ইমরুলের ৮৬, সেঞ্চুরি করেও ম্লান রাফসানের হাসি
Published: 19th, March 2025 GMT
শাইনপুকুরের পরাজয় তখন নিশ্চিত হয়ে গেছে। পরাজয় যেখানে চূড়ান্ত সেখানে সেঞ্চুরি পাওয়ার আনন্দ থাকবে না সেটা স্বাভাবিক হওয়ার কথা। তরুণ রায়ান রাফসানের ক্ষেত্রেও এমনটাই হলো।
অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে দারুণ ব্যাটিংয়ে সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন। কিন্তু সেঞ্চুরি করেও দলকে জেতাতে পারেননি। তাইতো রুয়েল আহমেদের প্যাডের ওপরের বল লেগ সাইডে হাল্কা ফ্লিক করে বাউন্ডারিতে পাঠিয়ে সেঞ্চুরি পেলেও কোনো উদযাপন করেননি রাফসান। ব্যাটটা কেবল তাক করেছিলেন ড্রেসিংরুমের দিকে। ওতোটুকুই।
অধিনায়ক ইমরুল কায়েসের ৮৬ রানের ইনিংসে ভর করে বিকেএসপির ৪ নম্বর মাঠে অগ্রণী ব্যাংক ৭ উইকেটে ২৯৪ রান করে। জবাব দিতে নেমে শাইনপুকুর ৫ উইকেটে ২৪৮ রানের বেশি করতে পারেনি। ৪৬ রানের বড় জয় পায় অগ্রণী ব্যাংক। যা লিগে তাদের ছয় ম্যাচে পঞ্চম জয়। অন্যদিকে শাইনপুকুরের সমান ম্যাচে পঞ্চম হার।
আরো পড়ুন:
শেষ বলে ৪ মেরে মজিদের সেঞ্চুরি ও রূপগঞ্জের জয়
সাব্বির-জাকিরের ফিফটির পর শামীম-ইরফান ঝড়ে প্রাইমের দারুণ জয়
বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১০৩ রানে ৫ উইকেট হারায় শাইনপুকুর। সেখান থেকে জুটি বাঁধেন রাফসান ও মিনহাজুল আবেদীন। দুজন ১৪৫ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়লেও জয়ের কাছাকাছিও যেতে পারেননি। ১৩০ বলে ৭ চার ও ২ ছক্কায় ১০৬ রান করেন রাফসান। মিনহাজুল ৬১ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ৫১ রান করেন।
অগ্রণী ব্যাংকের হয়ে বল হাতে ২টি করে উইকেট নেন নাঈম হাসান ও আরিফ আহমেদ।
এর আগে ব্যাটিংয়ে তাদের হয়ে হাল ধরেন ইমরুল। সেঞ্চুরির দারুণ সুযোগ থাকলেও ৮৬ রানে থেমে যান বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। ৮৫ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় খেলেন ইনিংসটি। এছাড়া সাদমান ইসলাম ৫৩, অমিত হাসান ৪১ এবং ইমরানউজ্জামান ৩২ রান করেন। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টাতে তিনশর কাছাকাছি পুঁজি পায় অগ্রণী ব্যাংক।
ব্যাটিংয়ে সেঞ্চুরির আগে রাফসান বোলিংয়ে নেন ২ উইকেট। এছাড়া আলী মোহাম্মদও পেয়েছেন ২ উইকেট।
ইমরুল কায়েস পেয়েছেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর শ ইনপ ক র র ন কর ন কর ন ইমর ল উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
শ্রমিকদের দাবির প্রেক্ষিতে খুলছে ৪ বন্ধ কারখানা
নয় দিন বন্ধ থাকার পর আগামীকাল মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) থেকে নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডের চারটি কারখানায় চালু হচ্ছে।
বেতন, বোনাসসহ বিভিন্ন দাবি বাস্তবায়নে আন্দোলনের মুখে গত ২৫ অক্টোবর বিকেলে চারটি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।
আরো পড়ুন:
ঝিনাইদহে গাছ থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু
বরিশালে অপসো ফার্মার ৫০০ শ্রমিক ছাঁটাইয়ের অভিযোগ
কারখানাগুলো হলো দেশবন্ধু টেক্সটাইল মিল লিমিটেড, সেকশন সেভেন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড, মেইগো বাংলাদেশ লিমিটেড ও ইপিএফ প্রিন্টিং লিমিটেড।
সেকশন সেভেন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের পরিচালক আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘২৬ অক্টোবর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধ রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে শ্রমিকেরা কারখানা চালুর দাবি জানান। তাদের দাবির প্রেক্ষিতে কারখানা চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমাদের কারখানায় সাড়ে ৩ হাজার শ্রমিক রয়েছে।’’
ইপিজেড সূত্র জানিয়েছে, বন্ধ চারটি কারখানায় সাড়ে ৬ হাজার শ্রমিক রয়েছে।
উত্তরা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের (ইপিজেড) নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার জানান, শ্রমিকদের আবেদনের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) থেকে বন্ধ থাকা চার কারখানা চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এ দিন থেকে স্বাভাবিকভাবে কার্যক্রম শুরু হবে এবং শ্রমিকদের যথাসময়ে কারখানায় আসার আহ্বান জানানো হয়েছে।
উত্তরা ইপিজেডের ২৭টি কারখানায় ৩৫ হাজার শ্রমিক কর্মরত রয়েছে।
ঢাকা/সিথুন/বকুল