আইডল ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর সামনে গোল করে তারই বিখ্যাত ‘সিউ’ উদযাপন করলেন রাসমুস হইলুন্দ। আর সেই গোলে রোনালদোর পর্তুগালকে ১-০ ব্যবধানে হারিয়ে নেশন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে দারুণ জয় পেল ডেনমার্ক।

ম্যাচের ৭৮ মিনিটে আন্দ্রেস স্কোভ ওলসেনের পাস থেকে ঠাণ্ডা মাথায় গোলটি করেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ফরোয়ার্ড হইলুন্দ। প্রথমার্ধে একটি সহজ সুযোগ নষ্ট করলেও দ্বিতীয়ার্ধে গোল করে দলকে জয় এনে দেন ২২ বছর বয়সী এই তরুণ। 

গোলের পর হইলুন্দের ‘সিউ’ উদযাপন রীতিমতো দৃষ্টিনন্দন দৃশ্য হয়ে ওঠে। কিছুদিন আগেই এই তরুণ জানিয়েছিলেন, ‘আমি ফুটবলের প্রেমে পড়েছি রোনালদোর জন্য’

ম্যাচ শেষে এই উদ্‌যাপনের ব্যাখ্যাও দিয়েছেন হইলুন্দ, ‘এটা আমার আদর্শের জন্য। এটা তাকে উপহাস করা কিংবা এমন কোনো ইচ্ছা থেকে করিনি। আমার ও আমার ফুটবল ক্যারিয়ারের ওপর তার প্রভাব অসামান্য। হয়তো একটু অন্য রকমও লাগতে পারে, তবে পর্তুগাল ওতাঁর বিপক্ষে গোল করা আমার জন্য বিশাল কিছু। ২০১১ সালে ফ্রি কিক থেকে তার গোল করা মনে আছে। ম্যাচটি আমি দেখেছি এবং তারপর থেকেই আমি ক্রিশ্চিয়ানোর ভক্ত।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: হইল ন দ গ ল কর

এছাড়াও পড়ুন:

সবাই ভেবেছিলেন কিশোরী ডুবে গেছে, ১০ দিন পর ফোন করে জানাল সে গাজীপুরে আছে

১০ দিন আগে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর মরা কালিগঙ্গা নদীতে গোসল করতে গিয়েছিল কিশোরী সোহানা খাতুন। বাড়িতে ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী তাকে খুঁজতে শুরু করেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নদীতে অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান পায়নি। তবে গত বুধবার রাতে মাকে ফোন করেছে সোহানা; জানিয়েছে সে গাজীপুরে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে।

নিখোঁজ হওয়া কিশোরীর নাম সোহানা খাতুন। তার বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের বাঁশগ্রাম কারিগর পাড়ায়। তার বাবা গোলাম মওলা ও মা শিরিনা খাতুন।

পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯ জুলাই দুপুরে বাড়ির পাশের মরা কালিগঙ্গা নদীতে গোসল ও কাপড় ধুতে গিয়েছিল সোহানা। দীর্ঘ সময়েও না ফেরায় তার মা নদীর ধারে যান; দেখেন, সোহানার কাপড় পড়ে আছে। এরপর স্বজন ও এলাকাবাসী তাকে খুঁজতে শুরু করেন। খবর পেয়ে ওই রাতে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল নদীতে উদ্ধার অভিযান চালায়। পরদিন খুলনা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ১২ ঘণ্টা অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান না পেয়ে অভিযান স্থগিত করে। ২১ জুলাই এক কবিরাজ এনে নদীতে খোঁজার চেষ্টাও করেন সোহানার বাবা–মা।

এমন অবস্থায় বুধবার রাতে হঠাৎ সোহানা তার মায়ের ফোনে কল দিয়ে জানায়, সে ঢাকার গাজীপুরে তার প্রাক্তন স্বামীর কাছে রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান সোহানার বাবা গোলাম মওলা। তিনি বলেন, ‘প্রথমে ভেবেছিলাম, মেয়ে নদীতে ডুবে গেছে। সবাই মিলে খোঁজাখুঁজি করেছি। এমনকি কবিরাজও এনেছিলাম। কিন্তু হঠাৎ বুধবার আমার স্ত্রীকে ফোন দিয়ে জানায়, সে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে। আমরা বিষয়টি গতকাল রাতে পুলিশকে জানিয়েছি।’ বিষয়টি বুঝতে না পেরে সবাইকে কষ্ট দেওয়ার জন্য তিনি ক্ষমা চান।

স্থানীয় লোকজন জানান, প্রায় দুই বছর আগে খালাতো ভাই কুতুব উদ্দিনের সঙ্গে পালিয়ে যায় সোহানা এবং দুজন বিয়ে করে। তবে বনিবনা না হওয়ায় তিন মাস আগে সোহানা তাকে তালাক দিয়ে বাবার বাড়ি চলে আসে। নদীতে নিখোঁজ হওয়ার ‘নাটক’ করে সে পালিয়ে গেছে।

এ বিষয়ে কুমারখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আমিরুল ইসলাম বলেন, শুরুতে পরিবারের লোকজন জানিয়েছিল, নদীতে গোসলে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছে সোহানা। গতকাল আবার তার বাবা জানিয়েছে, মেয়ে গাজীপুরে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ