বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নিবন্ধনের সংশোধিত গেজেট প্রকাশ
Published: 26th, March 2025 GMT
বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নিবন্ধনে সংশোধিত নীতিমালার প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে এ প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়েছে। সংশোধিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আগের নীতিমালায় উল্লিখিত ‘উপজেলা-থানা শিক্ষা অফিসার’ শব্দগুলো এবং চিহ্নের পরিবর্তে ‘উপজেলা-থানা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার’ শব্দগুলো এবং চিহ্ন প্রতিস্থাপিত হবে।
আগের নীতিমালায় থাকা ‘সহকারী উপজেলা-থানা শিক্ষা অফিসার’ শব্দগুলো এবং চিহ্নের পরিবর্তে ‘সহকারী উপজেলা-থানা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার’ শব্দগুলো ও চিহ্ন প্রতিস্থাপিত হবে। ফরম-ঘ–এর শেষাংশে উল্লিখিত ‘উপজেলা-থানা শিক্ষা অফিসারের স্বাক্ষর’ শব্দগুলো এবং চিহ্নের পরিবর্তে ‘উপজেলা-থানা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের স্বাক্ষর’ শব্দগুলো ও চিহ্ন প্রতিস্থাপিত হবে।
আরও পড়ুনচীনের সেরা ১০ স্কলারশিপ: টিউশন ফি মওকুফ-আবাসন-চিকিৎসার সঙ্গে মিলবে মাসিক ভাতাও৬ ঘণ্টা আগেএ ছাড়া বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনার ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে প্রতিটি স্কুলে একটি ব্যবস্থাপনা কমিটি থাকবে। এই কমিটিতে পদাধিকারবলে সংশ্লিষ্ট বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, যিনি এই কমিটির সদস্যসচিবও হবেন। সংশ্লিষ্ট বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক প্রতিনিধি, সংশ্লিষ্ট বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকেরা তাঁদের মধ্য থেকে নির্বাচিত দুজন প্রতিনিধি, উদ্যোক্তা বা প্রতিষ্ঠাতার কাছ থেকে তাঁদের মধ্য থেকে নির্বাচিত বা মনোনীত দুজন প্রতিনিধি কমিটিতে থাকবেন। তবে উদ্যোক্তা বা প্রতিষ্ঠাতার প্রতিনিধি পাওয়া না গেলে সংশ্লিষ্ট উপজেলা-থানা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের মনোনীত ওই এলাকার দুজন প্রতিনিধি থাকবে এই কমিটিতে।
বিদ্যালয় অনুমোদন ও স্থাপনের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, আগের নীতিমালার উপ-বিধি (২) বিলুপ্ত হবে এবং এর পরিবর্তে বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটি সংশ্লিষ্ট উপজেলা-থানা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার থেকে অনুমোদিত হতে হবে।
আরও পড়ুনইউনিভার্সিটি অব লুক্সেমবার্গের বৃত্তি, স্নাতক–স্নাতকোত্তরে প্রয়োজন নেই আইইএলটিএস২৫ মার্চ ২০২৫এ ছাড়া বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিজস্ব মালিকানায় বা ভাড়ায় মেট্রোপলিটন এলাকায় অন্যূন ৩ একর (তিন শ শতাংশ), পৌরসভা এলাকায় অন্যূন ৫ একর (পাঁচ শ শতাংশ) এবং অন্য এলাকার জন্য অন্যূন ০.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব সরক র অফ স র প ত হব অন য ন উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
আরপিওর বিধানের বৈধতার রায় রিভিউর জন্য হলফনামার অনুমতি
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার ১ শতাংশ ভোটারের সমর্থনসংবলিত স্বাক্ষরযুক্ত তালিকা মনোনয়নের সঙ্গে যুক্ত করাসংক্রান্ত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের বিধানের বৈধতা দিয়ে ১৪ বছর আগে রায় দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ। এই রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে আবেদনের জন্য হলফনামার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছেন দুজন আইনজীবীসহ সাত ব্যক্তি। শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব আজ সোমবার হলফনামা করার অনুমতি দিয়েছেন।
আবেদনকারী সাত ব্যক্তি হলেন ব্যারিস্টার এম সারোয়ার হোসেন, মেজর (অব.) এস এম হারুনুর রশীদ, কাজী জাহেদুল ইসলাম, আইনজীবী এস এম আজমল হোসেন, মেজর (অব.) নিয়াজ আহমেদ জাবের, মেজর (অব.) মো. জিয়াউল আহসান ও সালাহ উদ্দিন।
আদালতে আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ওমর ফারুক। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, এ মামলায় আবেদনকারীরা পক্ষ ছিলেন না। যে কারণে তৃতীয় পক্ষ হিসেবে আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন দায়েরের জন্য হলফনামা করার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন তাঁরা। চেম্বার আদালত হলফনামা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন। আনুষঙ্গিক প্রক্রিয়া শেষে শিগগিরই রিভিউ আবেদন করা হবে।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) ১২(৩ক)(ক) বিধান অনুযায়ী নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার ১ শতাংশ ভোটারের সমর্থনসংবলিত স্বাক্ষরযুক্ত তালিকা মনোনয়নপত্রের সঙ্গে যুক্ত করে দিতে হবে। তবে শর্ত থাকে যে কোনো স্বতন্ত্র প্রার্থী ইতিপূর্বে জাতীয় সংসদের কোনো নির্বাচনে সদস্য নির্বাচিত হয়ে থাকলে ওই তালিকা প্রদানের প্রয়োজন হবে না।
আইনজীবীর তথ্য অনুসারে, ঢাকার একটি আসন থেকে ২০০৭ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাহবুব আহমেদ চৌধুরী নামে এক ব্যক্তি মনোনয়নপত্র নেন। পরে নির্বাচনের ওই তারিখ পিছিয়ে যায়। অন্যদিকে ২০০৮ সালে আরপিও দফা ১২(৩ক)–তে সংশোধনী আনা হয়। এই বিধান সংবিধানের কয়েকটি অনুচ্ছেদ ও আরপিওর ১২(১) ধারার পরিপন্থী উল্লেখ করে মাহবুব আহমেদ চৌধুরী ২০১০ সালে হাইকোর্ট রিট করেন। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল দেন। চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১০ সালের ১৬ আগস্ট হাইকোর্ট রুল ডিসচার্জ (খারিজ) করে রায় দেন। দফা (৩ক) সংবিধান পরিপন্থী নয় বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়।
হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে ২০১০ সালে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করেন রিট আবেদনকারী। শুনানি শেষে আপিল বিভাগ ২০১১ সালের ২৩ জানুয়ারি লিভ টু আপিল খারিজ করে রায় দেন। স্বতন্ত্র প্রার্থীর ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার ১ শতাংশ ভোটারের সমর্থনসংবলিত স্বাক্ষরযুক্ত তালিকা মনোনয়নের সঙ্গে যুক্ত করাসংক্রান্ত আরপিওর ১২(৩ক)–তে বেআইনি কিছু পাননি বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়।
ওই রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে দুই আইনজীবীসহ সাত ব্যক্তি আবেদন করতে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তাঁদের আইনজীবী ওমর ফারুক। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিতে ভোটারের গোপনীয়তা রক্ষা করতে হবে। ভোটার কোন প্রার্থীকে ভোট দেবেন বা দেবেন না, এটি একান্তই তাঁর চিন্তা ও মতপ্রকাশের অধিকার। সিক্রেট ব্যালটে হামলা হলে ভোট বাতিলও হয়। সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদে প্রার্থীর যোগ্যতা নির্ধারণ করা আছে। রাজনৈতিক দল হলে ১ শতাংশ ভোটারের সমর্থন লাগবে না, অথচ স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে গেলে লাগবে অর্থাৎ একই মনোনয়নপত্র ঘিরে দ্বৈত বিধান। ১ শতাংশ ভোটারের সমর্থন থাকার ওই বিধানের মাধ্যমে স্বতন্ত্র প্রার্থীকে নির্বাচন থেকে বিরত রাখার সুযোগ তৈরি হয়েছে, যা সংবিধান সমর্থন করে না এবং ভোটারের গোপনীয়তারও লঙ্ঘন—এসব যুক্তি তুলে ধরে আবেদনটি করা হয়।