বুমরাকে চোখ রাঙানো কনস্টাস এবার অস্ট্রেলিয়ার কেন্দ্রীয় চুক্তিতে
Published: 1st, April 2025 GMT
কয়েক মাস আগে হয়ে যাওয়া বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে বড় চমক ছিলেন তিনি। সিরিজের মাঝপথে কঠিন পরিস্থিতিতে নেমে যশপ্রীত বুমরার মতো বোলারকে খেলেছেন দারুণ সাহসের সঙ্গে।
শুধু ব্যাট হাতেই নয়, শরীরী ভাষায় বুমরাকে চমকে দিয়েছিলেন তরুণ অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার স্যাম কনস্টাস। বলা যায়, অভিষেকে তাঁর ৬০ রানের সাহসী ইনিংস ম্যাচের গতিপথই পাল্টে দিয়েছিল এবং শেষ পর্যন্ত ওই সিরিজ জিতে ৩-১ ব্যবধানে জিতে নিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। সেই সাহসের পুরস্কার পেতে দেরি হলো না কনস্টাসের। জায়গা পেলেন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) কেন্দ্রীয় চুক্তিতে।
২০২৫-২৬ মৌসুমের জন্য কেন্দ্রীয় চুক্তিতে যে ২৩ জনকে রেখেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া, সেখানে কনস্টাস ছাড়াও জায়গা করে নিয়েছেন আরও দুই নতুন মুখ—বাঁহাতি স্পিনার ম্যাথু কুনেমান ও অলরাউন্ডার বো ওয়েবস্টার।
জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজে মাত্র দুই টেস্টেই ১৬ উইকেট নেন কুনেমান, হন সিরিজসেরাও। মাত্র ৫ টেস্টের ক্যারিয়ারে তাঁর উইকেট ৩৫টি। অস্ট্রেলিয়ার তাঁকে নিয়ে অনেক আশা।
কনস্টাসের মতোই বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে অভিষেক অলরাউন্ডার বো ওয়েবস্টারের। প্রথম ম্যাচেই ফিফটি করার পাশাপাশি বল হাতে ছিলেন বেশ কার্যকর। তাঁকে নিয়েও যে অস্ট্রেলিয়া দীর্ঘমেয়াদে ভাবছে, সেটা বোঝা যাচ্ছে এরই মধ্যে ওয়েবস্টারকে চুক্তিতে নিয়ে আসা দেখেই।
এ ছাড়া চোট কাটিয়ে ফেরা মিচেল মার্শ ও ক্যামেরন গ্রিন কেন্দ্রীয় চুক্তিতে নিজেদের জায়গা ধরে রেখেছেন, তিন সংস্করণের সবকটিতে না খেললেও যথারীতি আছেন অভিজ্ঞ স্টিভেন স্মিথ, উসমান খাজা ও নাথান লায়ন।
অস্ট্রেলিয়া জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক জর্জ বেইলি কেন্দ্রীয় চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত নতুন তিন ক্রিকেটারের প্রশংসা করেছেন, ‘ম্যাথু (কুনেমান) শ্রীলঙ্কায় অসাধারণ খেলেছে এবং আগামী ১৮ মাসে সে দলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে। বো (ওয়েবস্টার) ব্যাট ও বল দুই দিকেই কার্যকর, যা দলের ভারসাম্য বাড়াবে। আর স্যাম (কনস্টাস) একজন সম্ভাবনাময় তারকা, আশা করছি সে ঘরোয়া এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আরও বিকশিত হবে।’
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার কেন্দ্রীয় চুক্তিতে যে ২৩ জনপ্যাট কামিন্স, স্টিভেন স্মিথ, নাথান লায়ন, অ্যালেক্স ক্যারি, স্যাম কনস্টাস, জশ হ্যাজলউড, মিচেল স্টার্ক, নাথান এলিস, জাই রিচার্ডসন, স্কট বোল্যান্ড, ল্যান্স মরিস, ম্যাথু কুনেমান, অ্যাডাম জাম্পা, ট্রাভিস হেড, ম্যাট শর্ট, জশ ইংলিস, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, মারনাস লাবুশেন, উসমান খাজা, মিচেল মার্শ, বো ওয়েবস্টার, ক্যামেরন গ্রিন ও জাভিয়ের বার্টলেট।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: কনস ট স
এছাড়াও পড়ুন:
কার্টুন, মিমে অভ্যুত্থানের ভিন্ন ধারার দৃশ্যায়ন
টাকার বস্তার ভেতর থেকে মাথা উঁচিয়ে আছেন শুভ্র কেশ, সফেদ দাড়ি, চশমা পরিহিত এক লোক। তাঁর ছবি দেখে তো বটেই, এই বর্ণনা থেকেও তাঁকে চিনবেন দেশবাসী। বর্তমানে কারাগারের বাসিন্দা পতিত স্বৈরশাসকের এই উপদেষ্টা বলছেন, ‘টাকার ওপর আমার বিশ্বাস উঠে গেছে।’ এই ছবির পাশেই এক কাটআউট। সেখানে ‘শেখ হাসিনা পালায় না’ বলতে বলতে দৌড়ে পালাচ্ছেন ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতার মসনদ থেকে উৎপাটিত শেখ হাসিনা।
এমন মজার মজার কার্টুন, মিম, গ্রাফিতি, ভিডিও স্থাপনাকর্মসহ বৈচিত্র্যময় সৃজনসম্ভার নিয়ে শুরু হয়েছে ‘বিদ্রূপে বিদ্রোহ’ নামের ব্যতিক্রমী এক প্রদর্শনী। আয়োজন করেছে অনলাইনভিত্তিক স্যাটায়ার সাময়িকী ‘ইয়ারকি’। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের লা গ্যালারিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় দিনের এ প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। সবার জন্য প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা।
গত বছর ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে উত্তাল ছিল জুলাই। একটি বৈষম্যহীন, উদার গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য পথে নেমেছিলেন অগণিত মানুষ। শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকারকে উৎখাত করতে জীবন উৎসর্গ করেছেন তাঁদের অনেকে। আহত হয়েছেন বেশুমার। রক্তরঞ্জিত রাজপথ বেয়ে এসেছে জনতার বিজয়।
প্রদর্শনীতে প্রবেশপথটির দুই পাশে লাল রঙের পটভূমিতে বড় বড় ডিজিটাল পোস্টার। সেখানে ২ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিনের বিভিন্ন ঘটনার আলোকচিত্র, সংবাদপত্র, অনলাইন পোর্টাল, টেলিভিশনের রিপোর্ট, ছবি, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের পোস্ট—এসব তুলে আনা হয়েছে এ পোস্টারগুলোতে। প্রবেশপথটিও লাল রঙের। ‘জুলাই করিডর’ নামে এই রক্তিম পথটি বেয়ে দর্শনার্থীরা প্রদর্শনীতে প্রবেশের সময় অভ্যুত্থানের উত্তাল দিনগুলোর উত্তাপ ফিরে পাবেন।