আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। যদিও এটি দলের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ, তারপরও দ্রুততম সময়ের মধ্যে সব জেলা ও উপজেলায় কমিটি চূড়ান্ত করার কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে। গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণরাই এতে অগ্রাধিকার পাবেন। 

শুক্রবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে সাংগঠনিক সফরে রংপুরে এসে জুমার নামাজ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেছেন এনসিপির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম। এ সময় জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

তিনি বলেছেন, দেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য তরুণদের সাহসের পাশাপাশি অভিজ্ঞদের পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা প্রয়োজন। তাই, তরুণ ও অভিজ্ঞদের সমন্বয়ে জনগণের অধিকার আদায়ে এগিয়ে যাবে এনসিপি।

সারজিস আলম বলেন, এক যুগ ধরে রাজনীতি আর গণমানুষের রাজনীতি ছিল না। রাজনীতি ছিল টাকা দিয়ে মনোনয়ন কেনা এবং রাতের আঁধারে কারচুপির মাধ্যমে নির্বাচিত হয়ে সংসদে যাওয়া। 

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম নেতা সারজিস আলম জানিয়েছেন, ন্যায্যতা ও সমতার ভিত্তিতে প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে কাজ করবে তার দল। 

ঢাকা/আমিরুল/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর এনস প

এছাড়াও পড়ুন:

পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন

চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।

লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্‌যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।

চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।

লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।

প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।

লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’

তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্‌যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?

সম্পর্কিত নিবন্ধ