মোটরসাইকেলে ভারতে প্রবেশ, দুই বাংলাদেশি আটক
Published: 19th, March 2025 GMT
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় বাংলাবান্ধা বিওপির জিরো পয়েন্ট এলাকায় বিজিবির চেকপোস্ট উপেক্ষা করে মোটরসাইকেলে ভারতে প্রবেশের অভিযোগে দুই বাংলাদেশিকে আটক করেছে বিএসএফ। তারা হলেন- মাসুম ইসলাম (১৮) এবং উৎসব চন্দ্র রায় (২১)।
এ ঘটনার পর মঙ্গলবার বিকেলে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিজিবির কাছে তাদের ফেরত দেয় বিএসএফ। পরে বিজিবি তাদের তেঁতুলিয়া থানায় হস্তান্তর করে।
গ্রেপ্তার মাসুম পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার নয়াদিঘী এলাকার হাসিবুল ইসলামের ছেলে এবং উৎসব চন্দ্র রায় দিনাজপুর জেলার দেউর এলাকার নীপেন চন্দ্র রায়ের ছেলে।
এদিকে সোমবার রাতে তেঁতুলিয়া ইসলামপুর সীমান্ত থেকে আতিকুর রহমান (৩২) নামে এক বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে বিএসএফের বিরুদ্ধে।
বিজিবির একটি সূত্রে জানায়, আতিকুর রহমানসহ চার বাংলাদেশি রাতে ওই সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে। এ সময় বিএসএফ সদস্যরা তাদের ধাওয়া করে আতিকুরকে আটক করে। পরে তাকে মারধর করে ঘণ্টাখানেক পর বিজিবির কাছে ফেরত দেয় বিএসএফ। তার বিরুদ্ধে অবৈধ অনুপ্রবেশের মামলা হয়েছে।
আতিকুর রহমানের বাড়ি উপজেলার তিরনইহাট ইউনিয়নের দরগাসিং এলাকায়। তিনি ওই এলাকার তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে।
তেতুঁলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত কবীর বলেন, তিন বাংলাদেশির বিরুদ্ধে অবৈধ অনুপ্রবেশের দুটি মামলা হয়েছে। তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মনিরুল ইসলাম বলেন, মোটরসাইকেল নিয়ে ওই দুই তরুণ বিজিবির সিগন্যাল অমান্য করে ভারতে অনুপ্রবেশ করে। এছাড়া আরেক বাংলাদেশি সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করলে বিএসএফের হাতে আটক হয়। পরে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাদের ফেরত দেয় বিএসএফ।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
আষাঢ়ের প্রথম দিন আজ
ঝমঝম বৃষ্টি, কর্দমাক্ত পথঘাট, খাল-বিলে থৈ থৈ পানি- এমন দৃশ্যপট সামনে না থাকলেও ভেবে নিতে দোষ কি। কারণ, আজ পহেলা আষাঢ়।
রবি ঠাকুরের ভাষায়— ‘আবার এসেছে আষাঢ় আকাশও ছেয়ে... আসে বৃষ্টিরও সুবাসও বাতাসও বেয়ে...’।
অবশ্য একেবারে নিরাশ করেনি আষাঢ়। রাজধানীতে সকাল থেকেই আকাশে মেঘের আনাগোনা আর কোথাও হালকা বৃষ্টি জানান দিচ্ছে প্রকৃতিতে বর্ষার আগমন। বর্ষার আগমন যেন স্বস্তি-শান্তি ও আনন্দের। তীব্র গরমে হাঁসফাঁস নগরবাসীর জীবনে এক আনন্দের বার্তা।
বাংলার প্রকৃতিতে আলাদা বৈশিষ্টময় বর্ষা ঋতুর আজ যাত্রা শুরু হলো।
বলা হয়, গ্রীষ্মের খরতাপের ধূসর নাগরিক জীবন আর রুদ্র প্রকৃতিতে প্রাণের স্পন্দন জাগায় বর্ষা। জ্যৈষ্ঠের প্রচণ্ড খরতাপে রুক্ষ প্রকৃতি সজীব হয়ে উঠবে বর্ষার বর্ষণের মৃদঙ্গ-ছোঁয়ায়, এটাই যে সকল বাঙালির চাওয়া।
আষাঢ়ের রিমঝিম বৃষ্টি গ্রীষ্মের ধুলোমলিন জীর্ণতাকে ধুয়ে ফেলে গাঢ় সবুজের সমারোহে প্রকৃতি সাজে পূর্ণতায়। রঙিন হয়ে পুকুর-বিলে ফোটে শাপলা-পদ্ম। বর্ষা ঋতু তার বৈশিষ্ট্যের কারণে স্বতন্ত্র। বর্ষার প্রবল বর্ষণে নির্জনে ভালোবাসার সাধ জাগে, চিত্তচাঞ্চল্য বেড়ে যায়। বর্ষার নতুন জলে স্নান সেরে প্রকৃতির মনও যেন নেচে ওঠে। ফুলে ফুলে শোভিত হয় প্রকৃতি। তাই বর্ষাবিহীন বাংলাদেশ ভাবাই যায় না।
বর্ষা বাঙালি জীবনে নতুন প্রাণসঞ্চারকারী। বৃষ্টিস্নাত কদম ফুলের সৌন্দর্য্য যে দেখেছে, মুগ্ধ নয়নে চেয়ে না থেকে পারেনি। এর বর্ণনায় পল্লীকবি জসীমউদদীন লিখেছেন- ‘বনের ঝিয়ারি কদম্বশাখে নিঝঝুম নিরালায়, / ছোট ছোট রেণু খুলিয়া দেখিছে, অস্ফুট কলিকায়।’
বৃষ্টি হলে গ্রামের নদী নালা পুকুরে জল জমে থৈ থৈ করে। বর্ষা আনন্দ-বেদনার সারথী। সবুজের সমারোহে, মাটিতে নতুন পলির আস্তরণে বর্ষা আনে জীবনেরই বারতা।
উন্নয়নের নামে চলমান প্রাণ-প্রকৃতি ধ্বংসের প্রক্রিয়া বন্ধের দাবি নিয়ে প্রতি বছরের মতো এ বছরও বর্ষা ঋতুকে বরণ করে নিতে ‘বর্ষা উৎসব’ আয়োজন করেছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী।
রবিবার (১৫ জুন) আষাঢ়ের প্রথমদিনে বাংলা একাডেমির নজরুল মঞ্চে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সকালে সুর-সংগীতে প্রকৃতি-বন্দনার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে উৎসবের কর্মসূচি।
ঢাকা/টিপু