যশোরে ২৪ মামলার আসামি ‘ভাইপো রাকিব’ আটক
Published: 21st, March 2025 GMT
যশোর শহরের চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও হত্যাসহ ২৪ মামলার আসামি কাজী রাকিব ওরফে ‘ভাইপো রাকিবকে’ আটক করেছে যশোর ডিবি পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) রাত ৯ টার দিকে ডিবির ওসি মঞ্জুরুল হক ভুঞার নেতৃত্বে একটি টিম বেজপাড়া এলাকা থেকে তাকে আটক করে।
কাজী রাকিব ওরফে ‘ভাইপো রাকিব’ শংকরপুর এলাকার তৌহিদুল ইসলামের ছেলে। সে যশোর শহরেরই বাসিন্দা।
ডিবির অফিসার ইনচার্জ মঞ্জুরুল হক ভুঞা জানান, ‘ভাইপো রাকিব’ যশোরের চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে ৪টি হত্যা, ৭টি অস্ত্র, ৪টি বিস্ফোরক, চাঁদাবাজিসহ ২৪টি মামলা রয়েছে। তার মধ্যে কয়েকটি মামলায় তিনি ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি। ২০১৫ সালের একটি মামলায় তাকে আটক দেখানো হয়েছে।এ সময় অভিযানে এসআই শেখ আবু হাসান অংশ নেন।
পুলিশ জানিয়েছে, আওয়ামী লীগের ক্ষমতাকালে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসাবে কাজ করেছে রাকিব। যখনই যার সাপোর্ট পেতেন তার হয়েই অপরাধসহ নানা কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করতেন তিনি। রাকিবকে এর আগে একাধিকবার পুলিশ আটক করেছে। পরে জামিনে বের হয়ে ফের একই অপকর্মে জড়িয়ে পড়েন তিনি।
পুলিশ জানিয়েছে, সম্প্রতি তিনি গুলিবিদ্ধ হন। তাকে ঢাকায় নেওয়া হয়। যশোরে ফিরে তিনি ফের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন।
ঢাকা/প্রিয়ব্রত/টিপু
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জব্দ করা জাটকা এতিমখানায় বিতরণ, সেই মাছ লুট করলেন আড়তদারেরা
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় জব্দ করা ৭০ কেজি জাটকা দুটি মাদ্রাসা ও এতিমখানায় বিতরণ করা হয়েছিল। তবে সেই মাছ লুট করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কয়েকজন আড়তদারের বিরুদ্ধে। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার আমিরাবাদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
উপজেলা মৎস্য কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল বিকেলে মৎস্য কার্যালয়ের উদ্যোগে পরিচালিত জাটকা রক্ষার অভিযানে আমিরাবাদ ও দশানী বাজার থেকে ৭০ কেজি জাটকা জব্দ করা হয়। অভিযান পরিচালনা করেন মৎস্য কর্মকর্তা বিজয় কুমার দাস। পরে আমিরাবাদ এলাকায় জব্দ করা জাটকা উপজেলার হাজীপুর ও ফরাজীকান্দি মাদ্রাসা ও এতিমখানার শিক্ষক ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। স্থানীয় কিছু দুস্থ মানুষকেও কিছু জাটকা দেওয়া হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই জাটকা নিয়ে ওই দুই মাদ্রাসার শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কমিটির লোকজন সন্ধ্যায় আমিরাবাদের বেড়িবাঁধ এলাকায় পৌঁছান। তখন আমিরাবাদ বাজারের মাছের আড়তদার আবুল প্রধান, আরিফ গাজী, সেরু প্রধানিয়া, দেলু বেপারীসহ আরও কয়েকজন তাঁদের পথরোধ করেন এবং জাটকাগুলো লুট করে নিয়ে যান।
হাজীপুর মাদ্রাসার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম ও ফরাজীকান্দি মাদ্রাসার শিক্ষক মো. আল আমিন অভিযোগ করেন, মাছের ওই আড়তদারেরা তাঁদের নানাভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে তাঁদের কাছ থেকে জাটকা লুট করে নিয়ে যান। বাধা দিয়েও কাজ হয়নি। বিষয়টি মৎস্য কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) জানিয়েছেন।
এ অভিযোগের বিষয়ে আবুল প্রধান, আরিফ গাজী ও সেরু প্রধানিয়ার মুঠোফোন নম্বরে যোগাযোগ করা হলে সংযোগ বন্ধ পাওয়া যায়। তবে দেলু ব্যাপারী মুঠোফোনে বলেন, জাটকা লুট করা তাঁদের উচিত হয়নি। ওই জাটকা আজ (বৃহস্পতিবার) তাঁরা ফেরত দেবেন। এটি তাঁদের বড় ভুল হয়েছে।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিজয় কুমার দাস বলেন, বিষয়টি জানার পর ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। জাটকা উদ্ধারে ব্যবস্থাপনা নেওয়া হচ্ছে।
ইউএনও মাহমুদা কুলসুম মনি বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর জাটকা উদ্ধারে তিনি থানার ওসি ও মৎস্য কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন। বিষয়টির তদন্ত চলছে। এ ব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এতিমদের জাটকা লুট হওয়ার বিষয়টি খুব দুঃখজনক।