রোনালদোর সামনেই গোল করে ‘সিউ’, হারল পর্তুগাল
Published: 21st, March 2025 GMT
এই তো গত কয়েক সপ্তাহে নিজ-নিজ ক্লাবে ব্রুনো ফের্নান্দেজ এবং ভিতিনহা যা করেছেন তা এক কথায় অবিশ্বাস্য। চ্যাম্পিয়নস লিগে লিভারপুলের বিপক্ষে ভিতিনহার খেলা দেখে ফুটবল বিশেষজ্ঞরা তাকে সেরা সময়ের লুকা মদ্রিচ এবং টনি ক্রুসের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। অথচ ডেনমার্কের বিপক্ষে এই দুই তারকা মিডফিল্ডার হয়ে থাকলেব বোতলবন্দী।
তাহলে ব্রুনো আর ভিতিনহার হলোটা কী? জাতীয় দলে এসেই খেলা ভুলে যাওয়ার কোন ব্যাপার তো থাকে না। মূলত পর্তুগালের ম্যানেজার রবার্তো মার্তিনেজের অকার্যকরী কৌশলের কারণেই অনুজ্জ্বল হয়ে ছিলেন এক ঝাঁক তারকায় ভরা পর্তুগাল। উয়েফা ন্যাশনস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে ডেনমার্কের বিপক্ষে ১-০ ব্যবধানে হেরে যায় পর্তুগাল।
এই ম্যাচের ব্যবধান গড়ে দেওয়া গোলটা করেন ডেনমার্কের স্ট্রাইকার রাসমুস হইলুন্ড। বদলি হিসেবে নেমে ৭৮ মিনিটে গোল করেন এই ডেনিশ তারকা। তবে এরপরই এই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের স্ট্রাইকার যা করলেন, তা এখন ফুটবল বিশ্বের টক অব দা টাউন। তিনি ‘সিউ’ উদযাপন করলেন। আর এ কথা সবারই জানা যে এই ‘সিউ’ ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর ‘ট্রেডমার্ক সেলিব্রেশন’।
আরো পড়ুন:
ব্রুনোর শেষ মুহূর্তের গোলে ইউনাইটেডের জয়; হাঁপ ছেড়ে বাঁচলেন আমোরিম
আল নাসরে রোনালদোর ‘১০০’
হইলুন্ড যখন এই সেলিব্রেশন করছেন, তখন মাঠেই দাঁড়িয়েই পিছিয়ে পড়ার আক্ষেপে পুড়ছিলেন রোনালদো। তাহলে কি পর্তুগিজ মহাতারকাকে ব্যঙ্গ করেই ‘সিউ সেলব্রেশন’ করলেন ডেনিশ তারকা?
এর জবাবে হইলুন্ড বলেন, “এটি আমার আইডলের (রোনালদো) জন্য। উদযাপনটি তাকে নিয়ে মজা করার জন্য ছিল না। তিনি আমার ফুটবল ক্যারিয়ারের উপর বিরাট প্রভাব ফেলেছেন। আবার তার ও পর্তুগালের বিপক্ষে গোল করাটা বিশাল ব্যাপার।”
হইলুন্ড এর পর তার আদর্শ রোনালদোর খেলা দেখা নিয়ে শৈশবের স্মৃতিচারণ করেন, “আমি ২০১১ সালে একটি ম্যাচ দেখতে গিয়েছিলাম, তখন তিনি (রোনালদো) ফ্রি কিক থেকে গোল করেছিলেন, এবং তারপর থেকেই আমি তার একজন বড় ফ্যান।”
ঢাকা/নাভিদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর ত গ ল পর ত গ ল হইল ন ড গ ল কর
এছাড়াও পড়ুন:
একজন চা শ্রমিকের দিনে আয় ১৭৮ টাকা
হবিগঞ্জে ছোট-বড় মিলেয়ে চা বাগানের সংখ্যা প্রায় ৪১টি। এসব বাগানের বাসিন্দা প্রায় দেড় লাখ। এর মধ্যে, স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলে ৩২ থেকে ৩৫ হাজার মানুষ চা পাতা উত্তোলনে জড়িত।
চা বাগানে একজন শ্রমিককে প্রতিদিন ২৩ কেজি পাতা তুলতে হয়। এর বিনিময়ে মজুরি পান ১৭৮ টাকা ৫০ পয়সা। অভিযোগ রয়েছে, কোনো কোনো বাগানে নিয়মিত এই মজুরিও দেওয়া হয় না।
শ্রমিকদের দাবি, দৈনিক মজুরি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা করতে হবে। বর্তমানে যে মজুরি পাওয়া যায় তা দিয়ে সংসার চলে না। প্রতিদিনই নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে। সেই সঙ্গে চা শ্রমিকদের নৈমিত্তিক ছুটির ব্যবস্থা করতে হবে।
আরো পড়ুন:
বৈষম্য কেন? নারী শ্রমিকেরা পান না সমান মজুরি
ধান কাটায় আধুনিক যন্ত্রের ব্যবহার, পেশা বদলাচ্ছেন কৃষি শ্রমিকেরা
সরেজমিনে কয়েকটি বাগান ঘুরে দেখা যায়, শ্রমিকরা ছোট্ট কুঠুরিতে গাদাগাদি করে পরিবারের সবাইকে নিয়ে বসবাস করেন। পুষ্টিকর খাবার তো দূরের কথা, দু-বেলা পেটভরে খেতে পারেন না।
শ্রমিকদের দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নৃপেন পাল বলেন, ‘‘দুই বছর অন্তর চা শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবি ও সমস্যা নিয়ে চা বাগান মালিক পক্ষের সংগঠনের সঙ্গে চা শ্রমিক ইউনিয়ন প্রতিনিধির বৈঠক হয়। সর্বশেষ গত বছরের আগস্টে বৈঠক হয়েছে। সে সময় ৮ টাকা ৫০ পয়সা বৃদ্ধি পেয়ে মজুরি ১৭৮ টাকা ৫০ নির্ধারিত হয়েছে।’’
শ্রমিকদের কষ্টের কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে এই টাকায় চলা যায় না। দেশের কোথাও এতো সস্তা শ্রমের দাম নেই। বর্তমানে একজন কৃষিশ্রমিক দিনে ৫০০-১০০০ টাকা আয় করেন, একজন রিকশাচালকের প্রতিদিনের আয় ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা। সেখানে একজন চা শ্রমিক পান ১৭৮ টাকা ৫০ পয়সা। এজন্য তাকে প্রতিদিন ২৩ কেজি পাতা তুলতে হয়।’’
চা শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে নাটক ও গানের মাধ্যমে দাবি জানিয়ে আসা জেলার চুনারুঘাট উপজেলার দেউন্দি প্রতীক থিয়েটারের সভাপতি সুনীল বিশ্বাস বলেন, ‘‘দৈনিক ১৭৮ টাকা ৫০ পয়সা মজুরিতে শ্রমিকদের চলা কঠিন হয়ে পড়েছে। অচিরেই মজুরি ৬০০ টাকা নির্ধারণ করা হোক। এছাড়া, শ্রমিকদের আরো সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।’’
ঢাকা/রাজীব