ঢাকার ধামরাইয়ে আবুল কাশেম (৫৭) নামের এক বিএনপি নেতাকে দৃর্বত্তরা প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে তাকে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। 

এর আগে, বেলা ১২টার দিকে উপজেলার গাংগুটিয়া ইউনিয়নের জালসা এলাকায় দুর্বৃত্তরা তাকে কুপিয়ে ফেলে রেখে যায়। আবুল কাশেম জালসা এলাকার মৃত রইজ উদ্দিন মাস্টারের ছেলে ও ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি ছিলেন।

নিহতের ছোট ভাই খলিলুর রহমান জানান, বেলা ১২টার দিকে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পরই সন্ত্রাসীরা তাকে কুপিয়ে ফেলে রেখে যায়। স্থানীয়রা জানান, পূর্ব বিরোধের জের ধরে তাকে হত্যা করা হতে পারে।

গাংগুটিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোজাম্মেল হক বলেন, ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবুল কাশেম বাড়ি থেকে বাজারে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হয়েছিলেন। পথে দুর্বৃত্তরা তাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে।

ধামরাই থানার ওসি মনিরুল ইসলাম বলেন, কি কারণে হত্যা হয়েছে তার তদন্ত চলছে। জড়িতদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক প য় হত য হত য ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

শ্রমিকদের দাবির প্রেক্ষিতে খুলছে ৪ বন্ধ কারখানা

নয় দিন বন্ধ থাকার পর আগামীকাল মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) থেকে নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডের চারটি কারখানায় চালু হচ্ছে। 

বেতন, বোনাসসহ বিভিন্ন দাবি বাস্তবায়নে আন্দোলনের মুখে গত ২৫ অক্টোবর বিকেলে চারটি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।

আরো পড়ুন:

ঝিনাইদহে গাছ থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু 

বরিশালে অপসো ফার্মার ৫০০ শ্রমিক ছাঁটাইয়ের অভিযোগ

কারখানাগুলো হলো দেশবন্ধু টেক্সটাইল মিল লিমিটেড, সেকশন সেভেন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড, মেইগো বাংলাদেশ লিমিটেড ও ইপিএফ প্রিন্টিং লিমিটেড।

সেকশন সেভেন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের পরিচালক আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘২৬ অক্টোবর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধ রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে শ্রমিকেরা কারখানা চালুর দাবি জানান। তাদের দাবির প্রেক্ষিতে কারখানা চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমাদের কারখানায় সাড়ে ৩ হাজার শ্রমিক রয়েছে।’’ 

ইপিজেড সূত্র জানিয়েছে, বন্ধ চারটি কারখানায় সাড়ে ৬ হাজার শ্রমিক রয়েছে। 

উত্তরা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের (ইপিজেড) নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার জানান, শ্রমিকদের আবেদনের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) থেকে বন্ধ থাকা চার কারখানা চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

এ দিন থেকে স্বাভাবিকভাবে কার্যক্রম শুরু হবে এবং শ্রমিকদের যথাসময়ে কারখানায় আসার আহ্বান জানানো হয়েছে।

উত্তরা ইপিজেডের ২৭টি কারখানায় ৩৫ হাজার শ্রমিক কর্মরত রয়েছে।

ঢাকা/সিথুন/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ