সিনেমা শুরুর আগেই ব্যক্তি জীবনেও নাটকীয় ঘটনা ঘটে গেল। ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল মোনালিসার ছবির পরিচালক সনোজ মিশ্রের বিরুদ্ধে। অভিযোগের ভিত্তিতে ৩১ মার্চ তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সেই ঘটনাই এ বার অন্য দিকে মোড় নিল। অভিযোগকারিণী জানিয়েছেন, সনোজের সঙ্গে তিনি নাকি একত্রবাস করতেন। ধর্ষণের অভিযোগও ফিরিয়ে নিয়েছেন। 

আনন্দবাজার জানায় পুলিশি জেরায় অভিযোগকারী জানিয়েছেন, মোনালিসার সঙ্গে সনোজের ঘনিষ্ঠতা সহ্য করতে পারছিলেন না। ঈর্ষান্বিত হয়েই সনোজের বিরুদ্ধে এই মিথ্যে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তিনি।

মহাকুম্ভের মেলা থেকে রাতারাতি জনপ্রিয়তা পেয়েছিল মোনালিসা। সেখানে রঙিন মালা বিক্রি করত সে। মুহূর্তে ‘ভাইরাল গার্ল’ তকমা পেয়েছিল মোনালিসা। তার পরই সনোজ মিশ্রের ছবিতে অভিনয় করার সুযোগ মেলে। পরিচালকের সঙ্গেই ভিন্‌রাজ্যে পাড়ি দেয় মোনালিসা।

ধর্ষণের অভিযোগ ফিরিয়ে নেওয়ার পরে অভিযোগকারিণী জানিয়েছেন, সনোজের প্রতিদ্বন্দ্বীরা তাঁকে ইন্ধন দিয়েছিলেন। তাই ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। অভিযোগকারিণী বলেছেন, ‘সনোজ মিশ্রের সঙ্গে আমি টানা পাঁচ বছর একত্রবাস করেছি। দু’জনের সম্মতিতেই সবটা হয়েছে। আমি কখনওই বলিনি, তিনি আমাকে ধর্ষণ করেছেন। দু’টি মানুষ একসঙ্গে থাকলে, হাতাহাতি ঝগড়া তো হবেই।’

 অভিযোগকারী আরও বলেন, “মণিপুরে ছবির রেকি করতে গিয়েছিলেন সনোজ। তখন তার প্রতিদ্বন্দ্বীরা ওর বিরুদ্ধে আমাকে ইন্ধন দেন। এমনকি মোনালিসার সঙ্গে তার  সম্পর্ক নিয়েও আমাকে প্ররোচনা দেওয়া হয়। ইন্ধন পেয়ে আমি এফআইআর দায়ের করেছিলাম। আসলে সনোজের ভাগ্যটাই খারাপ।”

কয়েক মাস আগে সনোজ জানিয়েছিলেন, তিনি ‘মণিপুর ডায়েরি’ নামে একটি ছবি তৈরি করছেন। সেই ছবিতে মোনালিসাকে সুযোগ দিচ্ছেন। এ ছাড়াও দেশের বিভিন্ন রাজ্যে অনুষ্ঠান করাতে মোনালিসাকে নিয়ে যাচ্ছিলেন সনোজই।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

বিস্ফোরক মামলায় চিন্ময় দাসকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ

চট্টগ্রামে বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপত্র চিন্ময় দাসকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছেন আদালত। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আলাউদ্দিন এ আদেশ দেন।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, কারাগারে থাকা চিন্ময় দাসকে কোতোয়ালি থানার বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে আদালত তা মঞ্জুর করেছেন।

গত বছরের ২৬ নভেম্বর সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপত্র চিন্ময় দাসের জামিনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের মধ্যে আইনজীবী সাইফুলকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ হত্যার ঘটনায় তাঁর বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন। এ ছাড়া পুলিশের ওপর হামলা, কাজে বাধা এবং আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের ওপর হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও পাঁচটি মামলা হয়। ৬টি মামলায় গ্রেপ্তার হন ৫১ জন। তাঁদের মধ্যে হত্যায় জড়িত অভিযোগে ২১ জন গ্রেপ্তার রয়েছেন।

আদালত সূত্র জানায়, সাইফুল হত্যার আসামিদের মধ্যে চন্দন দাস, রিপন দাস ও রাজীব ভট্টাচার্য আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এতে উল্লেখ করা হয়, আইনজীবীর ঘাড়ে বঁটি দিয়ে দুটি কোপ দেন রিপন দাস। আর কিরিচ দিয়ে কোপান চন্দন দাস। পরে রাস্তায় পড়ে থাকা সাদা শার্ট ও কালো প্যান্ট পরা এই আইনজীবীকে লাঠি, বাটাম, ইট, কিরিচ ও বঁটি দিয়ে তাঁরা ১৫ থেকে ২০ জন পিটিয়ে হত্যা করেন।

গত বছরের ৩১ অক্টোবর চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও মোহরা ওয়ার্ড বিএনপির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ খান বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় চিন্ময় দাসসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননায় রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলা করেন। পরে ফিরোজ খানকে বিএনপি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এ মামলায় চিন্ময় দাসকে ২৫ নভেম্বর ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ