কেএমপির বরখাস্ত এসআই শাহ আলমের ৭ বছর কারাদণ্ড
Published: 23rd, March 2025 GMT
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) বরখাস্ত উপপরিদর্শক মো. শাহ আলমকে ৭ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রোববার দুপুরে খুলনার বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মো. আশরাফুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেছেন।
এক যুগ আগে খুলনা নগরীর খালিশপুরের মুজগুন্নী আবাসিক এলাকায় মিল্কি আইসক্রিম ফ্যাক্টরির মালিক মাসুদ হাসানের বাসার গৃহকর্মী সীমাকে হত্যা ও লাশ গুমের গল্প তৈরি করেছিলেন এস আই শাহ আলম। পরে পুলিশের আরেকটি দল সীমাকে জীবিত উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ক্ষমতার অপব্যবহার ও ঘুষ হয়রানির অভিযোগে শাহ আলমের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল দুদক।
আলালত থেকে জানা গেছে, ২০০৯ সালে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার চর দৌলতপুর গ্রামের মৃত.
এ মামলার তদন্ত করতে গিয়ে খালিশপুর থানার তৎকালীন এসআই শাহ আলম এই পরিবারের কাছে তিন লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। কিন্তু ঘুষ না পেয়ে এসআই শাহ আলম নিখোঁজের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ‘হত্যা নাটক’ সাজান। পরবর্তীতে ডুমুরিয়া উপজেলার লাইন বিল পাবলার একটি খাল থেকে বস্তাবন্দী ২৮-৩০ বছর বয়সী অজ্ঞাত পরিচয়ের নারীর লাশ সীমা হিসেবে বর্ণনা করে মামলার তদন্ত কার্যক্রম চালান। এ ঘটনায় মাসুদ হাসান ও তাঁর স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করে নির্যাতন করেন শাহ আলম। পরে সীমাকে উদ্ধার করে পুলিশ।
ঘুষ না দেওয়ায় গৃহকর্মী সীমা হত্যা নাটক ও জীবিত উদ্ধারের ঘটনায় ২০১৫ সালের ৩০ এপ্রিল মো. শাহ আলমের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক মো. মোশাররফ হোসেন। ২০১৬ সালের ৩১ আগস্ট শাহ আলমের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়। আদালতের বেঞ্চ সহকারী ইয়াসিন আলী জানান, দুটি ধারায় এসআই শাহ আলমকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। শাহ আলমকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ক এমপ বরখ স ত এসআই শ হ আলম শ হ আলম র
এছাড়াও পড়ুন:
গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ আরও এক নারীর মৃত্যু
গাজীপুর মহানগরের মোগরখাল এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধদের মধ্যে আরও এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ভোরে ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
নিহত তাসলিমা আক্তার পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। তাঁর শরীরের ৯৫ শতাংশ দগ্ধ হয়। তাসলিমা আক্তার শেরপুরের নালিতাবাড়ী থানার বাইগরপাড়া গ্রামের কাশেম আলীর মেয়ে। তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজধানীর শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সেলিম হোসেন।
এর আগে একই ঘটনায় গত সোমবার সকালে সীমা আক্তার নামে একজন নারী মারা যান।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গাজীপুর মহানগরের বাসন থানার মোগরখাল মোল্লা মার্কেট এলাকায় আব্দুর রহিমের বাড়িতে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে নারী ও শিশুসহ পাঁচজন দগ্ধ হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে প্রথমে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে সেখান থেকে তাদের ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করা হয়।
পাঁচজনের মধ্যে দগ্ধ পারভীন আক্তার (৩৫) ও তাঁর দেড় বছরের ছেলে আয়ান এবং তানজিলা আক্তার (১০) নামে এক শিশু এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পারভীনের শরীরের ৩২ শতাংশ, আয়ানের ২৮ শতাংশ ও তানজিলার ৯০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তারা সবাই একই বাড়ির ভাড়াটিয়া।
রাজধানীর শাহবাগ থানার এসআই সেলিম হোসেন জানান, গ্যাস লিকেজ থেকে আগুনে দগ্ধ পাঁচজনের মধ্যে দু’জন মারা গেছে। বাকি তিনজন জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন।