দেশের সর্ব উত্তরের জেলা কুড়িগ্রাম থেকে সাঁতার শুরু। যমুনা নদী হয়ে ৪০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে ২৯ দিনের মাথায় চাঁদপুরের পদ্মা মেঘনা ডাকাতিয়ার মিলনস্থল মোলহেডে পৌঁছেছেন সিরাজগঞ্জের বেলকুচির রফিকুল ইসলাম। তার লক্ষ্য বঙ্গোপসাগরকে ছোঁয়া।

শনিবার বিকেলে সাঁতরে চাঁদপুর শহরের বড় স্টেশন মোলহেডে পৌঁছানোর পর রফিকুলকে স্বাগত জানান তার স্ত্রী বাংলাদেশে প্রথম নারী এভারেস্টজয়ী নিশাত মজুমদার ও চাঁদপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুনতাসির আহমেদ।

রফিকুল ইসলাম জানান, দেশের ভেতরে ৫৫০ কিলোমিটার নদীপথ সাঁতরে বঙ্গোপসাগরে পৌঁছানোর লক্ষ্য নিয়ে গত ২১ ফেব্রুয়ারি ভোরে কুড়িগ্রামের সীমান্তবর্তী ঝুনকারচর থেকে সাঁতার শুরু করেন তিনি।

শনিবার শরীয়তপুরের সুরেশ্বর চরআত্রা এলাকা থেকে সকাল ৭টায় সাঁতার শুরু করে বিকেল সাড়ে ৪টায় ২২ কিলোমিটার পদ্মা-মেঘনা নদীপথ পাড়ি দিয়ে চাঁদপুর  পদ্মা মেঘনা ডাকাতিয়ার মোলহেডে এসে পৌঁছান রফিকুল। টানা ২৯ দিনে ৪০০  কিলোমিটার নদীপথ পাড়ি দিয়েছেন তিনি।

রফিকুল জানান, তিনি মেঘনায় ১৫০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে বঙ্গোপসাগরে পৌঁছাতে চেয়েছিলেন ২৬ মার্চের মধ্যেই। কিন্তু ঢাকায় অফিস থাকায় তিনি বাকি ১৫০ কিলোমিটার শুরু করবেন ঈদের ছুটির মধ্যেই।

রফিকুল ইসলাম বলেন, সাঁতার কেটে নদী এবং নদী পাড়ের মানুষের সঙ্গে পরিচিত হওয়াই ছিল আমার লক্ষ্য। আমাকে দীর্ঘ এই নদীপথ সাঁতরে পাড়ি দিতে সার্বক্ষণিক সাহস যুগিয়েছেন আমার স্ত্রী নিশাত মজুমদার।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

শ্রমিক দিবস উপলক্ষে সিদ্ধিরগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের র‌্যালি

সিদ্ধিরগঞ্জে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে র‌্যালি আয়োজন করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল। বৃহস্পতিবার (১ মে) সকাল সাড়ে ১০টায় নীট কনসার্নের সামনে থেকে র‌্যালিটি শুরু হয়ে নবীগঞ্জ ঘাটে গিয়ে শেষ হয়। র‌্যালিতে নেতৃত্ব দেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সদস্য সচিব মো. আমিনুল ইসলাম শিপলু।

এতে আরও উপস্থিত ছিলেন থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মো. রোমান, মো. সজিব, মো. তুষার, মাহবুবুর রহমান মিলনসহ স্বেচ্ছাসেবক দলের অন্যান্য নেতাকর্মীরা।

র‌্যালি শেষে এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে মো. আমিনুল ইসলাম শিপলু বলেন, ‘আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে আবুল কাউসার আশার নির্দেশনায় ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের পক্ষ থেকে এই আয়োজনটি করা হয়েছে। 


আমার শ্রমিক ভাইদের দাবি আদায়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল সব সময় কাজ করে যাবে। শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি আদায়ে আমরা কখনও পিছপা হবো না।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ