Samakal:
2025-08-01@03:17:17 GMT

সহস্রাধিক মানুষের পাশে সুহৃদ

Published: 7th, April 2025 GMT

সহস্রাধিক মানুষের পাশে সুহৃদ

সুহৃদ সমাবেশের আয়োজনে ও কুড়িগ্রামের রাজারহাট প্রেস ক্লাবের সহযোগিতায় সম্প্রতি সহস্রাধিক পথচারীর মধ্যে খাবার বিতরণ করা হয়েছে। কর্মসূচির উদ্বোধন করেন রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আল ইমরান।
অনুষ্ঠানে সাংবাদিক ও সহকারী অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম বেবু, হাসিবুর রহমান হাসিব, প্রথম আলোর জেলা প্রতিনিধি জাহানুর রহমান খোকন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রেস ক্লাব সভাপতি সরকার অরুণ যদুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনায় উপজেলা বিএনপি নেতা জাকির হোসেন, নজরুল ইসলাম, প্রেস ক্লাব সহসভাপতি মোবাশ্বের আলম লিটন, প্রেস ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুল ইসলামসহ সুহৃদ ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা বলেন, সমকাল একটি পত্রিকা হয়েও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের কথা ভাবে, তাদের জন্য কাজ করে– এটি অত্যন্ত ইতিবাচক। অনুষ্ঠানের সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন সুহৃদ র‍্যাবেন, আতাউর রহমান, কুইক, মামুন, জিহাদ, আতউল গনি, মিরাজ প্রমুখ। সুহৃদ সভাপতি ও কারিগরি বাণিজ্যিক কলেজের অধ্যক্ষ আবুল হোসেন সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মাওলানা ওমর ফারুক বিল্লাহ। v
সমন্বয়ক সুহৃদ সমাবেশ, রাজারহাট  

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ

এছাড়াও পড়ুন:

বৃষ্টিস্নাত রমনায় সবুজের উল্লাস

রমনা উদ্যানের গাছগুলো বৃষ্টিতে ভিজছে, ভিজছে মাটি ও মাটির ওপরের ঘাসগুলো। বর্ষায় রমনার রূপ হয় দেখার মতো। চারদিকে কেবল সবুজ আর সবুজ। বসন্তের মতো ফুল নেই তো কী হয়েছে? আছে শ্যামল রূপ, আছে অপার স্নিগ্ধতা। বুকভরে ধুলাহীন নিশ্বাস নেওয়ার অবকাশ, প্রকৃতির উদার আমন্ত্রণ।

‘পাগলা হাওয়ার বাদল-দিনে’ ঢাকার রমনা পার্কের গাছের পাতাগুলো এখন আরও সবুজ। টলটলে জলের নয়নাভিরাম ঝিলটা টইটম্বুর। ধুলাময়লাহীন পায়ে চলার পথ। আর গাছের পাতার ফাঁকে রয়েছে অজস্র ফুল। কোনোটা লাল, কোনোটা বেগুনি আবার কোনোটা সাদা। বৃষ্টির মধুর আশকারা পেয়ে রমনা পার্কে এখন সবুজের উল্লাস।

এই পার্কটিকে ঢাকার ফুসফুস বলা হয়। এর যথেষ্ট কারণ আছে অবশ্য। এ রকম প্রগাঢ় নিরেট সবুজ এ শহরে কমই আছে। রমনা তাই ঢাকার জনজীবনের স্পন্দন। এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।

সম্প্রতি ‘বৃষ্টি নেশাভরা’ এক বিকেলে অরুণোদয় ফটক দিয়ে রমনা পার্কে প্রবেশ করলাম। অনেকে শরীরচর্চায় ব্যস্ত। কেউ দল বেঁধে করছেন, কেউ একাকী। কোনো দল ব্যায়াম করে ভোরে, কেউ আবার বিকেলে বা সন্ধ্যায়। আবার অনেকে আছেন দুই বেলাই হাঁটাহাঁটি করেন। হাঁটা সেরে কেউ কেউ লেকের পাশে এসে দুদণ্ড জিরিয়ে নেন। লেকে চলছিল বোট।

বর্ষার ফুলের উৎসব

বর্ষা এলেই রমনা পার্ক যেন রঙের নতুন ভাষা শেখে। আমাদের ঋতুচক্র অনুযায়ী, বসন্ত ও গ্রীষ্মকালেই এ দেশে ফোটে অধিকাংশ ফুল। তবে বর্ষারও নিজস্ব কিছু ফুল আছে, আর গ্রীষ্মের কিছু ফুল টিকে থাকে বর্ষা পর্যন্ত। সেদিন রমনায় গিয়ে এমনই কিছু ফুল চোখে পড়ল—বৃষ্টিভেজা পাতার ফাঁকে তাদের রং যেন আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল। মনে হলো, প্রকৃতির এই নিঃশব্দ উৎসবেও কত কথা লুকিয়ে থাকে!

রমনার গোলাপবিথি সেদিন দর্শনার্থীদের সবচেয়ে বেশি মনোযোগ কাড়ছিল। সারি সারি ঝোপে ফুটে আছে হরেক রঙের গোলাপ—লাল, সাদা, হলুদ, কমলা, গাঢ় গোলাপি। বর্ষার ভেজায় যেন আরও সতেজ, আরও তাজা হয়ে উঠেছে প্রতিটি পাপড়ি। নরম আলো আর বৃষ্টিজলে ভেজা ফুলগুলোর সৌন্দর্য মোহিত করেছে পথচলার মানুষকে। কেউ থেমে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন, কেউ ভিডিও করছেন—মুঠোফোনে বন্দী হচ্ছে বর্ষার রঙিন রমনা।

এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ