কয়েক বন্ধুকে বাড়িতে এনে বাবাকে পিটিয়েছে ছেলে। বাবাকে পিটিয়ে চলে যাওয়ার সময় এলাকাবাসী ছেলে ও তার তিন বন্ধুকে ধরে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে। 
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নের সাতখামাইর আজিমপুর গ্রামের এ ঘটনায় গতকাল বুধবার পিটুনির শিকার আসাদুজ্জামান ছেলে আবির আহমেদকে (১৭) প্রধান আসামি করে থানায় মামলা করেছেন। 

স্থানীয়রা জানান, আসাদুজ্জামানের প্রথম স্ত্রীর ঘরের ছেলে আবির। স্বামী ও ছেলেকে দেশে রেখে বছর পাঁচেক আগে পারুল আক্তার বিদেশে চলে যান। এরই মধ্যে আসাদ দ্বিতীয় সংসার পাতেন। প্রথম স্ত্রী দেশে ফিরে আসার আগেই তাঁর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। এই নিয়ে বাবা ও ছেলের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। এই দ্বন্দ্বের জেরে গত সোমবার রাতে ছেলে আবির তার বন্ধুবান্ধব ও কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের নিয়ে আসাদের ওপর হামলা করে। বেদম মারধর করে ফেলে রেখে চলে যাওয়ার সময় তাঁর চিৎকারে এলাকার লোকজন জড়ো হন। পরে আবির, তার বন্ধু জাহিদ হাসান (১৬), জিহাদ আলম (১৭) ও মারুফ মিয়াকে (১৬) হাতেনাতে ধরে গণপিটুনি দেন এলাকাবাসী। পরে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় তাদের। আসাদুজ্জামানের অভিযোগ, প্রথম স্ত্রী পারুল তাঁর ছেলেকে দিয়ে তাঁকে (আসাদ) এভাবে মারধর করিয়েছেন।   

শ্রীপুর থানার ওসি জয়নাল আবেদীন মণ্ডল বলেন, আটক চারজনকেই আদালতের মাধ্যমে বুধবার কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

লামিনে ‘মেসি’ ইয়ামাল

১৭ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো: ১৯ ম্যাচ, ৫ গোল, ৪ গোলে সহায়তা।

১৭ বছর বয়সী লিওনেল মেসি: ৯ ম্যাচ, ১ গোল, গোলে সহায়তা নেই।

১৭ বছর বয়সী লামিনে ইয়ামাল: ১০০ ম্যাচ, ২২ গোল, ৩৩ গোলে সহায়তা।

মেসি–রোনালদোর সঙ্গে তুলনা নয়, লামিনে ইয়ামালের শুরুটা বোঝাতে এই পরিসংখ্যান হাজির করেছে টিএনটি স্পোর্টস। ধূমকেতুর মতো শুরু হলেও ধূমকেতুর মতোই মিলিয়ে যাওয়ার পাত্র তিনি নন।

বার্সেলোনার এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে  গত রাতের ম্যাচটি স্মরণ করতে পারেন। ৬ গোলের থ্রিলার, যেখানে বার্সেলোনা–ইন্টার মিলান সেমিফাইনাল প্রথম লেগের ‘ক্লাসিক’ লড়াই ৩–৩ গোলে অমীমাংসীত। দুই দলের হয়েই ‘সুপার হিরো’ ছিলেন বেশ কজন। ইন্টারের যেমন ডেনজেল ডামফ্রিস ও মার্কাস থুরাম, বার্সার তেমনি রাফিনিয়া, ফেরান তোরেসরা। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে ঠিকই রবির কিরণের মতো আলো দিয়েছেন এক কিশোর—লামিনে ইয়ামাল নাসরাউয়ি এবানা। সংক্ষেপে লামিনে ইয়ামাল।

আরও পড়ুন৬ গোলের থ্রিলারে বার্সেলোনা–ইন্টার সেয়ানে সেয়ানে টক্কর৮ ঘণ্টা আগে

২৪ মিনিটে ইয়ামালের করা গোলটির প্রসঙ্গে পরে আসা যাবে। যেভাবে খেলেছেন তাতে গোলটি না করলেও লোকে কাল রাতে তাঁর পারফরম্যান্স মনে রাখতেন। পরিসংখ্যান বলছে ১০২টি টাচ, একটি গোল, ২টি গোল হওয়ার মতো পাস, ৬টি শট (পোস্টে মেরেছেন দুবার) এবং ১০টির মধ্যে ৬টি সফল ড্রিবলিং।

কিন্তু পরিসংখ্যানে এ তথ্য নেই—মাঠে ডান প্রান্তকে ইয়ামাল ফাইনালে ওঠার হাইওয়ে বানিয়ে যতবার কাট–ইন করে ইন্টারের বক্সে ঢুকেছেন, সেটা আসলে ইতালিয়ান ক্লাবটির রক্ষণের জন্য দুঃস্বপ্নের। প্রতিবারই মৌমাছির মতো ছেঁকে ধরা হয়েছে ইয়ামালকে। কিন্তু আটকানো কি সম্ভব হয়েছে? রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওগুলো ভাসছে। সেসব আসলে ইয়ামালের পায়ের কারুকাজে ইন্টারের রক্ষণকে স্রেফ খোলামকুচির মতো উড়িয়ে দেওয়ার ভিডিও।

ইয়ামাল কত ভয়ংকর সেটা এই এক ছবিতেই পরিস্কার। সবাই ছেঁকে ধরেও তাঁকে আটকাতে পারেননি

সম্পর্কিত নিবন্ধ