মৃত ম্যারাডোনার কক্ষে ‘চিকিৎসার সরঞ্জাম ছিল না’
Published: 19th, March 2025 GMT
ডিয়েগো ম্যারাডোনার মৃত্যুর পর সেখানে প্রথম যে কজন উপস্থিত হন, পুলিশ কর্মকর্তা লুকাস ফারিয়াস তাঁদের একজন। গতকাল সান ইসিদরো আদালতে লুকাস সাক্ষ্য দেন, অস্ত্রোপচারের পর যে বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছিলেন ম্যারাডোনা, সেখানে কোনো ‘চিকিৎসার সরঞ্জাম’ তিনি দেখেননি।
আরও পড়ুনরোজা রেখেই স্পেনের হয়ে খেলবেন ইয়ামাল১ ঘণ্টা আগেকোকেন ও মদ্যপানে আসক্ত ম্যারাডোনা মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচারের সপ্তাহ দুয়েক পর ২০২০ সালের ২৫ নভেম্বর না ফেরার দেশে পাড়ি জমান। বুয়েনস এইরেসের এক অভিজাত এলাকায় ভাড়া করা বাড়িতে জীবনের শেষ দিনগুলো কেটেছে ফুটবল কিংবদন্তির।
ম্যারাডোনার চিকিৎসায় নিয়োজিত ছিলেন যে আটজন, তাঁদের মধ্যে সাতজনের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগে বিচার চলছে বুয়েনস এইরেসের সান ইসিদরো আদালতে। কৌঁসুলিরা আদালতে ম্যারাডোনার শেষ দিনগুলোকে ‘হরর থিয়েটার’ বলেছেন।
লুকাস বলেছেন, ম্যারাডোনা যে কক্ষে মৃত্যু অবস্থায় পাওয়া গেছে ‘সে কক্ষে কোনো চিকিৎসার সরঞ্জাম দেখেননি’ তিনি, ‘আমি কোনো সিরাম দেখিনি, যেটা ঘরোয়া হাসপাতালের অংশ হওয়া উচিত বলে আমি মনে করি।’ ইনজেকশনের মাধ্যমে শিরায় প্রদানের ওষুধের কথা বলেছেন লুকাস।
বুয়েনস এইরেসের উত্তরের উপকণ্ঠের শহর সান ইসিদরোয় গত সপ্তাহে এই বিচার শুরু হয়। গতকাল যে চারজন পুলিশ কর্মকর্তা আদালতে প্রমাণাদি দাখিল করেছেন, লুকাস তাঁদের একজন।
আরও পড়ুন২০২৬ বিশ্বকাপ পর্যন্ত ফিট থাকতে বিশেষ যে খাবার খাচ্ছেন রোনালদো১২ ঘণ্টা আগেআদালতকে তিনি বলেছেন, ‘ডিয়েগো ম্যারাডোনার যে বিষয়টি সবার আগে আমার নজর কেড়েছে সেটা হলো, তার মুখের অবস্থান এবং তলপেট এতটাই ফুলেছিল যে মনে হবে বিস্ফোরণ হবে। ওভাবে ম্যারাডোনাকে দেখে আমি চমকে গিয়েছিলাম। কখনো ভাবিনি আমি এই দৃশ্য দেখতে হবে।’
সর্বকালের অন্যতম সেরা এ ফুটবল হৃদ্যন্ত্রের সমস্যা ও ফুসফুসে তরল জমা হওয়ার কারণে মারা গেছেন।
ম্যারাডোনার চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগে মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে আছেন একজন নিউরোসার্জন, একজন মনোরোগবিদ, একজন মনোবিজ্ঞানী, একজন মেডিকেল কো-অর্ডিনেটর, একজন নার্স কো-অর্ডিনেটর, একজন চিকিৎসক এবং রাতের পালার নার্স। দিনের বেলায় ম্যারাডোনাকে দেখভাল করতেন যে নার্স, তাঁর বিচার করা হবে আলাদাভাবে। কৌঁসুলিদের অভিযোগ ‘দীর্ঘ এবং যন্ত্রণাকাতর সময়ে’ ম্যারাডোনাকে ভাগ্যের ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল।
দোষী সাব্যস্ত হলে অভিযুক্তদের ৮ থেকে ২৫ বছরের জেল হতে পারে। এই মামলায় প্রায় ১২০ জনের সাক্ষ্যদানের কথা রয়েছে, যা চলতে পারে আগামী জুলাই পর্যন্ত।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: বল ছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
সাইফুল ইসলাম ডিবিএ’র প্রেসিডেন্ট পুনঃনির্বাচিত
দেশের পুঁজিবাজারে স্টক ব্রোকারদের সংগঠন ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) এবারের নির্বাচনে সভাপতি পদে সাইফুল ইসলাম পুনরায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ব্র্যাক ইপিএল স্টক ব্রোকারেজ লিমিটেডের পরিচালক।
সোমবার (৩ নভেম্বর) ডিবিএ’র সেক্রেটারি মো. দিদারুল গনী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আরো পড়ুন:
ডিএসইতে ৭৫ শতাংশ শেয়ার-মিউচুয়াল ফান্ডের দরপতন
ডিএসইতে সূচক কমলেও সিএসইতে বেড়েছে
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচনে মোট ১৫ জন সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচিতদের মধ্যে রয়েছেন একজন প্রেসিডেন্ট, একজন সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট, একজন ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ১২ জন পরিচালক।
নির্বাচিতরা আগামী ২ বছর (২০২৬ ও ২০২৭) ডিবিএ‘র নেতৃত্ব দেবেন। নির্বাচিত সদস্যরা ডিবিএ’র আসন্ন বার্ষিক সাধারণ সভায় আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।
অন্যান্য পদে নির্বাচিতরা হলেন- সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্ট পদে মো. মনিরুজ্জামান, প্রাইম ব্যাংক সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও। ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে মো. নাফিজ-আল-তারিক ঢাকা ব্যাংক সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
এছাড়া পরিচালক পদে নির্বাচিত হয়েছেন–এবি অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম রাফিউজ্জামান বোখারী, এস সি এল সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্যারিস্টার মোহাম্মদ ইফতেখার জোনায়েদ, আর এন ট্রেডিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাদিম, আজম সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ কবির মজুমদার, নিউ এরা সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরওয়াই শমসের, ওয়ান সিকিউরিটিজ লিমিটেডের সিইও আমিনুল ইসলাম, জি এম এফ সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলহাজ নাহিদ আহমেদ, কাইয়ুম সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাঈম মো. কাইয়ুম, ভিশন ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিম, এক্সপো ট্রেডার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. ওসমান গনি চৌধুরী, ফিনিক্স সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খন্দকার শফিকুর রহিম ও এসএআর সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শরীফ আতাউর রহমান।
ঢাকা/এনটি/মেহেদী