবারিসহ অন্যান্য অপরাধে জড়িত ব্যক্তি আছেন। এ ছাড়া আছেন পরোয়ানাভুক্ত আসামি।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুসারে, অভিযানে বিভিন্ন অপরাধে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকার, একটি পিকআপ, পাঁচটি মোটরসাইকেল, পাঁচটি মুঠোফোন, আটটি চাকু, একটি চাপাতি, একটি বড় ছুরি, একটি লোহার রেঞ্জ, একটি লোহার রড, দুটি ককটেল সদৃশ বস্তু, একটি সিপিইউ, একটি মনিটর ও একটি প্রিন্টার উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া মাদক উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে দুই হাজার ১৩২টি ইয়াবা, ১৮ গ্রাম হেরোইন ও ২০০ গ্রাম গাঁজা। এসব ঘটনায় ৬৩টি মামলা করা হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৫০ থানা এলাকায় জননিরাপত্তা বিধানে দুই পালায় ৬৬৭টি টহল দল দায়িত্ব পালন করে। এ ছাড়া মহানগর এলাকার নিরাপত্তা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ও কৌশলগত স্থানে ডিএমপি ৭১টি তল্লাশিচৌকি পরিচালনা করে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

শ্রমিকদের দাবির প্রেক্ষিতে খুলছে ৪ বন্ধ কারখানা

নয় দিন বন্ধ থাকার পর আগামীকাল মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) থেকে নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডের চারটি কারখানায় চালু হচ্ছে। 

বেতন, বোনাসসহ বিভিন্ন দাবি বাস্তবায়নে আন্দোলনের মুখে গত ২৫ অক্টোবর বিকেলে চারটি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।

আরো পড়ুন:

ঝিনাইদহে গাছ থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু 

বরিশালে অপসো ফার্মার ৫০০ শ্রমিক ছাঁটাইয়ের অভিযোগ

কারখানাগুলো হলো দেশবন্ধু টেক্সটাইল মিল লিমিটেড, সেকশন সেভেন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড, মেইগো বাংলাদেশ লিমিটেড ও ইপিএফ প্রিন্টিং লিমিটেড।

সেকশন সেভেন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের পরিচালক আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘২৬ অক্টোবর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধ রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে শ্রমিকেরা কারখানা চালুর দাবি জানান। তাদের দাবির প্রেক্ষিতে কারখানা চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমাদের কারখানায় সাড়ে ৩ হাজার শ্রমিক রয়েছে।’’ 

ইপিজেড সূত্র জানিয়েছে, বন্ধ চারটি কারখানায় সাড়ে ৬ হাজার শ্রমিক রয়েছে। 

উত্তরা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের (ইপিজেড) নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার জানান, শ্রমিকদের আবেদনের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) থেকে বন্ধ থাকা চার কারখানা চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

এ দিন থেকে স্বাভাবিকভাবে কার্যক্রম শুরু হবে এবং শ্রমিকদের যথাসময়ে কারখানায় আসার আহ্বান জানানো হয়েছে।

উত্তরা ইপিজেডের ২৭টি কারখানায় ৩৫ হাজার শ্রমিক কর্মরত রয়েছে।

ঢাকা/সিথুন/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ