রাজধানীর কড়াইল বস্তিতে ভাড়াটের মারধরে একজন বাড়ির মালিক নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে আজ সোমবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে বলে নিহত ব্যক্তির স্বজনেরা জানিয়েছেন।

নিহত বাড়ির মালিক মনি বেগমের (৩৫) স্বামী আনিস মিয়া বলেন, ভাড়াটে সুলতান কিছুদিন আগে তাঁর স্ত্রী মনি বেগমের কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকা ধার নেন। কিন্তু টাকা ফেরত দিচ্ছেন না। আজ টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে সুলতানের পরিবারের সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সুলতান, তাঁর স্ত্রী ও ছেলে–মেয়ে মনিকে মারধর করেন।

গুরুতর আহত অবস্থায় মনিকে উদ্ধার করে মহাখালীর জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাসেল সরোয়ার প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি। তবে ভাড়াটে সুলতান, তাঁর স্ত্রী ও ছেলে–মেয়েকে আটক করা হয়েছে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো.

ফারুক বলেন, মৃতদেহটি হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, নিহত মনি বেগমের গ্রামের বাড়ি শেরপুর সদর উপজেলায়। তিনি কড়াইল বস্তির বেলতলা আদর্শ নগরে পরিবারের সঙ্গে থাকতেন।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সাকিবকে এখনও দেশের সবচেয়ে বড় তারকা মানেন তামিম

সাকিব আল হাসানের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন নিয়ে মুখ খুলেছেন তামিম ইকবাল। সমকালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, তারকা খ্যাতি বা ব্যক্তিগত সাফল্য নয়, এই দুই তারকার দূরত্বের পেছনে অন্য কারণ কাজ করেছে। তবে সেই দূরত্ব ঘোচানোর জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) কোনও উদ্যোগ নেয়নি বলেও আক্ষেপ করেছেন তিনি।

তামিম বলেন, ‘অনেকে বলে, কে কার চেয়ে সেরা। কার এনডোর্সমেন্ট বেশি। এগুলো কিছুই আমাদের সম্পর্ককে প্রভাবিত করেনি। আমি সব সময় বলেছি, বাংলাদেশের স্পোর্টসে সবচেয়ে বড় তারকা সাকিব। আমি নিজেই যখন এটা বলি, তখন তারকা খ্যাতি সম্পর্কের অবনতির কারণ হতে পারে না।’

তিনি জানান, বিসিবির পক্ষ থেকে চেষ্টা করা হলে সাকিব ও তার মধ্যকার দূরত্ব কমত। ‘তারা আলাদাভাবে কথা বলেছেন, কিন্তু দু’জনকে একসঙ্গে বসিয়ে কথা বলার চেষ্টা করেননি’, বলেন তামিম।

তামিম আরও বলেন, অধিনায়ক থাকার সময় সম্পর্কটা স্বাভাবিক করতে তিনি নিজেই চেষ্টা করেছেন। যদিও সে চেষ্টা তখন সফল হয়নি, ভবিষ্যতে সম্পর্ক উন্নয়নের সম্ভাবনা এখনও তিনি দেখেন।

এমনকি নিজের অসুস্থতার সময় সাকিবের সহানুভূতিশীল আচরণের কথাও কৃতজ্ঞচিত্তে স্বীকার করেন তামিম। বলেন, ‘আমার অসুস্থতার সময়ে সাকিব তার ফেসবুকে দোয়ার অনুরোধ করেছিল। তার বাবা-মা হাসপাতালে আমাকে দেখতে গিয়েছেন। আমরা দু’জনই পরিণত। সামনাসামনি হলে এবং নিজেদের মধ্যে কথা হলে সম্পর্ক উন্নত হতে পারে।’

তামিমের এই মন্তব্যেই বোঝা যায়, ব্যক্তিগত বিরোধ থাকলেও তামিম এখনও চান সাকিবের সঙ্গে তার সম্পর্কটা সুস্থতায় ফিরুক।

সম্পর্কিত নিবন্ধ