ঋণ জালিয়াতির মাধ্যমে ২ হাজার ৩৭৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে আইএফআইসি ব্যাংকের দুজন উপব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (ডিএমডি) চার কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে আজ বুধবার বেলা ১১টা থেকে সংস্থাটির অনুসন্ধান কর্মকর্তা মো. ইয়াছির আরাফাতের নেতৃত্বে একটি দল তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।

দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন প্রথম আলোকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ঋণ জালিয়াতির ঘটনায় আইএফআইসি ব্যাংকের কয়েকজন কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাঁরা হলেন আইএফআইসি ব্যাংকের ডিএমডি ইকবাল পারভেজ চৌধুরী, শাহ মো.

মইন উদ্দিন, করপোরেট শাখার ব্যবস্থাপক মো. ওয়াসীম আলম ও প্রিন্সিপাল শাখার রিলেশনশিপ ম্যানেজার তাসলিমা আক্তার।

দুদক সূত্র জানায়, মূলত ফেডারেশন ও প্রিন্সিপাল শাখার গ্রাহক এভারেস্ট এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড, গ্লোয়িং কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড, ভিস্তা ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড ও স্কাইমার্ক ইন্টারন্যাশনালের নেওয়া ঋণের অনিয়মের প্রকৃত রহস্য উন্মোচনে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ৪ মার্চ তাঁদের তলব করে চিঠি দেওয়া হয়েছিল।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: জ জ ঞ স ব দ কর কর মকর ত

এছাড়াও পড়ুন:

ভল্ট ভেঙে টাকা চুরি: নৈশপ্রহরীর দুই সহযোগীর রিমান্ড

কেরাণীগঞ্জে আইএফআইসি ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে ১৫ লাখ টাকা চুরির মামলায় ব্যাংকের নৈশপ্রহরী মো. সিয়ামের দুই সহযোগী আল আমিন হাওলাদার ও ইমরান শেখের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

রবিবার (১৫ জুন) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এ কে এম মহিউদ্দিনের আদালত শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন।

এর আগে গত ১১ জুন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কেরাণীগঞ্জ মডেল থানার এসআই সুমন মিয়া তাদের ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। আদালত তাদের কারাগারে পাঠিয়ে রিমান্ড শুনানির দিন ১৫ জুন ধার্য করেন।

এদিন আসামিদের কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। আসামিদের পক্ষে তাদের আইনজীবী আব্বাস উদ্দিন রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তাদের এক দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।

এর আগে গত ১১ জুন ব্যাংকের নিরাপত্তাপ্রহরী মো. সিয়াম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

গত ৯ জুন রাতে রোহিতপুর বোর্ডিং মোড় এলাকার ইস্পাহানি স্কুল অ্যান্ড কলেজ মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় অবস্থিত আইএফআইসি ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে ১৫ লাখ ২০ হাজার টাকা চুরি করে নিয়ে যায় সংঘবদ্ধ একটি চক্র। চুরির ঘটনার পরপরই ঢাকা জেলা দক্ষিণ গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ এবং কেরাণীগঞ্জ মডেল থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে ৩ জনকে আটক করে। এ সময় আসামি সিয়ামের ভাড়া বাসা থেকে ৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা, আল আমিনের বাসা থেকে ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা এবং ইমরানের বাড়ি থেকে ৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। এ সময় চুরির কাজে ব্যবহৃত গ্রাইন্ডিং মেশিন, লোহার শাবল, চাকু ও হার্ডডিস্কসহ সিসিটিভির ডিভিআর ডিভাইসও জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় ব্যাংকের পক্ষ থেকে কেরাণীগঞ্জ মডেল থানায় মামলা করা হয়।

ঢাকা/এম/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ১৫ লাখ টাকা চুরির মামলায় নৈশপ্রহরীর ২ সহযোগী রিমান্ডে 
  • ভল্ট ভেঙে টাকা চুরি: নৈশপ্রহরীর দুই সহযোগীর রিমান্ড