Prothomalo:
2025-11-03@10:38:49 GMT

আজ রাতে শিল্পকলায় গান

Published: 30th, March 2025 GMT

আসন্ন ঈদ উদ্‌যাপন উপলক্ষে গান শোনানোর ব্যবস্থা করেছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। রোববার সন্ধ্যা সাতটায় নন্দন মঞ্চে গাইবেন ইমন চৌধুরী, ন্যান্‌সি, কাওয়াল আহমেদ নূর আমেরি। আহমেদ নূর আমেরি কাওয়ালি ও মাইজভান্ডারির জন্য পরিচিত।

আয়োজনটি নিয়ে এক ফেসবুক পোস্টে সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী লিখেছেন, ‘প্রথমবারের মতো শিল্পকলা একাডেমিতে ঈদের অনুষ্ঠান। বাংলাদেশ বহু ভাষার, বহু মতের, বহু ধর্মের দেশ। বহুজনের এই সমাজে আমরা যে জীবন যাপন করি, তার সবকিছুই আমাদের সংস্কৃতির অংশ। বাংলাদেশ এর সবকিছুই উদ্‌যাপন করবে। কোনো বিভাজনের রাজনীতি আর এখানে স্বাগত নয়।’

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সচিব মোহাম্মদ ওয়ারেছ হোসেন গত শুক্রবার প্রথম আলোকে বলেন, মানুষের মধ্যে চাঁদরাতের আনন্দ ছড়িয়ে দিতে এ আয়োজন করছেন তাঁরা। তিনি বলেন, ‘চাঁদরাতটা আমাদের মধ্যে আনন্দের বার্তা দিয়ে আসে। সেই আনন্দের মাত্রাটা সবার মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চাই। সেই ভাবনা থেকেই এই আয়োজন।’

শিল্পকলা একাডেমি জানিয়েছে, পরিবেশনার শুরুতেই কাওয়ালি ও মাইজভান্ডারি পরিবেশন করবেন আহমেদ নূর আমেরি ও সহশিল্পীরা।

এরপর কণ্ঠশিল্পী ন্যান্‌সি একক পরিবেশনা উপস্থাপন করবেন। সর্বশেষ গান শোনাবে ‘দেখা না দিলে বন্ধু কথা কইয়ো না’ গানের ব্যান্ড বেঙ্গল সিম্ফনি। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।

বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো.

মফিদুর রহমান, স্বাগত বক্তব্য দেবেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সচিব মোহাম্মদ ওয়ারেছ হোসেন।

অনুষ্ঠানটি সবার জন্য উন্মুক্ত। গানের পাশাপাশি মেহেদী কর্নারও থাকছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: শ ল পকল এক ড ম

এছাড়াও পড়ুন:

বগুড়ায় ফুটপাত দখল করে দোকানের পসরা, কোটি টাকার চাঁদাবাজির অভিযোগ

বগুড়া শহরের সার্কিট হাউস-কালীবাড়ি মোড় সড়কে সারি সারি ভ্যানে হরেক খাবারের পসরা। পিৎজা, বার্গার, স্যান্ডউইচ, চিকেন শর্মা, মিটবক্স—সবই মিলছে রাস্তার পাশের এসব দোকানে। ক্রেতারা মূলত কিশোর ও তরুণ-তরুণী।

দোকানগুলোতে নেই কোনো আলাদা শেফ। বিক্রেতারাই নিজের হাতে খাবার তৈরি করছেন, পরিবেশনও করছেন। কারও হাতে গ্লাভস নেই, শরীরে নেই অ্যাপ্রোন। বিকেল গড়াতেই এসব ভ্রাম্যমাণ খাবারের দোকানে ভিড় জমছে। কোর্ট হাউস স্ট্রিটের পাশেই আছে ‘পিজ অ্যান্ড বার্গ’, ‘পদ্মা ফুডস’ ও ‘হিলিয়াম রেস্টুরেন্ট’-এর মতো নামীদামি খাবারের দোকান। একসময় সন্ধ্যায় এসব প্রতিষ্ঠানে ক্রেতার ঢল নামত। এখন সে ভিড় চলে গেছে রাস্তার পাশে বসা দোকানগুলোর দিকে।

পদ্মা ফুডসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও জলেশ্বরীতলা ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এমদাদ আহমেদ বলেন, ‘অভিজাত এ এলাকায় একটি খাবারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করতে হয়। অন্তত ১৪টি প্রতিষ্ঠান থেকে সনদ নিতে হয়। এসব নবায়নে প্রতিবছর মোটা অঙ্কের টাকা গুনতে হয়। ভবন ভাড়া, দামি শেফ ও কর্মচারীর বেতন—সব মিলিয়ে খরচ বিপুল। অথচ রাস্তার পাশে ভ্যানে বসা দোকানে বিনিয়োগ মাত্র ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। কোনো সনদ নেই, দোকানভাড়া নেই, কর্মচারীও নেই। শুধু দামে সস্তা বলে ক্রেতারা ঝুঁকছেন ওদিকে। সড়ক দখল করে দোকান বসায় যানজটও বাড়ছে। অভিযোগ করেও প্রশাসনের কাছ থেকে কোনো প্রতিকার মিলছে না।

বগুড়া হোটেল মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এসএম দেলোয়ার হোসেন বলেন, জলেশ্বরীতলা অভিজাত এলাকা। এখানে দোকান দিতে বিপুল বিনিয়োগ লাগে। নামীদামি দোকানে একটি পিৎজার দাম ৫০০ টাকা হলে ভ্রাম্যমাণ দোকানে বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়। স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকলেও ক্রেতারা সস্তা পেয়ে সেখান থেকেই কিনছেন। এতে অভিজাত রেস্টুরেন্টগুলো লোকসানে পড়ছে। এর সঙ্গে তিনি যুক্ত করেন, ‘আমরা স্ট্রিট ফুড ব্যবসার বিরোধী নই। তবে সেটা অভিজাত এলাকা থেকে সরিয়ে পৌর পার্ক, অ্যাডওয়ার্ড পার্কসংলগ্ন সড়ক কিংবা সরকারি আজিজুল হক কলেজের পাশের এলাকায় নিতে প্রশাসনকে অনুরোধ করেছি।’

সড়কজুড়ে দোকান, ভোগান্তিতে শহরবাসী

সম্প্রতি দেখা যায়, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে সড়কের এক পাশে ২০-২৫টি ভ্রাম্যমাণ খাবারের দোকান বসেছে। অন্য পাশে ফলের দোকান। বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত আদালত প্রাঙ্গণের সামনে যানজট লেগেই থাকে।

এ ছাড়া পৌরসভা লেন, জেলা খানা মোড়, বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল বাকী সড়ক, মহিলা ক্লাব মোড়, শহীদ আবদুল জব্বার সড়ক, সাতমাথা-সার্কিট হাউস সড়কসহ শহরের নানা সড়কেই বসছে ফুচকা, চটপটি, জুস, ফাস্ট ফুড ও ফলের দোকান।

সাতমাথায় প্রতিদিন বসছে অর্ধশতাধিক দোকান। জিলা স্কুলের সামনে চটপটি ও কাবাবের দোকানগুলোর চেয়ার বসানো হয়েছে ফুটপাত দখল করে। কবি নজরুল ইসলাম সড়ক, থানা মোড়, বড়গোলা, দত্তবাড়ি, কালিতলা—সবখানেই দুই পাশে দোকান।

রাস্তা দখল করে দোকান বসানোয় বেশির ভাগ সময় যানজটে থাকে শহরে। সম্প্রতি তোলা

সম্পর্কিত নিবন্ধ