আজ ৬ এপ্রিল, বিশ্বব্যাপী উদযাপিত হচ্ছে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্রীড়া দিবস। ২০১৩ সালের জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির প্রস্তাবের ভিত্তিতে ২০১৪ সাল থেকে এ দিবসটি উদযাপন করা হচ্ছে। ১৮৯৬ সালের এই দিনে গ্রিসের অ্যাথেন্সে অনুষ্ঠিত হয়েছিল আধুনিক যুগের প্রথম অলিম্পিক গেমস। সেই ঐতিহাসিক ঘটনাকে স্মরণ করে দিনটির নির্ধারণ।

বাংলাদেশেও দিনটি উদযাপন করছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। এ বছরের প্রতিপাদ্য ছিল, ‘তারুণ্যের অংশগ্রহণ, খেলাধুলার মানোন্নয়ন’। এ উপলক্ষ্যে আয়োজন করা হয় রঙিন নানা কর্মসূচি।

সকালে রাজধানীর ওসমানী মিলনায়তন থেকে জাতীয় স্টেডিয়াম পর্যন্ত একটি বর্ণাঢ্য র‍্যালির আয়োজন করা হয়। এতে অংশ নেন জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক জামাল ভূইয়া, জাতীয় ক্রিকেটার শরিফুল ইসলাম, জাকের আলি অনিক, নারী ফুটবলার শাহেদা আক্তার রিপাসহ দেশের বিভিন্ন পর্যায়ের ক্রীড়াবিদ ও সংগঠকরা। র‍্যালি শেষে জাতীয় স্টেডিয়ামে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে একটি প্রীতি ফুটবল ম্যাচ উদ্বোধন করেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

এছাড়া জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের অডিটরিয়ামে আয়োজিত হয় আলোচনা সভা। যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা ছাড়াও বক্তব্য রাখেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ, বিওএ মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.

) শেফাউল কবীর, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব রেজাউল মাকছুদ জাহেদী ও ক্রীড়া পরিষদের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম। সভায় গাজায় চলমান মানবিক বিপর্যয়ের প্রেক্ষিতে ক্রীড়া উপদেষ্টা নিপীড়িত মানুষের প্রতি সহমর্মিতা জানান।

আলোচনার শেষে জাতীয় স্টেডিয়ামে ফিরে প্রীতি ম্যাচের পুরস্কার বিতরণ করেন ক্রীড়া উপদেষ্টা। ‘ঢাকা উত্তর’ ও ‘ঢাকা দক্ষিণ’ নামে দুটি দলে ভাগ হয়ে এই প্রীতি টুর্নামেন্টে অংশ নেয় সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা। এ সময় প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের খুঁজে বের করে তাদের উন্নয়নে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

দিনটি আরও অর্থবহ করে তুলতে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে প্রদর্শিত হয় ‘কমন জেন্ডার’ মুভি। এছাড়া পরিষদের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সম্মাননা দেওয়া হয় তাদের নিষ্ঠাবান কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: উপদ ষ ট

এছাড়াও পড়ুন:

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ: এবার কাদের বিপক্ষে, কবে খেলবে বাংলাদেশ?

আইসিসির বৈশ্বিক টেস্ট লিগ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ। তিনটি সফল চক্র শেষে চতুর্থ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্র, ২০২৫-২৭ মাঠে গড়ানোর অপেক্ষা। মঙ্গলবার (১৭ জুন) গলে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার টেস্ট দিয়ে শুরু হবে চতুর্থ চক্রের খেলা।

প্রতিটি দল দুই বছরের মধ্যে ছয়টি সিরিজ খেলবে। যার তিনটি দেশের মাটিতে, তিনটি প্রতিপক্ষের মাঠে। প্রতিটি সিরিজ হবে কমপক্ষে দুই টেস্টের। সর্বোচ্চ পাঁচটি টেস্ট থাকতে পারবে এক সিরিজে। এই সময়ে সিরিজ হবে মোট ২৭টি, যেখানে টেস্টের সংখ্যা ৭১টি। ২০২৭ সালের জুনে লিগ টেবিলের শীর্ষ দুই দলকে নিয়ে হবে ফাইনাল। শেষ তিন আসরের মতো ইংল্যান্ডেই বসবে সাতাশের ফাইনাল। সম্ভাব্য ভেন্যু লর্ডস।

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম চক্রে বাংলাদেশ সাতটি ম্যাচ খেলেছিল। জিততে পারেনি কোনো ম্যাচ। ড্র করেছিল একটি। হেরেছিল ছয়টি। পরের চক্রে ১২ ম্যাচে মাত্র ১ জয়, ১০টাতেই হার।

আরো পড়ুন:

বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা টেস্ট পরিসংখ‌্যান

বাংলাদেশের বিপক্ষে হোম সিরিজে শ্রীলঙ্কার টেস্ট দল ঘোষণা

সর্বশেষ টেস্ট চক্রে বাংলাদেশ তিনটি ম্যাচ দেশের বাইরে, একটি দেশের মাটিতে জিতেছে। সব মিলিয়ে ১২ ম্যাচে চারটিতে জিতেছে। পাকিস্তানের বিপক্ষে রাওয়ালপিন্ডিতে দুই ম্যাচের সিরিজ জিতেছিল। এছাড়া নিউ জিল্যান্ডকে দেশের মাটিতে ও ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বিদেশে হারিয়েছিল।

এবারের চক্রে বাংলাদেশ ১২টি ম্যাচ খেলবে। মোট ছয়টি সিরিজ। তিনটি দেশের বাইরে, তিনটি দেশের মাটিতে। দেশের বাইরে বাংলাদেশকে শ্রীলঙ্কার পর কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে। কেননা দুটি সফরই শেষবারের দুই ফাইনালিস্টদের বিপক্ষে। অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অ্যাওয়ে সিরিজ রয়েছে বাংলাদেশের। এছাড়া ইংল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলবে দেশের মাটিতে।    

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এই টেস্টের পর বাংলাদেশকে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পরের ম্যাচের জন্য ২০২৬ সালের মার্চ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। পাকিস্তান ২০২৬ সালের মার্চে বাংলাদেশ সফর করবে। ২টি টেস্ট বাদেও ৩টি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলবে। ওই বছরের অক্টোবরে ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে আতিথেয়তা দেবে। নভেম্বর বাংলাদেশ যাবে দক্ষিণ আফ্রিকায়।

এরপর ২০২৭ সালে ইংল্যান্ড দুই টেস্টের জন্য আসবে ফেব্রুয়ারিতে। মার্চে বাংলাদেশ যাবে অস্ট্রেলিয়া সফরে। ২০০৩ সালের পর ২০২৭ সালে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে প্রথম টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। আর এই সিরিজ দিয়ে বাংলাদেশের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের চতুর্থ চক্র শেষ হবে।

নতুন টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে নিজেদের লক্ষ্য নিয়ে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত বলেছিলেন, ‘‘টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে আমরা গত বছর (চক্রে) ৭ নম্বরে শেষ করেছি। এই বছর তো অবশ্যই লক্ষ্য থাকবে যেন ৪-৫-৬ নম্বরের মধ্যে আসতে পারি। তাহলে খুব ভালো হয়।”

“গত বছর (চক্রে) জয়ের হার সম্ভবত ৪৫ শতাংশ (আসলে ৪৫ পয়েন্ট ও ৩১.২৫ শতাংশ) ছিল। এখান থেকে যদি বাড়াতে পারি—৫০-৫৫ বা ৬০ শতাংশ হলে, একজন অধিনায়ক হিসেবে আমার মনে হয়, ভালো একটা ফল হবে আমাদের।”– যোগ করেন শান্ত।

ঢাকা/ইয়াসিন

সম্পর্কিত নিবন্ধ