মাদক সেবনের টাকা না দেওয়ায় নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) এক শিক্ষার্থীকে মারধর ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

ভুক্তভোগী তাফহিমুল আদিব বিশ্ববিদ্যালয়ের সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। অভিযুক্ত মো. রিয়াজ নোয়াখালী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।

শুক্রবার (২১ মার্চ) নোয়াখালীতে সোনাপুরে বাসায় ফেরার পথে এ মারধরের ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে ভুক্তভোগী তাফহিমুল আদিব নোয়াখালীর সুধারাম মডেল থানায় অভিযোগ করেছেন।

আরো পড়ুন:

নোবিপ্রবি ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীকে হয়রানির অভিযোগ

নোবিপ্রবিতে ২০ মার্চ থেকে ছুটি শুরু, বন্ধ থাকবে হল

অভিযোগে ভুক্তভোগী বলেন, “একাডেমিক কেয়ার থেকে সোনাপুর বাসায় ফেরার পথে আসামী আমাকে ডেকে মাদক সেবনের জন্য টাকা চান। টাকা দিতে অস্বীকার করলে সে আমাকে এলোপাথাড়ি মারধর শুরু করেন। এ সময় তার সঙ্গে থাকা ধারালো অস্ত্র প্রদর্শন করে আমার পকেটে থাকা নগদ ৫ হাজার টাকা ও বিকাশ থেকে মোট তিন ধাপে ৬ হাজার টাকা জোরপূর্বক নিয়ে যায়।

ভুক্তভোগী আরো বলেন, “আমার সঙ্গে থাকা সব টাকা উত্তোলন করে নিয়ে প্রাণে হত্যার হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন ছিনতাইকারী। পরক্ষণে আমার পরিচিত বড় ভাইকে নিয়ে তার সঙ্গে বিষয়টি সমাধান করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু সে মামলার সাক্ষীদেরও এলোপাথাড়ি মারধর করে শরীরে বিভিন্ন স্থানে জখম করে। সে আমাকে এবং সাক্ষীদেরকে প্রাণে হত্যার হুমকি দিয়েছে।”

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এএফএম আরিফুর রহমান বলেন, “আমি সুধারাম থানার ওসিকে বিষয়টি অবহিত করেছি, উনারা ব্যবস্থা নিবেন। আর ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে আমরা সবরকম সহযোগিতা করব।”

সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল বলেন, “আমি অভিযোগটা পেয়েছি। অভিযোগের বিষয়ে আমাদের একজন অফিসারকে দায়িত্ব দিয়েছি। তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।”

ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন ব প রব ম রধর

এছাড়াও পড়ুন:

শ্রমিকদের দাবির প্রেক্ষিতে খুলছে ৪ বন্ধ কারখানা

নয় দিন বন্ধ থাকার পর আগামীকাল মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) থেকে নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডের চারটি কারখানায় চালু হচ্ছে। 

বেতন, বোনাসসহ বিভিন্ন দাবি বাস্তবায়নে আন্দোলনের মুখে গত ২৫ অক্টোবর বিকেলে চারটি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।

আরো পড়ুন:

ঝিনাইদহে গাছ থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু 

বরিশালে অপসো ফার্মার ৫০০ শ্রমিক ছাঁটাইয়ের অভিযোগ

কারখানাগুলো হলো দেশবন্ধু টেক্সটাইল মিল লিমিটেড, সেকশন সেভেন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড, মেইগো বাংলাদেশ লিমিটেড ও ইপিএফ প্রিন্টিং লিমিটেড।

সেকশন সেভেন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের পরিচালক আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘২৬ অক্টোবর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধ রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে শ্রমিকেরা কারখানা চালুর দাবি জানান। তাদের দাবির প্রেক্ষিতে কারখানা চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমাদের কারখানায় সাড়ে ৩ হাজার শ্রমিক রয়েছে।’’ 

ইপিজেড সূত্র জানিয়েছে, বন্ধ চারটি কারখানায় সাড়ে ৬ হাজার শ্রমিক রয়েছে। 

উত্তরা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের (ইপিজেড) নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার জানান, শ্রমিকদের আবেদনের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) থেকে বন্ধ থাকা চার কারখানা চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

এ দিন থেকে স্বাভাবিকভাবে কার্যক্রম শুরু হবে এবং শ্রমিকদের যথাসময়ে কারখানায় আসার আহ্বান জানানো হয়েছে।

উত্তরা ইপিজেডের ২৭টি কারখানায় ৩৫ হাজার শ্রমিক কর্মরত রয়েছে।

ঢাকা/সিথুন/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ