উয়েফা নেশন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের রোমাঞ্চ ছড়ানো দুই লেগ শেষে সেমিফাইনালে জায়গা করে নিলো জার্মানি। ফিরতি লেগে ৩-০ গোলে এগিয়ে গিয়ে দারুণ শুরু করেছিল তারা। তবে হাল ছাড়েনি চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইতালি। দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তনে ম্যাচ শেষে ৩-৩ গোলে সমতায় ফেরে তারা। কিন্তু প্রথম লেগে ২-১ ব্যবধানে জয় পাওয়া জার্মানিই শেষ হাসি হেসেছে। দুই লেগ মিলিয়ে ৫-৪ গোলের ব্যবধানে সেমিতে জায়গা করে নেয় তারা।

রোববার রাতে ডর্টমুন্ডে অনুষ্ঠিত ফিরতি লেগে শুরুতে দুর্দান্ত ছন্দে ছিল জার্মানি। ম্যাচের ৩০ মিনিটে জসুয়া কিমিখের পেনাল্টি গোলে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। এরপর ৩৬ মিনিটে জামাল মুসিয়ালার নিখুঁত শটে ব্যবধান দ্বিগুণ হয়। বিরতির ঠিক আগ মুহূর্তে কিমিখের ক্রসে হেডে গোল করে স্কোরলাইন ৩-০ করেন টিম ক্লাইনডিন্সট। তখন দুই লেগ মিলিয়ে জার্মানি এগিয়ে ছিল ৫-১ গোলে।

তবে বিরতির পর বদলে যায় দৃশ্যপট। ৪৯ ও ৬৯ মিনিটে জোড়া গোল করেন ইতালিয়ান ফরোয়ার্ড ময়েজ কিন। ম্যাচের ইনজুরি টাইমে পেনাল্টি থেকে গোল করে সমতা ফেরান গিয়াকমো রাসপাদোরি। কিন্তু শেষ মুহূর্তের এই লড়াই সত্ত্বেও প্রথম লেগের ব্যবধান ঘোচাতে ব্যর্থ হয় ইতালি।

এই জয়ে সেমিফাইনালে জায়গা করে নেয় জার্মানি। তাদের প্রতিপক্ষ হবে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর নেতৃত্বাধীন পর্তুগাল। কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে ডেনমার্কের কাছে ১-০ গোলে হেরে বিপদে পড়েছিল পর্তুগাল। তবে দ্বিতীয় লেগে দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে ৫-২ ব্যবধানে জয় তুলে নেয় তারা। দুই লেগে ৫-৩ ব্যবধানে সেমিফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করে পর্তুগাল।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব যবধ ন ফ ইন ল

এছাড়াও পড়ুন:

অমর একুশে বইমেলা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক

অমর একুশে বইমেলা বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের মেলা। মূলত প্রকাশকদের উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধ উত্তর বাংলাদেশে এই বইমেলার সূত্রপাত। সম্প্রতি এই বইমেলা নানা কারণে-অকারণে ডিসেম্বরে করার কথা শোনা যাচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে সুস্পষ্টভাবে বলতেই হচ্ছে -ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলা করা যাবে না। কারণ সেসময় সারাদেশে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা চলবে।

বইমেলার প্রধান পাঠক আমাদের শিক্ষার্থী। তারা ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলায় আসতে পারবে না। প্রধান পাঠকই যদি মেলায় আসতে না পারে তাহলে মেলা প্রাণহীন হয়ে পড়বে। বইমেলায় অংশগ্রহণকারি প্রকাশকরাও ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়বে। তাছাড়া একুশের চেতনাকে ধারণ করে যে অমর একুশে বইমেলা, সেটা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক। ভাষা শহীদদরর প্রতি বইমেলার মাধ্যমে আমাদের যে শ্রদ্ধাঞ্জলি, তা অক্ষুন্ন থাকুক। 

আরো পড়ুন:

রাজশাহীতে বইপড়ায় কৃতিত্বের পুরস্কার পেল ২৩০৩ শিক্ষার্থী

‘গল্পকারের পছন্দের ৫০ গল্প’ গ্রন্থ প্রকাশিত

সর্বোপরি ৫ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, এই সময়ে বইমেলা হতে কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। অথবা তারিখ দুই একদিন এদিক-সেদিক করে নেয়া যেতে পারে। এ সময়ে রোজা নেই, নির্বাচনও নেই। নির্বাচনী ক্যাম্পেইন চলবে। এই মাঠে বইমেলা চলাকালীন সর্বদলীয় সিদ্ধান্তে কেউ সভা-সমাবেশ না করার সিদ্ধান্ত নিলে অনায়াসে এই সময়টাতে বইমেলা করা যেতে পারে। আমার বিশ্বাস- সব দলই অমর একুশে বইমেলার জন্য এই ছাড়টুকু দেবেন।

প্রায় পঞ্চাশ বছরের অধিক সময়ের  প্রচেষ্টায় অমর একুশে বইমেলা মহিরুহ হয়ে আমাদের কাছে আবির্ভূত, হঠকারি কোন সিদ্ধান্তে তা যেনো ধ্বংস হওয়ার উপক্রম না হয়। জেনে শুনে বাঙালির এতো বড় একটি সাংস্কৃতিক উৎসবকে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না করে বরং তা যে কোন মূল্যে আমাদের রক্ষা করা উচিত।

জানুয়ারিতে বাণিজ্যমেলায়ও হয়ে থাকে। এতে অমর একুশে বইমেলার ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে আমি তা মনে করি না। বইমেলার প্রধান পাঠক শিক্ষার্থী। তারা বইমেলায় আসার জন্য মুখিয়ে থাকে। বাণিজ্য মেলায় যাওয়ার লোকজন বেশির ভাগই আলাদা। তবে অনেকেই বইমেলা এবং বাণিজ্যমেলা দুটোতেই যান। এটা তারা ম্যানেজ করে নিতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস।

আমি বলেছি শুধুমাত্র মেলার মাঠ প্রাঙ্গনে সভা-সমাবেশ না করার মাধ্যমে যদি সর্বদলীয় একটা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় তাহলে জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি মিলিয়ে  বইমেলা করা সম্ভব।আমার মনে হয়, বইমেলা চলাকালীন এই মাঠ কোন দলকে সভা-সমাবেশের জন্য সরকার বরাদ্দ না দিলে, অথবা বইমেলা চলাকালীন দলগুলো নিজের থেকেই এই মাঠের বরাদ্দ না চাইলে সমস্যা আর থাকে না।

লেখক: প্রকাশক পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ