ঢাকার দক্ষিণ কমলাপুরে আয়েশা খানম (৪২) নামের এক নারীকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে তাঁর দেবর মাসুদ হাওলাদার (৪৪) পলাতক।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আয়েশার আরেক দেবর আবু জাফর বলেন, আজ সকালে ভাবি বাসা থেকে বের হয়ে পাশেই তাঁর শাশুড়ির বাসায় যাওয়ার জন্য বের হন। তখন মাসুদ আয়েশাকে পেটে ছুরিকাঘাতে আহত করে রাস্তায় ফেলে পালিয়ে যান।

গুরুতর আহত অবস্থায় আয়েশাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় ইসলামিয়া হাসপাতালে এবং পরে সেখান থেকে দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

আবু জাফরের স্ত্রী জেসমিন আক্তার বলেন, মাসুদ হাওলাদারের মানসিক সমস্যা রয়েছে। মাঝেমধ্যেই ভালো থাকে আবার মাঝেমধ্যেই সমস্যা দেখা দেয়। বেশ কিছুদিন আগে এলাকার একজনকে কুপিয়ে আহত করেছিলেন তিনি।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো.

ফারুক বলেন, মৃতদেহটি ঢাকা মেডিকেলের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট মতিঝিল থানায় অবগত করা হয়েছে।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ব্যক্তিগত মুহূর্ত নিয়ে অসুস্থ প্রতিযোগিতায় আমি নেই: অপু বিশ্বাস

শাকিব খান ও সন্তানদের নিয়ে চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস ও শবনম বুবলীর বাকযুদ্ধের কথা কমবেশি সবারই জানা। শাকিবকে কেন্দ্র করে প্রায়শই কথার লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়েন দু’জন। গতকাল বাবা দিবসে শাকিব খান ও সন্তানদের নিয়ে ফেসবুকে পাল্টাপাল্টি স্ট্যাটাস দিয়েছেন অপু-বুবলী।

এরপরই নেটিজেনরা বলছে, দু’জনের একজন শাকিবকে নিয়ে স্ট্যাটাস দিলে বা কোনো মন্তব্য করলে কিছুক্ষণ পরই অপরজনও তার প্রতিক্রিয়া নিয়ে হাজির হন। বিষয়গুলো নিয়ে যেন একপ্রকার ক্লান্ত ও বিরক্ত অপু বিশ্বাস। তাই রোববার রাতেই ফেসবুক স্ট্যাটাসে স্পষ্ট এক বার্তা দিয়ে অপু জানান, কোনো ধরণের অসুস্থ প্রতিযোগিতার মাঝে তিনি নেই। আপাতত নিজের কাজ ও সন্তানকে নিয়েই ব্যস্ত থাকতে চান তিনি।

প্রাক্তন স্বামী শাকিব খান ও ছেলে জয়ের সঙ্গে তোলা একটি ছবি ফেসবুকে প্রকাশ করে অপু বিশ্বাস লিখেছেন, ‘প্রিয় ভক্ত-অনুরাগী ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা, সাম্প্রতিক সময়ে লক্ষ্য করছি, আমার ব্যক্তিগত কিছু মুহূর্ত বা আমার ছেলের সাথে স্মরণীয় সময়গুলো যখন আমি আপনাদের সঙ্গে ভাগাভাগি করি— তখনই কোনো না কোনোভাবে সেই বিষয়কে ঘিরে একধরনের অপ্রয়োজনীয় প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যায়।’

এরপর অপু লেখেন, ‘আমি একজন মা, একজন অভিনেত্রী, একজন উদ্যোক্তা। আমার অনেক দায়িত্ব, অনেক ব্যস্ততা। ক্যামেরার বাইরে আমার জীবনটা একজন নারীর মতোই-হাজারো কাজ, পরিকল্পনা, এবং স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে চলা। আমি কাউকে কিছু প্রমাণ করতে চাই না। আমার সম্পর্ক, আমার জীবনের অধ্যায়গুলো দর্শকের চোখের সামনেই কেটেছে। সেখানে লুকোচুরি নেই, নাটক করার কিছু নেই।’

অপুর ভাষ্য, ‘আমার ছেলের জন্য সময় দেই, তার বাবার সঙ্গে সুন্দর মুহূর্তগুলো ধরে রাখি-এটা সম্পূর্ণই ওর মানসিক বিকাশ ও সুন্দর শৈশবের জন্য। এটিকে ঘিরে কারো ‘অস্বস্তি’ তৈরি হলে, সেটার দায় আমার নয়।’

‘আমি অনেকদিন ধরেই দেখছি, আমার কোনো সাধারণ পারিবারিক পোস্টের পরেই যেন কিছু 'কাউন্টার প্রচেষ্টা' শুরু হয়। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই—আমি সেই অসুস্থ প্রতিযোগিতায় নেই। সম্মান নিজে অর্জন করতে হয়, অন্যকে ছোট করে নয়। এখন থেকে আমি শুধু নিজের কাজ, নিজের ছেলে, নিজের ভক্তদের সময় দিতে চাই- লেখেন অপু।

সব শেষে অপু লিখেছেন, ‘কারো সাথে পাল্লা দেওয়ার জন্য আমি এখানে আসিনি। আমি নিজের জায়গাতেই স্বাচ্ছন্দ্যে আছি। যারা আমাকে ভালোবাসেন, পাশে থাকেন—আপনাদের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা। আমি আপনাদের বিশ্বাস ভাঙতে চাই না। আর নিজের ব্যক্তিত্ব নষ্ট করে কারো সঙ্গে পা মেলাতে রাজিও নই। ভালোবাসা অমলান থাকুক।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ