৮৭ কোটি টাকার কাজ ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা আ’লীগ নেতার, সহায়তায় বিএনপি
Published: 20th, March 2025 GMT
সিলেটে ঠিকাদারের কাছ থেকে ৮৭ কোটি টাকার একটি কাজ বাগিয়ে নিতে তাঁকে ডেকে নিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগ নেতা আজাদ হোসাইনের বিরুদ্ধে। নির্যাতিত ঠিকাদার শফিকুল ইসলামের ফোনে পুলিশ এলে আজাদকে পালাতে সহযোগিতা করেন স্থানীয় বিএনপির নেতারা। গতকাল বুধবার সিলেট নগরীর ইলেকট্রিক সাপ্লাই এলাকার ক্রিস্টাল হোটেলে এ ঘটনা ঘটে।
আজাদ হোসাইন সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও বাংলাদেশ স্থলবন্দর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি তাহিরপুর উপজেলার বালুজড়ি ইউপি চেয়ারম্যানও। অন্যদিকে ঠিকাদার শফিকুল ইসলাম নগরীর সুবিদবাজারের বাসিন্দা। তাঁর মূল বাড়ি সুনামগঞ্জে।
ভুক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত ডিসেম্বরে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের সুনামগঞ্জের আওতাধীন সুনামগঞ্জ-বিশ্বম্ভরপুর সড়কের উন্নয়নকাজে ৮৭ কোটি ৬০ লাখ টাকার কার্যাদেশ পায় একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কাজটি সম্পাদনের দায়িত্ব পান শফিকুল ইসলাম। তিনি সহযোগিতার জন্য আজাদ হোসাইনকে অর্ধেক অংশীদারিত্ব দিয়ে চুক্তিনামা করেন। কাজ চলা অবস্থায় বুধবার দুপুরে ক্রিস্টাল হোটেলে শফিককে ডেকে নেন আজাদ। স্ট্যাম্প পেপার বের করে অংশীদারিত্ব ছেড়ে দিতে তাতে শফিককে সই দিতে চাপ দেন আজাদ ও তাঁর সহযোগীরা। শফিক রাজি না হলে তাঁকে গালাগাল ও মারধর করা হয়। শরীরের পোশাক টেনে ছিঁড়ে ফেলেন হামলাকারীরা। খবর পেয়ে পুলিশ হোটেলে অবস্থান নেয়। বিপদ আঁচ করতে পেরে আজাদ মহানগর বিএনপির সহসভাপতি সাদিকুর রহমান সাদিক, দলীয় কর্মী মিলটন ও হোটেল মালিক নিশু দাসকে ফোন করেন। তারা এসে আবারও সমঝোতার কথা বলে আজাদকে কৌশলে হোটেল থেকে পালাতে সহায়তা করেন। অভিযোগ উঠেছে, মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে বিএনপি নেতারা আজাদকে পালাতে সহায়তা করেছেন।
এ ঘটনায় আইনি প্রস্তুতি নিচ্ছেন জানিয়ে ঠিকাদার শফিকুল ইসলাম সমকালকে বলেন, ‘কাজের জন্য আজাদকে অংশীদার করেছিলাম। তিনি এখন এককভাবে কাজটি কবজায় নিতে ডেকে এনে মারধর করলেন। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আজাদকে হোটেল থেকে পালাতে সহায়তা করেছে একটি চক্র।’
অভিযোগের বিষয়ে আওয়ামী লীগ নেতা আজাদ হোসাইনের মোবাইল নম্বরে কল দিলে বন্ধ পাওয়া যায়। তবে বিএনপি নেতা সাদিকুর রহমান জানান, তাঁর এলাকায় হোটেলটির অবস্থান। বের হওয়ার পথে ঝামেলা দেখে এগিয়ে যান। আওয়ামী লীগ নেতাকে পালাতে কারা সহায়তা করেছে, তা তিনি জানেন। এ বিষয়ে পুলিশ ভালো বলতে পারবে বলে জানান সাদিক।
ঘটনাস্থলে যাওয়া কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক শামসুল হাবিব জানান, খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে যান। সেখানে বিএনপির কারা ছিলেন, তা জানেন না।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আওয় ম ল গ ব এনপ স ন মগঞ জ আজ দ হ স আওয় ম ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
শ্রমিকদের দাবির প্রেক্ষিতে খুলছে ৪ বন্ধ কারখানা
নয় দিন বন্ধ থাকার পর আগামীকাল মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) থেকে নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডের চারটি কারখানায় চালু হচ্ছে।
বেতন, বোনাসসহ বিভিন্ন দাবি বাস্তবায়নে আন্দোলনের মুখে গত ২৫ অক্টোবর বিকেলে চারটি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।
আরো পড়ুন:
ঝিনাইদহে গাছ থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু
বরিশালে অপসো ফার্মার ৫০০ শ্রমিক ছাঁটাইয়ের অভিযোগ
কারখানাগুলো হলো দেশবন্ধু টেক্সটাইল মিল লিমিটেড, সেকশন সেভেন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড, মেইগো বাংলাদেশ লিমিটেড ও ইপিএফ প্রিন্টিং লিমিটেড।
সেকশন সেভেন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের পরিচালক আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘২৬ অক্টোবর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধ রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে শ্রমিকেরা কারখানা চালুর দাবি জানান। তাদের দাবির প্রেক্ষিতে কারখানা চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমাদের কারখানায় সাড়ে ৩ হাজার শ্রমিক রয়েছে।’’
ইপিজেড সূত্র জানিয়েছে, বন্ধ চারটি কারখানায় সাড়ে ৬ হাজার শ্রমিক রয়েছে।
উত্তরা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের (ইপিজেড) নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার জানান, শ্রমিকদের আবেদনের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) থেকে বন্ধ থাকা চার কারখানা চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এ দিন থেকে স্বাভাবিকভাবে কার্যক্রম শুরু হবে এবং শ্রমিকদের যথাসময়ে কারখানায় আসার আহ্বান জানানো হয়েছে।
উত্তরা ইপিজেডের ২৭টি কারখানায় ৩৫ হাজার শ্রমিক কর্মরত রয়েছে।
ঢাকা/সিথুন/বকুল