আড়াইহাজার  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ সাজ্জাত হোসেনের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে  শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন  সাংবাদিক ইউনিয়ন আড়াইহাজার এর নেতৃবৃন্দ ও সদস্যগণ । মঙ্গলবার দুপুর ১২টায়  উপজেলা ইউএনওর কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন তারা। 

এদিন সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ  আড়াইহাজার থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ এনায়েত হোসেনের সাথেও সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ।

দুপুর সাড়ে ১২টায় আড়াইহাজার থানায় অফিসার ইনচার্জ এর সাথে  সাক্ষাৎ করে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন সাংবাদিকরা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন-   সাংবাদিক ইউনিয়ন আড়াইহাজার এর  সভাপতি মাহাবুব মোল্লা,সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম, সিনিয়র সহ-সভাপতি ইসমাইল হোসেন ভূঁইয়া,সহ-সভাপতি মোঃ নজরুল ইসলাম,সহ-সভাপতি রেজাউল হক কাউসার,সাংগঠনিক সম্পাদক শাহিদুর রহমান,সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রহমান নাসির,তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক শামীম হাসান,প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আপেল মাহমুদ,ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মোঃ হাবিবুল্লাহ মীর,দপ্তর সম্পাদক সূচক চৌধুরী,কার্যকরী সদস্য মাসুম মিয়া ও সোহেল উপস্থিত ছিলেন।

উপজেেলা নির্বাহী কর্মকর্তা  তার দায়িত্ব পালনে সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেন। সাংবাদিক ইউনিয়ন কে অভিনন্দন জানিয়ে সংগঠনের  সফলতা কামনা করেন।

সাংবাদিকরা ইউএনওকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন এবং তাদের দায়িত্ব পালনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) সহযোগিতা কামনা করেন সাংবাদিক বৃন্দ। 

আড়াইহাজার থানার অফিসার ইনচার্জ এনায়েত হোসেন  বলেন, এই দেশ ও সমাজটা আমাদের সবার,সাংবাদিকরা, তাদের লেখনীর মাধ্যমে দেশ এবং সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন। তিনি সমাজের অসঙ্গতিগুলো তুলে ধরার জন্য সংবাদকর্মীদের আহ্বান জানান।

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ইউএনও স ক ষ ৎ কর ব দ ক ইউন জন য স

এছাড়াও পড়ুন:

আ.লীগ নেতাকে নিয়ে মানববন্ধন করে ইউএনওকে ‘ফ্যাসিবাদের দোসর’ আখ্যা

রাজশাহীর বাগমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) ‘ফ্যাসিবাদের দোসর’ আখ্যা দিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকে নিয়ে মানববন্ধন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলার তাহেরপুর পৌরসভার হরিতলা মোড়ে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে ইউএনওর অপসারণের দাবি জানানো হয়।

এলাকার সচেতন নাগরিক, ব্যবসায়ী মহল, অভিভাবক, ছাত্রছাত্রী, কর্মচারী-শিক্ষকমণ্ডলীর ব্যানারে এ মানববন্ধন করা হয়। এতে এলাকাবাসী ছাড়া তাহেরপুর কলেজের অধিকাংশ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। মানববন্ধন থেকে কলেজের সম্পত্তি অন্যত্র ইজারা দেওয়ার চেষ্টার প্রতিবাদ জানানো হয়।

তাহেরপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুর রহমানকে সঙ্গে নিয়ে মানববন্ধন করা হয়। পৌরসভার নির্মিত দোকানঘর থেকে তাহেরপুর কলেজ কর্তৃপক্ষের ভাড়া আদায় বন্ধ করে দেওয়ায় এ কর্মসূচি পালন করা হয় বলে অভিযোগ। আওয়ামী লীগের নেতার দাবি, তিনি দলীয় পরিচয়ে নয়, কলেজশিক্ষক হিসেবে মানববন্ধনে যোগ দিয়েছেন। তবে ব্যানারে ফ্যাসিবাদ শব্দটি প্রথমে দেখেননি। পরে দেখেছেন।

মানববন্ধনে তাহেরপুর কলেজের শিক্ষক রইচ আহমেদ, সুরাইয়া আক্তার, তাহেরপুর পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর ইসমাইল হোসেন প্রমুখ বক্তব্য দেন। বক্তারা বাগমারার ইউএনওকে ফ্যাসিবাদের দোসর ও চব্বিশের চেতনাবিরোধী অভিযোগ তুলে তাঁদের ভাড়া আদায় বন্ধ করে দেওয়ার নিন্দা জানান।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তাহেরপুর কলেজ–সংলগ্ন স্থানে পৌর কর্তৃপক্ষ দোকানঘর নির্মাণ করেছে। পৌরসভার পক্ষে নিয়মিত ভাড়া আদায় করা হয় ওই প্রতিষ্ঠান থেকে। ৫ আগস্টের পর থেকে কলেজের পক্ষ থেকে ৪১টি দোকানঘর নিয়ন্ত্রণে নিয়ে সেগুলো থেকে ভাড়া আদায় করা হয়।

পৌরসভার প্রশাসক হিসেবে বাগমারার ইউএনও দোকানঘর থেকে কলেজ কর্তৃপক্ষের ভাড়া আদায় বন্ধ করে দেন। দোকানঘরগুলো পৌরসভার হওয়ায় তারাই সেখান থেকে ভাড়া আদায় করবে বলে জানানো হয়। সেখান থেকে কলেজ কর্তৃপক্ষ আর ভাডা আদায় করবে না জানিয়ে ২২ এপ্রিল পৌরসভার প্রশাসককে লিখিতভাবে জানান কলেজের অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম। এর পর থেকে কর্তৃপক্ষ ইউএনওর ওপর ক্ষুব্ধ হয়।

তাহেরপুর কলেজের সহকারী অধ্যাপক সুরাইয়া আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, কলেজের জায়গায় তাহেরপুর পৌরসভার সাবেক মেয়ব ও সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ দোকানঘর নির্মাণ করে মোটা অঙ্কের টাকায় ভাড়া দেন। ৫ আগস্টের পর তাঁরা (কলেজ কর্তৃপক্ষ) সেগুলো নিয়ন্ত্রণে নেন। তবে ২২ এপ্রিল ইউএনও সাদা কাগজে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের কাছ থেকে ভাড়া আদায় বিষয়ে একটি লিখিত নিয়েছেন। এর প্রতিবাদে মূলত তাঁদের এই কর্মসূচি।

পৌরসভার দোকানঘর থেকে কেন পৌরসভা ভাড়া আদায় করবে না জানতে চাইলে সুরাইয়া আক্তার বলেন, ‘জায়গাগুলো কলেজের ছিল।’ ব্যানারে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখা হলেও কেন আওয়ামী লীগের নেতাকে নিয়ে মানববন্ধন করলেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কলেজের স্বার্থে আমরা এক।’

জানতে চাইলে ইউএনও মাহাবুবুল ইসলাম বলেন, দোকানগুলো তাহেরপুর পৌরসভার। সেগুলো থেকে ভাড়া আদায় করে পৌরসভার কোষাগারে জমা করা হয়। তিনি প্রশাসক হিসেবে ভাড়া আদায়ের উদ্যোগ নিয়েছেন। কলেজের অধ্যক্ষ নিজেই জানিয়েছেন, এখন থেকে কলেজ কর্তৃপক্ষ ভাড়া আদায় করবে না।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রাতে ‘টর্চলাইট জ্বালিয়ে’ দুই পক্ষের সংঘর্ষ, ইউএনও-ওসিসহ আহত ৩০
  • পড়াশোনায় ফিরছেন দিনাজপুরের ‘ইংলিশম্যান’ হৃদয়, শেখাবেন ইংরেজি
  • আ.লীগ নেতাকে নিয়ে মানববন্ধন করে ইউএনওকে ‘ফ্যাসিবাদের দোসর’ আখ্যা
  • নারায়ণগঞ্জে ৩০ স্কুলে চালু হলো ‌‘মিড ডে মিল’
  • গাজীপুরে ১০ মাটি খেকোকে কারাদণ্ড
  • পাঠাগার থেকে লুট হওয়া বই ফেরত পেলো কর্তৃপক্ষ
  • দমদমিয়া আলোর পাঠশালায় গিয়ে শিক্ষার্থীদের খোঁজখবর নিলেন ইউএনও