ভারতের ২১ শহরে তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে
Published: 6th, April 2025 GMT
ভারতের পাঁচটি রাজ্যের ২১ শহরের তাপমাত্রা রবিবার ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি রেকর্ড করা হয়েছে। জাতীয় রাজধানী দিল্লিকে আগামী তিন দিন তাপপ্রবাহের সাথে লড়াই করতে হবে। দিল্লি ছাড়াও রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, গুজরাট এমনকি ওড়িশার শহরগুলোতেও তাপপ্রবাহ বয়ে যাবে। খবর এনডিটিভি অনলাইন।
এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে প্রতিটি শহরেই বড় ধরনের পরিবর্তন দেখা গেছে। এই শহরগুলোতে তাপমাত্রা তিন ডিগ্রি থেকে ৬ দশমিক ৯ ডিগ্রি পর্যন্ত বেড়েছে।
আবহাওয়া অফিস ইঙ্গিত দিয়েছে যে, তাপমাত্রা বাড়ার পেছনে বাতাসের গতি হ্রাসের একটি ভূমিকা রয়েছে, বিশেষ করে দিল্লিতে।
আবহাওয়া অফিস থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “সকালে ভূপৃষ্ঠে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৮-১০ কিলোমিটার হতে পারে। এরপর বাতাসের গতি ধীরে ধীরে হ্রাস পাবে এবং বিকেলে দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ৪-৬ কিলোমিটার বেগে প্রবাহিত হবে। সন্ধ্যা ও রাতে এটি দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ কিলোমিটারেরও কম গতিতে প্রবাহিত হবে।”
রাজস্থানের বারমেরে তাপমাত্রার নতুন রেকর্ড তৈরি হয়েছে। রবিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস - যা এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে সর্বোচ্চ।
আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, ৬-১০ এপ্রিলের মধ্যে গুজরাটের কিছু কিছু জায়গায় তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি থাকতে পারে এবং সৌরাষ্ট্র ও কচ্ছের কিছু জায়গায় তীব্র তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি থাকতে পারে।
একই সময়ে রাজস্থানেও তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, হিমাচল প্রদেশের বিচ্ছিন্ন এলাকা, হরিয়ানা, চণ্ডিগড়, পাঞ্জাব, মধ্যপ্রদেশ এবং পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা খুব বেশি।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
২৭ নভেম্বরই জকসু নির্বাচন চায় ছাত্রশিবির
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন চলতি মাসের ২৭ নভেম্বর আয়োজনের দাবি জানিয়েছে শাখা ইসলামী ছাত্রশিবির।
সোমবার (৩ নভেম্বর) সংগঠনটির নেতারা জকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা হাসান বরাবর এ দাবি জানিয়ে একটি স্মারকলিপি দেন।
আরো পড়ুন:
জকসু নির্বাচন নিয়ে একে অপরকে দোষারোপ ছাত্র সংগঠনগুলোর
জবি প্রশাসনের কাছে ২০ দাবি জানাল ইউটিএল
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ২০ বছর পর এই প্রথম জকসু নির্বাচন হতে যাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের দাবি ও আন্দোলনের পর প্রশাসন নির্বাচন আয়োজনের রোডম্যাপ প্রকাশ করেছে। কিন্তু সম্প্রতি একটি গোষ্ঠী নির্বাচন বানচালের নীলনকশা শুরু করেছে, যা শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক অধিকার ক্ষুণ্নের অপচেষ্টা।
এতে আরো বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পূর্বনির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী নির্বাচন না করলে তা হবে শিক্ষার্থীদের ভোটাধিকার হরণের সামিল। কারণ ১৩ ডিসেম্বর থেকে ২১তম ব্যাচের ভর্তি পরীক্ষা, ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস, ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস এবং পরবর্তী শীতকালীন ছুটির কারণে ডিসেম্বর মাসে নির্বাচন করা সম্ভব নয়।
এ সময় সংগঠনটির নেতারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ঘোষিত তারিখ অনুযায়ী ২৭ নভেম্বরই জকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে। নির্বাচন বিলম্বের কোনো যৌক্তিক কারণ নেই।
ঢাকা/লিমন/মেহেদী