দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের দৃষ্টিশক্তি ফেরাতে মানুষের মস্তিষ্কে বসানোর উপযোগী যন্ত্র তৈরি করেছে ইলন মাস্কের মালিকানাধীন নিউরালিংক। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনের (এফডিএ) কাছ থেকে পরীক্ষামূলকভাবে মানুষের মস্তিষ্কে ‘ব্লাইন্ডসাইট’ নামের ক্ষুদ্রাকৃতি যন্ত্রটি বসানোর অনুমতিও পেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। সবকিছু ঠিক থাকলে এ বছরের মধ্যেই মানুষের মস্তিষ্কে পরীক্ষামূলকভাবে যন্ত্রটি স্থাপন করা হবে।  

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ইলন মাস্ক জানিয়েছেন, চলতি বছরের শেষ নাগাদ প্রথমবারের মতো নতুন এই প্রযুক্তি মানুষের মস্তিষ্কে স্থাপন করা হবে, যা অন্ধ ব্যক্তিদের দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে আনবে। শুরুর দিকে যন্ত্রটির মাধ্যমে কম রেজ্যুলেশনের দৃশ্য দেখা যাবে। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রযুক্তিটি আরও উন্নত হবে। একসময় এটি মানুষের স্বাভাবিক দৃষ্টিশক্তির চেয়েও উন্নত হয়ে উঠতে পারে। গত কয়েক বছর ধরে বানরের ওপর এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে আশাব্যঞ্জক ফলাফল পাওয়া গেছে।

আরও পড়ুনআরও একজনের মস্তিষ্কে তারহীন চিপ বসাল ইলন মাস্কের নিউরালিংক০৮ আগস্ট ২০২৪

নিউরালিংকের তথ্য মতে, ব্লাইন্ডসাইট মূলত মাইক্রোইলেকট্রোড দিয়ে তৈরি কৃত্রিম যন্ত্র, যা মস্তিষ্কের ভিজ্যুয়াল কর্টেক্সে স্থাপন করা হবে। এটি ক্যামেরার মাধ্যমে ধারণ করা ছবি মস্তিষ্কের নিউরনের মাধ্যমে অন্ধ ব্যক্তিদের দেখতে সহায়তা করবে।

নিউরালিংক জানিয়েছে, ব্লাইন্ডসাইট ব্যবহারের মাধ্যমে যাঁদের দুটি চোখ ও অপটিক নার্ভ সম্পূর্ণ অকেজো তাঁরাও দেখতে পারবেন। এ বিষয়ে খুদে ব্লগ সাইট এক্সে (টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে মাস্ক জানিয়েছেন, জন্মান্ধ ব্যক্তিরাও এই প্রযুক্তির সাহায্যে প্রথমবারের মতো দেখতে পারবেন।

সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইলন ম স ক

এছাড়াও পড়ুন:

জমজমাট নাটকের পর কিংসের শিরোপা উৎসব

সময়ের চেয়েও বেশি দীর্ঘ হলো অপেক্ষা। উত্তেজনার বাঁকে বাঁকে লুকিয়ে ছিল ফুটবলীয় রোমাঞ্চ। শেষ ১৫ মিনিট যেন পরিণত হলো রূপকথার উপসংহারে—যেখানে আবাহনীর স্বপ্ন থেমে যায়, আর বসুন্ধরা কিংস খুঁজে পায় চতুর্থ ফেডারেশন কাপের সোনালি মুহূর্ত।

বৃষ্টির ছন্দে বিভ্রান্ত হওয়া ফাইনাল আবার শুরু হলো এক সপ্তাহ পর। ১-১ সমতায় থাকা ম্যাচের বাকি অংশ গড়ালো ময়মনসিংহ জেলা স্টেডিয়ামে। যেখানে শুরু থেকেই ১০ জনের দল নিয়ে খেলতে নামে কিংস। অতিরিক্ত সময়ে কিছুই হল না। তবে অপেক্ষার পুরস্কার মিলল টাইব্রেকারে।

সেখানে বাজিমাত করলেন কিংসের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ। আবাহনীর দ্বিতীয় শট আটকে দিয়ে দলকে দিলেন এগিয়ে যাওয়ার আত্মবিশ্বাস। আর শেষ শটটি নেন ব্রাজিলিয়ান ড্যাসিয়েল, যা গোললাইন পার হয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই উৎসবে ফেটে পড়ে কিংস শিবির।

আরো পড়ুন:

যে কারণে এবারের লিগ জয়কে এগিয়ে রাখছেন সালাহ

পাঁচ গোলের রোমাঞ্চকর ফাইনালে শেষ হাসি বার্সার

কিছুদিন আগেই আবাহনীর কাছে টাইব্রেকারে হেরেছিল কিংস। এবার সেই হারের উত্তরটা যেন মিলল একই মঞ্চে, একই কৌশলে— তবে ভিন্ন ফলাফলে। মোরসালিন, তপু, ইনসান, জোনাথন আর ড্যাসিয়েল— কেউই ভুল করেননি। আবাহনীর একমাত্র ব্যর্থ শটটি ছিল নাইজেরিয়ান এমেকার, যা ঠেকিয়ে দেন শ্রাবণ। আর মিরাজুলের চতুর্থ শট, যা প্রথমবার ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন শ্রাবণ। কিন্তু রেফারির সিদ্ধান্তে আবার নিতে হয়। তাতেও গোল হলেও ততক্ষণে কিংস হয়ে গেছে অপ্রতিরোধ্য।

এদিন মাত্র ১৫ মিনিট খেলা হলেও মাঠের উত্তাপ ছিল পূর্ণদৈর্ঘ্য নাটকের মতো। শুরুতেই হলুদ কার্ড দেখেন আবাহনীর সুমন রেজা ও অধিনায়ক হৃদয়। আগের ম্যাচেও হলুদ-লাল কার্ডে ভরা ছিল দৃশ্যপট। ফুটবল এখানে শুধু কৌশলের খেলা নয় তা যেন হয়ে ওঠে মানসিক স্থিতির পরীক্ষাও।

এই জয়ে বসুন্ধরা কিংস চতুর্থবারের মতো ফেডারেশন কাপ জয় করল। একই সঙ্গে আবাহনীকে প্রথমবার কোনো ফাইনালে হারানোর কৃতিত্বও অর্জন করল তারা। অতীতে দুই ফাইনালে পরাজিত হয়েছিল কিংস। এবার তারা সেই রেকর্ড মুছে দিল নির্ভার ফুটবলে।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দেশ গড়ার নায়কদের জন্য ফ্লাইট এক্সপার্টের বিশেষ উদ্যোগ
  • প্রথমবারের মতো দেশে সংযোজিত এসইউভি গাড়ি আনল প্রোটন
  • এক সপ্তাহে এভারেস্ট জয় কি সত্যিই সম্ভব
  • সম্পর্কের ৫০ বছর: বাংলাদেশে প্রথমবার চীনা ক্যালিগ্রাফি প্রদর্শনী
  • জমজমাট নাটকের পর কিংসের শিরোপা উৎসব
  • বন্ধু রাশিয়াকে সাহায্য করতে সেনা পাঠায় উত্তর কোরিয়া