ঈদুল ফিতরের দিন দেশে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। তবে চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় খুব সামান্য বৃষ্টি হতে পারে, যা উল্লেখ করার মতো না।
শনিবার (২৯ মার্চ) দুপুরে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক গণমাধ্যমকে এ তথ্য দিয়েছেন।
এ বছর বাংলাদেশে রোজা শুরু হয়েছে ২ মার্চ। সে হিসাবে রবিবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেলে রোজা হবে ২৯টি, আর ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে সোমবার। সোমবার চাঁদ দেখা গেলে ৩০ রোজাই পূর্ণ হবে। সেক্ষেত্রে মঙ্গলবার ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।
আরো পড়ুন:
বৃষ্টিতে সতেজ হয়ে উঠলো আমের গুটি
১৩ জেলায় মৃদু তাপপ্রবাহ, ঢাকায় গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি
ঈদের দিনে বৃষ্টি হবে কিনা-জানতে চাইলে আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক গণমাধ্যমকে বলেন, “বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় খুব সামান্য বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।”
“সেটা খুবই সামান্য। আর দেশের অন্যান্য বিভাগে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা খুবই কম। তবে মনে রাখবেন, অনেক সময় স্থানীয়ভাবে বজ্রমেঘ তৈরি হয়। তবে এ নিয়ে আগে কিছু বলা যায় না। বজ্রমেঘ তৈরি হয়ে স্থানীয়ভাবে বৃষ্টিপাত তৈরি হতে পারে,” বলেন এই আবহাওয়াবিদ।
তিনি বলেন, “এজন্য আবহাওয়া অধিদপ্তরের দৈনিক পূর্বাভাস দেখতে হবে। চাঁদ না দেখা বলা যাচ্ছে না, ঈদ সোম, নাকি মঙ্গলবার হবে। সে কারণে সবাইকে দৈনিক পূর্বাভাসের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। তবে এখন পর্যন্ত যে অবস্থা, তাতে বৃষ্টিপাতের খুব একটা সম্ভাবনা নেই।”
তিনি বলেন, “ঈদের দিন আশি শতাংশই বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই, ১০ থেকে ১৫ শতাংশ সম্ভাবনা আছে।”
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের সোমবারের (৩১ মার্চ) আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এদিন অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
এরপর বর্ধিত পাঁচ দিনের আবহাওয়ার অবস্থায় সামান্য পরিবর্তন হতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
ঢাকা/এসবি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
শনি গ্রহের একাধিক চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইডের সন্ধান
জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের মাধ্যমে শনি গ্রহের আটটি মাঝারি আকারের চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইড শনাক্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার বিজ্ঞানীরা। বর্তমানে মিমাস, এনসেলাডাস, ডায়োন, টেথিস, রিয়া, হাইপেরিয়ন, লাপেটাস ও ফিবি নামের চাঁদগুলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের পরিবর্তনের তথ্য টেলিস্কোপের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হচ্ছে। তথ্য বিশ্লেষণ করার পাশাপাশি চাঁদগুলোর ওপরে নিয়মিত নজরও রাখছেন বিজ্ঞানীরা।
বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, ডায়োন ও রিয়া চাঁদে থাকা কার্বন ডাই–অক্সাইড শনির প্রধান বলয়ের বরফের অনুরূপ। ফিবি চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইড জৈব পদার্থের বিকিরণের মাধ্যমে উৎপন্ন হয়ে থাকে। লাপেটাস ও হাইপেরিয়নের অন্ধকার অঞ্চলে কার্বন ডাই–অক্সাইড দেখা যায়। বরফযুক্ত এসব চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইডের অবস্থা সম্পর্কে আরও জানতে আগ্রহী বিজ্ঞানীরা।
ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির বিজ্ঞানী মাইকেল ব্রাউন ও তাঁর সহকর্মীরা এক গবেষণাপত্রে লিখেছেন, কঠিন কার্বন ডাই–অক্সাইড সৌরজগতের প্রান্তসীমার বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায়। যদিও সেই অবস্থানে কার্বন ডাই–অক্সাইড স্থিতিশীল নয়। আমরা শনির উপগ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইডের অবস্থান জানার মাধ্যমে ভিন্ন পরিবেশ বোঝার চেষ্টা করছি। বিভিন্ন গ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইড কীভাবে আটকে আছে, তা জানার সুযোগ আছে এখানে।
বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, শনির চাঁদে আটকে থাকা কার্বন ডাই–অক্সাইড থেকে আদর্শ ল্যাবের মতো তথ্য পাওয়া যাবে। ধারণা করা হচ্ছে, শনি গ্রহের বিভিন্ন চাঁদে কমপক্ষে দুটি পৃথক উৎস থেকে কার্বন ডাই–অক্সাইড তৈরি হয়েছে।
সূত্র: এনডিটিভি