সুদানের সেনাবাহিনী খার্তুম বিমানবন্দর ঘিরে রেখেছে। তারা রাজধানীর শেষ অবস্থান থেকে তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসকে হটিয়ে দেওয়ার জন্য লড়াই করছে। বুধবার দুটি সামরিক সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
 
শুক্রবার যুদ্ধের পর সেনাবাহিনী খার্তুমের কেন্দ্রস্থলে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ দখল করে। দুই বছরের সংঘাতের পর এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতীকী অগ্রগতি, যা বিশাল দেশটিকে প্রতিদ্বন্দ্বী নিয়ন্ত্রণ অঞ্চলে বিভক্ত করে দিচ্ছে।

বুধবার সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা রাজধানীর দক্ষিণে তিবা আল-হাসানাব ক্যাম্পের নিয়ন্ত্রণ অর্জন করেছে। এটিকে তারা মধ্য সুদানে আরএসএফের শেষ ঘাঁটি এবং খার্তুম রাজ্যে শেষ শক্ত ঘাঁটি হিসেবে বর্ণনা করেছে।

সামরিক সূত্র জানিয়েছে, সেনাবাহিনী শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত বিমানবন্দর এবং আশেপাশের এলাকা ঘিরে রেখেছে। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, আরএসএফ দক্ষিণ খার্তুমে তাদের সেনাদের জড়ো করেছিল।

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

সুদানের এল-ফাশারে আধাসামরিক বাহিনীর হামলায় নিহত ৪১ বেসামরিক

সুদানের উত্তর দারফুর রাজ্যের রাজধানী এল ফাশারে আধাসামরিক বাহিনী র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ)-এর কামানের গোলাবর্ষণে কমপক্ষে ৪১ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং অনেক মানুষ আহত হয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার সুদানের সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। খবর তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদোলুর।

সামরিক বাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সোমবার রাতে শহরের আবাসিক এলাকা লক্ষ্য করে চালানো এই হামলায় হতাহতদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে।

সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তাদের বাহিনী শহরে আরএসএফের আক্রমণ প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছে, ৬০০ আরএসএফ যোদ্ধাকে করেছে এবং ২৫টি সামরিক যানবাহন ধ্বংস করেছে।

সেনাবাহিনীর এই বিবৃতির বিষয়ে বিদ্রোহী আধা সামরিক সামরিক বাহিনী আরএসএফর পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।

সোমবার থেকে এল-ফাশেরে সেনাবাহিনী এবং আরএসএফের মধ্যে তীব্র লড়াই চলছে, যার ফলে শহরের মানবিক সংস্থাগুলো বেসামরিক নাগরিকদের খাবার বিতরণ বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে।

এই মাসের শুরুতে, সেনাবাহিনীর সাথে সংঘর্ষের পর আরএসএফ শহরের জমজম শরণার্থী শিবিরের নিয়ন্ত্রণ দখল করার দাবি করে। জাতিসংঘের পরিসংখ্যান অনুসারে, এই লড়াইয়ের ফলে কমপক্ষে ৪০০ বেসামরিক মানুষ নিহত এবং প্রায় ৪ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়।

২০১৪ সালের ১০ মে থেকে, সুদানের সেনাবাহিনী (এসএএফ) এবং আধাসামরিক বাহিনী আরএসএফের মধ্যে এল ফাশারে ভয়াবহ লড়াই চলছে। আরএসএফের দারফুরের প্রায় পুরো বিশাল পশ্চিমাঞ্চল দখল করে নিয়েছে। তারা দারফুরের রাজ্যের রাজধানী এল-ফাশার অবরোধ করে রেখেছে। কিন্তু শহরটি দখল করতে পারেনি। সেখানে সেনাবাহিনী-সমর্থিত মিলিশিয়ারা বারবার তাদের পিছনে ঠেলে দিয়েছে।

ক্ষমতার দখল ঘিরে সুদানের সেনাবাহিনী এবং আধাসামরিক বাহিনী মধ্যে ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে লড়াই চলছে। জাতিসংঘ এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষের মতে, সুদানে সেনাবাহিনী এবং আধাসামরিক বাহিনীর মধ্যে চলমান সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ২০ হাজারেও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন এবং দেড় কোটি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। তবে মার্কিন বিশেষজ্ঞদের গবেষণায় মোট নিহতের সংখ্যা প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার বলে অনুমান করা হয়েছে।

 

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সুদানের এল-ফাশারে আধাসামরিক বাহিনীর হামলায় নিহত ৪১ বেসামরিক