কাচতে দিয়ে শাড়ি নষ্ট হওয়ায় জরিমানা ২৪ হাজার রুপি
Published: 6th, April 2025 GMT
জামাকাপড় কাচার এক পেশাদার সংস্থার কাছে শাড়ি কাচতে দিয়েছিলেন ভারতের মুম্বাইয়ের এক নারী। কিন্তু শাড়িটি নষ্ট অবস্থায় ফেরত দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন তিনি। এ ঘটনায় ওই নারীকে ২৪ হাজার ৮০০ রুপি ক্ষতিপূরণ দিতে কাপড় কাচার সংস্থাকে নির্দেশ দিয়েছে উপভোক্তাদের অভিযোগ নিষ্পত্তি সংক্রান্ত কমিশন। খবর আনন্দবাজার অনলাইন।
অভিযোগকারী সঞ্চিতা সনতাক্কের দাবি, তিনি শাড়িটি ‘ড্রাই ক্লিনিং’ করতে দিয়েছিলেন ওই সংস্থায়। কিন্তু ওই সংস্থা শাড়িটি নষ্ট অবস্থায় ফেরত দিয়েছে। এই বিষয়ে তিনি সংস্থার সঙ্গে বিভিন্নভাবে যোগাযোগের চেষ্টা করেছেন। কখনো মেসেজ করেছেন, কখনো ইমেইল করেছেন। কিন্তু সমস্যার কোনো সমাধান হয়নি। এই অবস্থায় আইনজীবীর মাধ্যমে মুম্বাই শহরতলির জেলা উপভোক্তা বিষয়ক কমিশনে ওই সংস্থার বিরুদ্ধে মামলা করেন তিনি।
কমিশনের কাছে বেশ কিছু নথিপত্রও জমা দেন ওই নারী। ওই সংস্থায় ‘ড্রাই ক্লিনিং’ করানোর বিল, নষ্ট হওয়া শাড়ির ছবি এবং শাড়ি কেনার সময়ের রশিদ জমা পড়ে কমিশনের কাছে। এ ছাড়া ওই নারী সংস্থার সঙ্গে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেছিলেন, সেই সংক্রান্ত নথিপত্রও উপভোক্তা কমিশনে জমা দেওয়া হয়। নথিপত্র খতিয়ে দেখে কমিশনের পর্যবেক্ষণ, ওই ঘটনায় সংস্থার গাফিলতির ছবি স্পষ্ট। সংস্থার পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে কমতি ছিল বলে মনে করছে আদালত।
ওই ঘটনায় শাড়ি নষ্ট হওয়ার ক্ষতিপূরণ হিসাবে ১২ হাজার ৮০০ রুপি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। একইসঙ্গে ওই নারীকে মানসিক যন্ত্রণার জন্য ১০ হাজার রুপি এবং তার আইনি খরচের জন্য দু’হাজার রুপি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে ২৪ হাজার ৮০০ রুপি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে মুম্বাইয়ের ওই উপভোক্তা কমিশন। ৪৫ দিনের মধ্যে ওই ক্ষতিপূরণ মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় বার্ষিক ২ শতাংশ হারে সুদসহ ওই অর্থ দিতে হবে।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ওই স স থ উপভ ক ত ওই ন র
এছাড়াও পড়ুন:
অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন
প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।
শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।
আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেনরাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।
কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।
দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।
২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।
প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।
আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।
সূত্র: এনবিসি নিউজ
আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫