ঈদের আনন্দকে আরও বেশি রঙিন করতে ভার্সেটাইল মিডিয়া নিয়ে আসছে  তারকাবহুল তিন নাটক। যে নাটকগুলোতে থাকছেন এই সময়ের সেরা নাট্যকার, নির্মাতা ও অভিনয়শিল্পীদের অংশগ্রহণ।  এতে অভিনয় করেছেন মুশফিক ফারহান,  অর্চিতা স্পর্শিয়া, নিলয় আলমগীর, হিমি, আরশ খান ও তাসনুভা তিশা। 

তিনটি বৈচিত্র্যময় গল্পের এই নাটকের একটি ‘প্রতিদান’। ফেরারি ফরহাদের চিত্রনাট্যে নাটকটি পরিচালনা করেছেন শাহ মুহাম্মদ রাকিব। প্রবাসী এক তরুণের দেশে ফেরার পর তার অর্থ ও সম্পর্কের ক্রাইসিস নিয়ে এগিয়েছে এর গল্প। যে গল্পে প্রবাসী তরুণের চরিত্রে অভিনয় করেছেন মুশফিক ফারহান। তার বিপরীতে আছেন অর্চিতা স্পর্শিয়া। এতে আরও অভিনয় করেছেন আজিজুল হাকিম, শিল্পী সরকার অপু, হিমে হাফিজ ও নিকোল কুমার মণ্ডলসহ অনেকেই। 

নাটকে এই সময়ের অন্যতম আলোচিত জুটি নিলয় আলমগীর ও জান্নাতুল সুমাইয়া হিমি। এই জুটিকে নিয়ে ভার্সেটাইল মিডিয়ার নিয়ে আসছে নাটক ‘সামার ভ্যাকেশন’। নাটকটি মূলত কিছুটা কমিডি ঘরানার। কিন্তু তাতে নেই কোনো ভাড়ামি।  শহরে বড়লোক বাবার উড়ণচণ্ডি  এক জীবনকে উপভোগ করতে গ্রামে যান। এর ঘটে নানা ঘটনা। মূলত নাটকটির গল্পে অজপাড়া গায়ে সুন্দর একটি গল্প চিত্রায়িত হয়েছে এতে। নির্মাতা মাহমুদ হাসান রানার পরিচালনায় এতে নিলয়-হিমি ছাড়াও বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন সাবরিনা রনি,জুলফিকার চঞ্চল, ইমরান আজান, আশরাফুল ইসলাম বাবু, মোহিত তমালসহ অনেকেই।

তরুণ অভিনেতা আরশ খানের সঙ্গে তাসনুভা তিশাকে জুটি করে নির্মাতা সকাল আহমেদ নির্মাণ করেছেন নাটক ‘পাপজন্ম’। নির্মাতার ভাষ্যে, একটি চমকপ্রদ গল্প, দুর্দান্ত অভিনয় আর অসাধারণ নির্মাণশৈলী দেখা যাবে নাটকটিতে। এতে বিভিন্ন চরিত্রে আরশ-তাসনুভা তিশা ছাড়াও আরও অভিনয় করেছেন মাহমুদুল ইসলাম মিঠু,রকি খান, শম্মা নিজাম, শাখাওয়াত শোভন,মনোজ রয়সহ অনেকেই। 

চাঁদরাত থেকে নাটকগুলো ভার্সেটাইল মিডিয়ার ইউটিউব চ্যানেলে প্রচার করা হবে। 
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন টকট

এছাড়াও পড়ুন:

আমাদের কাছে এসে সমস্যার কথা বলছে মানুষ: মির্জা ফখরুল

জনগণ বিএনপির কাছে এসে সমস্যার কথা বলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে এসে ভিড় করছে লোকজন, যে আমাদের সমস্যা হচ্ছে। আগে তো এমপি ছিল, মেয়র ছিল, তাঁরা কথা বলতে পারত, এখন কিন্তু তারা কথা বলতে পারছে না। এই যে বিষয়টা, এটা সবাইকে অনুধাবন করতে হবে।’

সবাইকে কথা বলার সুযোগ দিতে হবে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘একজন সাধারণ চেতনার মানুষের ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার রয়েছে। কিন্তু সেটা হয় না। কারণ, আমাদের বাংলাদেশে এখন একটা প্রবণতা দেখা দিয়েছে যে লিবারেল ডেমোক্রেসিকে এখন কিছুটা নিচে নেমে যেতে হচ্ছে। একটু পরাজিত হতে হচ্ছে পপুলিস্টদের কাছে রিসেন্ট টাইমে। এটা বাস্তবতা। এটা কেন হচ্ছে, গবেষকেরা বলতে পারবেন।’

আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় এ কথাগুলো বলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। জাতীয় প্রেসক্লাবের উদ্যোগে জুলাই–আগস্ট গণ–অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আমরা প্রকৃতপক্ষে মুক্তি পেয়েছি ১৯৪৭ সালের ব্রিটিশ কলোনি থেকে। তারপরে পাকিস্তানি গোলামি শুরু হয়, তারপর বাংলাদেশি প্রভুদের গোলামি শুরু হয়েছে। এই গোলামিতেই আছি আমরা। আমরা একটা মুক্ত সমাজ চাই, আমরা একটা মুক্ত রাষ্ট্র নির্মাণ করতে চাই, আমরা মানুষের মধ্যে মানুষের ভালোবাসা তৈরি করতে চাই।’

জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে আশুলিয়ায় পাঁচজন হত্যার ঘটনার স্মরণে গতকাল বুধবার বিএনপি একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহাসচিব। গণ–অভ্যুত্থানে স্বামী হারানো এক নারীর কথা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, সেই অনুষ্ঠানে এক মা তাঁর ১৪ মাসের শিশুকে কোলে নিয়ে এসে বলেন, ‘আমার স্বামীকে এখানে হত্যা করে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। আমি জানি না, এই শিশুকে নিয়ে এখন কী করে বাঁচব।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই বোনের কথা যখন আমি শুনি, তখন আমার মনে প্রশ্ন জাগে যে, আসলে রাষ্ট্রটা কী? রাষ্ট্র কার জন্য? যাঁরা এখন দায়িত্বে আছেন রাষ্ট্র পরিচালনার, তাঁরা এই এক বছরেও কি তাঁদের খুঁজে পেলেন না?’

২০২৪ সালের আগস্টে গণ–অভ্যুত্থানের পর পল্টনে বিএনপির সভা থেকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানিয়েছিলেন। সেই প্রসঙ্গ টেনে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘তখন আমার খুব সমালোচনা হয়েছিল। আপনারা বলেছিলেন যে বিএনপি ও মির্জা ফখরুল ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য এত অস্থির হয়ে গিয়েছে কেন? এখন আপনারাই বলছেন যে ব্যাপারটা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নয়, যার শক্তি, যার ক্ষমতা, যার মালিকানা, তার হাতেই ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে হবে।’

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় এরই মধ্যে ১২টি বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে বলেন মির্জা ফখরুল। বাকি বিষয়েও ঐকমত্যে যাওয়ার চেষ্টা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কাদা–ছোড়াছুড়ি হলেও সেটার একটা সীমা থাকা দরকার বলে মনে করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোয় পারস্পরিক একটা বোঝাপড়া থাকতে হবে। সেটা না হলে এই কাদা–ছোড়াছুড়ি ভবিষ্যতে রাজনীতিকে আরও কলুষিত করে।

আলোচনা সভায় ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের সময়ে নির্যাতিত পাঁচ সম্পাদককে বিশেষ অবদানের জন্য সম্মাননা দেওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন দৈনিক যায়যায়দিনের সম্পাদক শফিক রেহমান, আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, মানবজমিন পত্রিকার সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, নিউ এজ সম্পাদক নুরুল কবির ও দৈনিক সংগ্রামের সম্পাদক আবুল আসাদ।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি হাসান হাফিজ। প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন দৈনিক মানবজমিনের সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, উত্তরায় শহীদ জাবির ইব্রাহিমের বাবা কবির হোসেন ও জুলাই শহীদ আবদুল্লাহ বিন জাহিদের মা ফাতেমাতুজ জোহরা।

অনুষ্ঠানের শুরুতে ‘জুলাই বাংলাদেশ’ নামে একটি কবিতা আবৃত্তি করেন দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক আবদুল হাই শিকদার।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আমাদের কাছে এসে সমস্যার কথা বলছে মানুষ: মির্জা ফখরুল