তিতাসে যুবককে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা, বাবা-ছেলে আটক
Published: 4th, April 2025 GMT
কুমিল্লার তিতাসে গাজীপুর বাস্তুহারা কলোনীতে ঠোঁট কাটা রুবেল নামে এক যুবককে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
শুক্রবার (৪ এপ্রিল) রাত ৭টায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। ঘটনায় অভিযুক্ত সুন্দর আলী ও তার বাবা জয়নাল আবেদীনকে আটক করেছে তিতাস থানা পুলিশ।
নিহত রুবেলের পিতার নাম মোহাম্মদ আলী। তার বড় ভাই মো. বিল্লাল হোসেন গাজীপুর খান স্কুল অ্যান্ড কলেজে দপ্তরি পদে কর্মরত।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাত ৭টায় বাস্তুহারা কলোনীতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রুবেলের সঙ্গে অভিযুক্ত সুন্দর আলীর বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে সুন্দর আলী ক্ষিপ্ত হয়ে রুবেলের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং হাতে থাকা কুড়াল দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে তাকে হত্যা করে।
এলাকাবাসী জানায়, রুবেল ও অভিযুক্তদের মধ্যে দীর্ঘদিনের বিরোধ ছিল। এ ঘটনার পরপরই অভিযুক্তরা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তবে পুলিশ সুন্দর আলী ও তার বাবা জয়নালকে আটক করে।
তিতাস থানার ওসি মামুনুর রশিদ বলেন, ‘‘প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এটি পূর্বশত্রুতার জেরে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড। নিহতের পরিবার মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। আমরা দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছি।’’
এ হত্যাকাণ্ডে এলাকায় চরম আতঙ্ক ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। ঘটনার সঙ্গে অন্য কেউ জড়িত আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমেক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
ঢাকা/রুবেল/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
১১ নাটক নিয়ে শিল্পকলায় চলছে ‘জুলাই পুনর্জাগরণ নাট্যোৎসব’
জুলাই আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে রচিত ১১ দলের ১১টি নতুন প্রযোজনা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমিতে চলছে ‘জুলাই পুনর্জাগরণ নাট্যোৎসব’। জাতীয় নাট্যশালায় গত ৩১ জুলাই শুরু হওয়া এই নাট্যোৎসব চলবে ৮ আগস্ট পর্যন্ত। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে আয়োজিত এ উৎসবে নাট্যরূপে উঠে আসছে ইতিহাস, আন্দোলন ও সময়ের গল্প।
উৎসবের দ্বিতীয় দিন গতকাল শুক্রবার জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে মঞ্চস্থ হয় ‘শুভঙ্কর হাত ধরতে চেয়েছিল’। তীরন্দাজ রেপার্টরি প্রযোজিত নাটকটির রচনা ও নির্দেশনায় দীপক সুমন। গতকালই ছিল এ নাটকের উদ্বোধনী প্রদর্শনী। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে মঞ্চস্থ নতুন এ নাটক নিয়ে আলোচনা হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। বৃষ্টি উপেক্ষা করে উল্লেখযোগ্য দর্শকের উপস্থিতি ছিল। দর্শকদের অনেকেই বলছেন, এই নাটকে যেন এক নাগরিকের নির্জনতা, এক প্রেমিকের না-পাওয়া, এক বিপ্লবীর বিষণ্নতা আর এক সাধারণ মানুষের অসহায়তা একসূত্রে বাঁধা পড়েছে।