রাজধানীর মুগদার মানিকনগরে রাস্তা পারাপারের সময় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার ধাক্কায় মোছা. সুমী আক্তার (২৫) নামের এক নারী নিহত হয়েছেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। সুমী টিউশনি করতেন। পাশাপাশি কোচিং সেন্টারে চাকরি করতেন বলে জানা গেছে।

দুর্ঘটনার পর গুরুতর আহত অবস্থায় সুমীকে উদ্ধার করে দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

সুমীকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসেন মেজবাহ মোল্লা নামের এক প্রতিবেশী। তিনি বলেন, সুমী রাত সাড়ে ৯টার দিকে এলাকায় একটি টিউশনি শেষ করে বাসায় ফেরেন। পরে তাঁর আড়াই বছর বয়সী একমাত্র মেয়ের জন্য দোকান থেকে কেক কিনে বাসায় দিয়ে আবার আরেকটি টিউশনির জন্য বের হন। রাস্তা পারাপারের সময় ব্যাটারিচালিত একটি অটোরিকশা তাঁকে ধাক্কা দেয়। তিনি রাস্তায় ছিটকে পড়েন। গুরুতর আহত হন। তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে মুগদা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। সেখানে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো.

ফারুক বলেন, লাশটি কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে জানানো হয়েছে।

সুমী মুগদার বাসিন্দা সাজু মিয়ার মেয়ে। সুমী মানিকনগরের ওয়াসা রোডে পরিবার নিয়ে থাকতেন। তাঁর স্বামীর নাম মো. মাহফুজ রহমান।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহীতে পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে সাবেক কাউন্সিলরের মৃত্যু

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক এক কাউন্সিলরের মৃত্যু হয়েছে। পরিবার বলছে, পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে তিনি মারা যান। তবে পুলিশ বলছে, তারা অন্য কাজে এলাকায় গিয়েছিল, ওই কাউন্সিলরকে ধরতে যায়নি। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে নগরের দাসপুকুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

মারা যাওয়া ওই কাউন্সিলরের নাম কামাল হোসেন (৫৫)। তিনি নগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এবং দাসপুকুর এলাকার বাসিন্দা। একসময় বিএনপির রাজনীতি করতেন। পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। তবে দলে তাঁর কোনো পদ–পদবি ছিল না।

গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কামাল হোসেনের নামে চারটি মামলা হয়। তিনি এলাকায় থাকলেও গা ঢাকা দিয়ে থাকতেন। পরিবারের ধারণা, মামলা থাকায় পুলিশ দেখে ভয় পেয়ে কিংবা হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

কামালের ছেলে সোহান শাকিল প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাতে আমাদের এলাকায় পুলিশ এসেছিল। পুলিশ দেখে আমার বাবা তবজুল হক নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে ঢুকে সিঁড়ি দিয়ে ছাদে উঠতে যান। তখন সিঁড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং সেখানেই মারা যান।’

নগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা আছে। তিনি আত্মগোপনে থাকতেন। শুনেছি রাতে তিনি মারা গেছেন।’

ওসি বলেন, রাতে দাসপুকুর এলাকায় পুলিশ গিয়েছিল। তবে কামালকে ধরতে যায়নি। পুলিশ গিয়েছিল অন্য কাজে। কিন্তু পুলিশ দেখে পালাচ্ছিলেন কামাল হোসেন। তখন হৃদ্‌রোগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। লাশ পরিবারের কাছেই আছে। তারা দাফনের ব্যবস্থা করছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ